লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কীটনাশক খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ফাতেমা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার-চাঁদলাই গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: বিষ পান করা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি
এদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর রামেক হাসপাতাল থেকে স্বামী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে লাশ নিয়ে গেলে বিপত্তি দেখা যায়। মৃত ফাতেমা বেগমের স্বামী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে লাশ ধোঁয়ার কাজ শুরু হলে সোমবার রাত ৯টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফনে বাধা দেয়। এসময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা লাশ আটকে রেখে নিয়ে যাওয়ার দাবি করে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাত ১১টার পর আতাহার-চাঁদলাই গ্রামেই লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহতের মা শাহজাদী বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে জামাই অনেক মারধর ও নির্যাতন করে আসছে। এমনকি বিষ খাওয়ার দিনও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে তারা। খুনিদের হাতে মেয়েকে দাফন করতে দিব না বলে লাশ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু তা হলো না।
নিহতের স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, ছেলেকে বিদেশে পাঠাব। তাই শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু টাকা ধার চেয়েছিলাম। টাকা দিবে না জানার পর সামান্য কথা কাটাকাটি হয় আমাদের মাঝে। এ নিয়েই ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার ওপর কোন শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিজ অস্ত্র বুকে ঠেকিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে লাশ দাফন নিয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে