রোয়াংছড়ি
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর মধ্যে হওয়া গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লী খামতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- লাল ঠাজার বম, সানপিথের থাং বম, ভানলাল দুহ বম ও লাললিয়ান ঙাক বম।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে খামতং পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা ওই পাড়াতে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে এমন খবর দেয়ার পর, দুপুর একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, তবে লাশগুলো কোন গ্রুপের তা প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ পরিচালিত ফেইসবুক পোস্টে গোলাগুলিতে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
১ বছর আগে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (রুটিন ডিউটি) মো. লুৎফর রহমান রবিবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব উপজেলায় ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আবারও বাড়ল
কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তবে এ দুটি ছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকরা অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর জেলার তিন উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের মধ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা টানা ১১ বার বাড়ানো হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে স্থানীয় প্রশাসন আলীকদম উপজেলা ও থানচি উপজেলা থেকে যথাক্রমে ১২ নভেম্বর ও ১৬ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
গত ১৮ অক্টোবর রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় দর্শনার্থীদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
পরবর্তীতে ২৩ অক্টোবর একই কারণে স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জেলায় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ল
২ বছর আগে
বান্দরবানে গুলিবিদ্ধ ৪ লাশ উদ্ধার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির সাঙ্গু নদীর তীর থেকে রবিবার চারজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে চারটি গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধারে রওনা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে এবং তারা নদীর তীরে চারজনের লাশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা: গ্রেপ্তার ২২
বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীকে ‘অপহরণ’
২ বছর আগে