গুলশান সোসাইটি
গুলশান সোসাইটি আয়োজিত ‘বইমেলা ২’ শুরু
মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে বইমেলা। ৪ মার্চ (শুক্রবার) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
স্বনামধন্য প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের ২৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলা। এটি গুলশান সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় বইমেলা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুক্লা সরোয়ার সিরাজ বলেন, ‘মহামারির মধ্যে গতবারের চেয়ে এ বছর মেলার আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা আয়োজনের প্রথম দিনের দর্শনার্থীদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ।’
বইমেলায় বিভিন্ন স্টল থাকলেও সাহিত্য নির্ভর স্টলের অভাব রয়েছে। তবে সেটি আগামীতে থাকবে না বলে আরও জানান শুক্লা সরোয়ার সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই ছোট পরিসরে মেলা শুরু করেছি। আমাদের কমিউনিটির সাড়া কেমন পাব সেটির অপেক্ষায় ছিলাম বলা যায়। সেটি যেহেতু বেশ ইতিবাচক। তাই সামনে আরও অনেক দিকে আমরা নজর দিব।’
পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
ঢাকাবাসীর কাছে বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘একুশে বইমেলা’। কিন্তু সময় ও দূরত্বের দিক থেকে যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের অনেকের স্বস্তির কারণ গুলশান সোসাইটি আয়োজিক ‘বইমেলা ২’।
মেলায় দর্শনার্থীদের এমনই একজন নূরুল হক। সন্তানদের নিয়ে দুপুরের পরই বইমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই একুশে বইমেলায় যাওয়া হয়। বই পড়তে আমি সব সময় বই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। গুলশান সোসাইটিকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মেলার আয়োজন করে।’
বইমেলা প্রাঙ্গণে আকর্ষণীয় স্টলগুলোর একটি কসমস বুকস। স্টলটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বেশ সুন্দর আয়োজন হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বই কেনার প্রতি পাঠকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।’
অন্যদিকে ‘বেঙ্গল বই’ স্টলের পক্ষ থেকে মুনা রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি আয়োজন। তবে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বইমেলার সময়টা যদি বাড়ানো যেত। কারণ অনেকেই হয়তো মেলা সম্পর্কে জানতে সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে মেলা থাকে না। এছাড়া বলব সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ এটি।’
পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
২ বছর আগে