প্রার্থীতা
নেত্রকোনা-৫ আসনে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন মাজহারুল
নেত্রকোণার পূর্বধলা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রিটের আদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূ্র্বধলা) আসনের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল। প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাজহারুল ইসলাম সোহেল।
ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও রোজা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম সোহেল প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় আসনটিতে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ জনে।
আরও পড়ুন: বন্যায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে নেত্রকোনার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পূ্র্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খবিরুল আহসান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাজহারুল ইসলাম সোহেল মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাজহারুল ইসলাম সোহেলের জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কম ছিল উল্লেখ করে বাছাইয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
এরপর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করলে সেখানেও মাজহারুল ইসলাম সোহেলের মনোনয়ন বাতিল হয়। এরপর প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
এ আসনে মাজহারুল ইসলাম সোহেল ছাড়াও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী পূ্র্বধলা উপজেলা শাখার সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াহ্হাব হামিদী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
মাজহারুল ইসলাম সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় হাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু
নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে মাজহারুল ইসলাম সোহেলের মনোনয়নের বাতিল হওয়ায় এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহমদ হোসেনের জয়ের বিষয়টি অনেকটা সহজ ছিল। কিন্তু একই দলের নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় এখন নির্বাচনে আমেজ বিরাজ করছে।
একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৫ (পূ্র্বধলা) আসন। তাই ভোটের এই সমীকরণে যুক্ত হয়েছে এই দুই প্রার্থীর মেরুকরণ। এ আসনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৯৯ জন।
প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া মাজহারুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমাকে নানা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল পূর্বধলার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা এবং চোখের পানি বিফলে যায়নি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে জয়ের ব্যাপারেও আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
১০ মাস আগে
জায়েদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত স্ট্যাটাসকো আদেশ দিয়েছেন। যে স্ট্যাটাসকোর ফলে শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা জায়েদ খান তার দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান জায়েদ খানের আইনজীবী।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি। আর নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনী আপিল বোর্ড নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা ও জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল গত ২ মার্চ যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া ওই রায়ের ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি ভোটে জেতা জায়েদ খানেরই হয়ে যায়।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করা জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
আরও পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়।
এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠক শেষে বোর্ডের প্রধান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা এবং নিজের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সে রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। একই সঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়। এছাড়া নিপুণের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চিঠির কার্যকারিতাও স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নিপুণ। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টকে তাদের জারি করা রুলটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। তবে হাইকোর্টে রুল নিস্পত্তির আগ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের পদের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ২ মার্চ হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন। এ রায়ের পর জায়েন খান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেন। তবে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
পদ হারালেন জায়েদ খান, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ
২ বছর আগে