‘কাজল রেখা’
৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র রূপকথা ‘কাজল রেখা’ অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই চিত্রনাট্যের রূপ ও সংলাপ বিন্যাস করেছেন পরিচালক নিজেই।
বুধবার বিকাল ৫টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘কাজল রেখা’ টিম নিয়ে ‘মিট দ্যা প্রেস’অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ব্রাক্ষণ্যবাদের প্রবল দাপটে যখন নয় বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া সামাজিকভাবে বাধ্যতামূলক, সেই সময়ে দুর্গম হাওর অঞ্চলে এই নিয়মের একটু শিথিল ভঙ্গী দেখা যায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, কাজল রেখা’র এক মৃত কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়। কাহিনী জমে ওঠে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
‘কাজল রেখা’ এমন এক সময়ের গল্প, যখন এই ভূ-খণ্ডের মানুষেরা সমুদ্রপথে বাণিজ্য করে বিশ্বব্যাপী বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। আমাদের ডিঙ্গা নামক বাণিজ্য জাহাজে, ভেসে ভেসে, বন্দরে বন্দরে, পৃথিবীব্যাপী বিকিকিনি হতো নানান মনোহর পণ্য সামগ্রী; তন্মধ্যে, আমাদের বস্ত্র, সুক্ষ কারুকাজ করা অলংকার, সুপারী, সুগন্ধী চাল, কাঁসার তৈজসপত্র, কার্পাস তুলা ও জগত বিখ্যাত মসলিন উল্লেখযোগ্য।
‘কাজল রেখা’ চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী। অন্যতম প্রধান অপর দুইটি চরিত্রে’ দেখা যাবে বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান অভিনেতা শরিফুল রাজ ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মান, শাহানা সুমী, রহমত আলী, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ।
অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম বলেন, কাজল রেখা পালা থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রথমত সময়ের প্রেক্ষাপটে কল্পনার আশ্রয় নিতে হবে অনেক ক্ষেত্রেই। তাই শুটিং স্পট থেকে শুরু করে নাম নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ করা পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও আর্টিস্টিক যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তা উৎরাতে নির্মাতা ও কলাকুশলীসহ সকলের একতাবদ্ধ শ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে।
অন্যদিকে ‘কাজল রেখা’ চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে প্রস্ফুটিত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজল রেখা একটি রূপকথার গল্প, প্রায় ৪০০ বছর আগের কাহিনী। আসলে, আমি এই কাজটি নিয়ে বেশ এক্সাইটেড, এটি আমার জীবনের প্রথম বড় পর্দার কাজ। আমি খুবই আনন্দিত, আমার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক জানান, এপ্রিল থেকে ‘কাজল রেখা’ সিনেমার শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।
২ বছর আগে