গোলাবর্ষণ
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরের উপকণ্ঠে একটি বাজারে গোলাবর্ষণে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে তেকস্তিলশিকের শহরতলিতে হামলায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই গোলা নিক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভেনিসের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ইউক্রেনীয় পর্যটকসহ নিহত ২১
কিয়েভ এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুশিলিন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানান, রবিবার রাশিয়ার উস্ত-লুগা বন্দরের একটি রাসায়নিক পরিবহন টার্মিনালে দুটি বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্দরটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের ড্রোন, এ ঘটনায় একটি গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেক পরিচালিত একটি স্থানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: রাতে রুশ হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক: ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা
রাশিয়ার কিংগিসেপ অঞ্চলের বন্দরের প্রধান ইউরি জাপালাতস্কি এক বিবৃতিতে জানান, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম ফন্টানকা জানিয়েছে, রবিবার সকালে দুটি ড্রোন সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে উড়তে দেখা গেছে, কিন্তু সেগুলো কিংগিসেপ অঞ্চলের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদনগুলো যাচাই করতে পারেনি।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে কিংগিসেপ এলাকায় কোনো ড্রোন তৎপরতার কথা বলা হয়নি। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাশিয়ার স্মোলেনস্ক অঞ্চলে চারটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ওরিওল ও তুলা অঞ্চলে আরও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এর আগে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছিলেন যে, বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গের উপকণ্ঠে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
১০ মাস আগে
সিরিয়ার তাঁবু বসতিতে গোলাবর্ষণ, নিহত ৬
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রবিবার ভোরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর বিদ্রোহীরা ইদলিবের এই তাঁবু বসতিতে বাস করতে শুরু করে। তাঁবু বসতি ইদলিবের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
গত দুই বছরে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৩
যুদ্ধের পর্যবেক্ষক ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে যে সরকারি বাহিনী রবিবার সকালে মারাম ক্যাম্পসহ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩০টি রকেট ছুড়েছে, এতে ছয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু এবং একজন নারী রয়েছে।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, বিদ্রোহী দলগুলো ইদলিবের পূর্বে সারাকিব ও আল-গাব সমভূমিতে কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়।
বিরোধীরা সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স বা হোয়াইট হেলমেট নামেও পরিচিত।
তারা জানিয়েছে, রাজধানীর পশ্চিমে অন্তত ছয়টি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে দুই শিশু এবং একজন নারীসহ ছয়জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে।
সরকারপন্থী শাম এফএম রেডিও স্টেশন বলেছে যে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিবের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপের অবস্থানে গোলাবর্ষণ করেছে।
এতে বলা হয়, সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানও ওই এলাকায় হামলা চালায়।
২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে কয়েক লাখ লোককে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দেশের ২৩ মিলিয়ন প্রাক-যুদ্ধ জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সিরিয়ার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলা
২ বছর আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের উত্তেজনা, দোছড়ি ও ঘুমধুম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০ পরিবার
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শনিবার ছয় ঘণ্টা একটানা গুলি ও মর্টার গোলাবর্ষণের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর শনিবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শব্দ ও উত্তেজনা ফের শুরু হয়।
দুপুর ১টায় দোছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
দেশটির সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় কয়েক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জামছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মো. রহমান বলেন, রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা মিয়ানমারের বেশ ভেতরে কাজ করছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় কোনো গোলাগুলি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আজ দুপুর ১টায় আবার শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় তিনি জামছড়িতে ছিলেন।
ইমন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাবর্ষণের মধ্যে ত্রিশটি পরিবার যাদের বাড়ি সীমান্তের খুব কাছাকাছি তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
এছাড়াও গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে মিয়ানমারের পাশ থেকে গুলি চলছে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
২ বছর আগে
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক মর্টার শেল গোলাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
নিউইয়র্কের হোটেল লোটে ৭৭তম ইউএনজিএ-তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচী নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে না।
তিনি বলেন, ‘ওই এলাকার সীমান্ত এলাকাটি খুব ক্রিসক্রসড। কখনও কখনও সীমান্ত বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে…, সেই কারণে তারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না, আমাদের সীমান্তের ভেতরে যে এক-দুটি গোলা পড়েছে তা ভুলবশত পড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সতর্ক থাকবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ পুরো সীমান্ত সিল করে দিয়েছে এবং নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেবে না।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন খুব শক্ত অবস্থানে আছি, আমরা আমাদের সীমান্ত সিল করে দিয়েছি যাতে নতুন কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ইতোমধ্যে কিছু নতুন রোহিঙ্গা চীন এলাকায় চলে গেছে, আমাদের দিকে আসার সাহস করেনি।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআরের তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
জবাবে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, তিনি শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবলমাত্র তাদের সংকট সমাধান করা যেতে পারে।
ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষন করেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাষানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী আইসিসির প্রসিকিউটরকে আশ্বস্ত করেছেন যে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসিতে চলমান সকল প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান আগামী বছরের শুরুতে আবারও বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘ-হ্যাবিট্যাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনাহ মোহাম্মদ শরীফও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের টেকসই নগরায়নের পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাফল্য সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
২ বছর আগে
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের কাছে জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে ১৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
নিহত কিশোর মো. ইকবাল জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মনির আহমেদের ছেলে।
আহতরা হলেন- নবী হোসেন (২২), ভুলু (৪৪) সাজিয়া জান্নাত (১০), আনাচ (১২) ও সাবেকুন্নাহার।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজির মতে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরপর চারটি মর্টার শেল পড়ে। একটি বিস্ফোরণে ইকবাল ঘটনাস্থলেই নিহত এবং অন্য পাঁচ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
আহতদের উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর জিরো পয়েন্ট ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বিজিবি সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন জানান, নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ধুনধুম এলাকায় একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে উখিয়ার কতুপালং কেন্দ্রে নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবক গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: পুলিশ
আহত উনুসাই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, জিরো লাইনে গরু আনতে গেলে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে যুবক উনুসাই গুরুতর আহত হন।
ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বিস্ফোরণে উনুসাই তঞ্চঙ্গ্যা তার বাম পা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
তিনি জানান, এঘটনার পর পরই তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এই পর্যন্ত ১২টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ বছর আগে
আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের
রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ জোরদার করেছে বলে একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে কিয়েভের উপকণ্ঠ উত্তরে চেরনিহিভ, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ব্যাপক গোলাবর্ষণ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভারি কামান খারকিভের আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে এবং গোলাবর্ষণে একটি টেলিভিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে: ইউক্রেন
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেছেন, মস্কোর আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে ‘কেবল কিয়েভ যদি শত্রুতা বন্ধ করে।
সোমবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান ১২তম দিনে পৌঁছেছে। যুদ্ধের কারণে ১৫ লাখ লোক দেশ ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেছেন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট দেখা দিয়েছে।’
সোমবার রাশিয়ান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন: ইউক্রেন যুদ্ধের আগুনে ঘি দিয়েন না
২ বছর আগে