ইলেক্ট্রিক
বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী ইথিওপিয়া
ইথিওপিয়া বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটি সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ওষুধ, আইসিটি পণ্য, জাহাজ নির্মাণ, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃষিজাত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের এ সকল পণ্য বিশ্বমানের এবং দামেও তূলনামূলক কম। ওষুধের পাশাপাশি উল্লিখিত এ সকল পণ্য ইথিওপিয়া বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে লাভবান হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এক্ষেত্রে জটিলতাগুলো দূর করা সম্ভব। উভয় দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য সহজ হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে।বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইথিওপিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মিলাকো আলেবেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইথিওপিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মিলাকো আলেবেল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ইথিওপিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশের উন্নয়ন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো সম্ভব। বাংলাদেশ ইথিওপিয়া থেকে ফলমূল, ওয়েলসিড, কফি, ফুল প্রভৃতি পণ্য আমদানি করলে লাভবান হবে। ইথিওপিয়ার এ সকল পণ্য মানসম্পন্ন এবং দাম তুলনামূলক কম। ইথিওপিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আরও উন্নত এবং পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজ হলে আদ্দিস আবাবা এ অঞ্চলের বাণিজ্য হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।উল্লেখ্য, উভয় দেশ চলমান বাণিজ্য জটিলতা দূর করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একমত পোষণ করে। ঢাকার সঙ্গে আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আশা করা যায় আগামী জুন মাসে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে