ডেইলি স্টার
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আরও ৯ জন গ্রেপ্তার
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) তালেবুর রহমান মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত হিসেবে ৩১ জনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৯ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করার কথা পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন লুটপাট এবং ৪ জন হামলার সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। বাকিদের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আজ আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক দল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় তারা। আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দেয় তারা। ওই রাতে ছায়ানট ভবনেও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গত রবিবার রাতে প্রথম আলো এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, হত্যাচেষ্টাসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
৩ দিন আগে
গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
দেশের শীর্ষ দুটি গণমাধ্যমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডেইলি স্টার বা প্রথম আলো নয়—আজ আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত ‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ সহিংসতাবিরোধী প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবাদপত্রের ওপর হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটি সরাসরি গণতন্ত্র ও জুলাই বিপ্লবের ওপর আঘাত। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
‘আমি জানি না আমরা এই মুহূর্তে কোন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার বয়স ৭৮। সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখব বলে। আজ যে বাংলাদেশ দেখছি, এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি।’
তিনি বলেন, আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার তার ওপর আবার আঘাত এসেছে, জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আজ সেই জায়গায় আঘাত এসেছে। তাই আমার অনুরোধ, কোনো রাজনৈতিক চিন্তা নয়, দল নয়, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের এক হওয়ার সময় এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই, আমরা যারা আমাদের বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই, তাদের শুধু সচেতন হলে চলবে না, রুখে দাঁড়াতে হবে। এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, এখানে এসে শুধু একাত্মতা ঘোষণা নয়, মানববন্ধন করে সংহতি প্রকাশ করা নয়, আজ সর্বক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে আপনারা যারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন, এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি থাকে, সে নীতি পছন্দ না হলে গণমাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কোনও গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, যখন প্রথম আলোতে আগুন দেওয়া হয় তখন মাহফুজ আনাম বুঝতে পেরেছিলেন ডেইলি স্টার ভবনে হামলা হতে পারে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনও পর্যায় নেই, যেখানে ডেইলি স্টারের প্রটেকশন দেওয়ার অনুরোধ করেননি। কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দেননি। সেদিন যদি আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বলত তাহলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে সাংবাদিকরা মারা যেতেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না। সেই লক্ষ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমরা একটা মহা সম্মেলন করবো। সেই মহাসম্মেলন এর মাধ্যমে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমার বিশ্বাস, এর মধ্যে সরকার যারা দায়ী, যারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে আগুন দিয়েছে, উদীচিতে আগুন দিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনবে।
প্রতিবাদ সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
৪ দিন আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রেস উইং জানিয়েছে, শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে তার আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন যে তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকা দিয়ে তিনি মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন, যা ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪ দিন আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি।
ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ময়মনসিংহে হিন্দু তরুণ দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত কাজ। আমরা কোনো ক্রমে আইন হাতে নিতে দেব না। আইন হাতে নেওয়াটা একটা রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় বাধা।’
মব জাস্টিসকে যাতে প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, সে জন্য আজ সকালেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের গ্রুপে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যে বা যারা এই মানুষটাকে পিটিয়ে মেরেছে এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখন সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। কিছু ঘটনা যে ঘটছে না—এমন নয়, তবে আমরা যতটুকু এই পর্যন্ত এসেছি, আমরা আশাবাদী যে নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বতঃস্ফূর্ততার মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারব। এই পরিবেশ এখনো বহাল আছে।
ছায়ানটেও হামলা হয়েছে। শিবিরের কেউ কেউ বলেছে যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কে কী বলল, সেটা তো আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে কথা হচ্ছে যে আমরা যেহেতু সরকারে আছি, সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে, এটা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি। এদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
৫ দিন আগে
ডেইলি স্টার-প্রথম আলোয় অগ্নিসংযোগ জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন
দেশের দুটি শীর্ষ গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে জাতির জন্য ‘লজ্জার’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসব ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, পত্রিকা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। পত্রিকা একটি বিমূর্ত শব্দ, সেটাকে মূর্ত করেন আপনারা (সাংবাদিকরা)। জাতির বিবেক, জাতির মতামত—যা কিছু প্রতিফলিত হয়, তা সংবাদপত্র, গণমাধ্যমের মাধ্যমে হয়।
তিনি বলেন, সমাজের সেই দর্পণ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে, কিন্তু সাংবাদিকদের দর্প যেন চূর্ণ না হয়। আপনারা যদি যদি রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার চান, সংস্কারকৃত সামজ ও রাষ্ট্র চান, গণতান্ত্রিক সংস্কার চান, সর্ব পর্যায়ে বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ করতে চান, আপনারাই পারবেন। আপনারাই সমাজের দিকনির্দেশক। রাজনীতিবিদরা সরকার পরিচালনার সময় ড্রাইভিং সিটে থাকেন, কিন্তু তাদের আপনারা পথনির্দেশ না করলে সমাজ বিচ্যুত হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমেও ওপর যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের খ্যাতনামা পত্রিকা—প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার যেভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সারা বিশ্ব সেটা দেখেছে। জাতি হিসেবে সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা শুধু দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে সমাপ্ত করতে পারব না।
৫ দিন আগে
সহিংসতায় জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার আহ্বান অ্যামনেস্টির
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক অফিস।
পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, হাদি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়টিতে সহিংসতায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট-এর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এছাড়া, ওই একই দিন ময়মনসিংহে ভিন্ন এক ঘটনায় সনাতন সম্প্রদায়ের পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। পরে তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায় তাদের। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এমন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে আইনসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
৬ দিন আগে
হাদি হত্যা ও সংবাদমাধ্যমে হামলার বিচার দাবি ঢাবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং রাজধানীতে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার’র কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এ সব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গণমাধ্যমে হামলার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদি হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী উগ্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ ছাড়া নিউ এইজ-এর সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, অতীতের মতো বর্তমান সময়েও এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুনিদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিচালনা ও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে মানুষ, গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
৭ দিন আগে
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের তীব্র নিন্দা
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও নোয়াবের সভাপতি এ.কে. আজাদ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি শুধু গণমাধ্যম নয়, আমাদের সমাজ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপরও আক্রমণ। হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সংবাদকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এটি আরও একটি ভয়াবহ উদাহরণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তবে হামলার দায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। তারা পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
৭ দিন আগে
প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকদের ফোনালাপ
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হামলার ঘটনার পর পত্রিকা দুইটির সম্পাদকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আলাদা আলাদা ফোনালাপে তিনি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও তাদের সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত এই আকস্মিক ও নিন্দনীয় হামলার ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই কঠিন সময়ে সরকার দৃঢ়ভাবে দুই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পাশে রয়েছে।
ঘটনাগুলোকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য মারাত্মক হুমকি এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বিপন্ন করে।
তিনি দুই সম্পাদককে পূর্ণ নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে তিনি সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
৭ দিন আগে
৪ দিনের রিমান্ডে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রী
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে তাদের তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি রিমান্ডে, গ্রেপ্তার আরও ১ আসামি
গত ৭ জানুয়ারি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ উড়ান।
মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের আটতলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়।
প্রীতি উড়ান নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করত।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
৬৮২ দিন আগে