হেলমেট
হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সড়কে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের রজনীগন্ধা ফুল ও চকোলেট উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পুলিশ। ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে শেরপুর জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের খোয়াড়পাড় মোড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনের সড়কে পাঁচ উপজেলায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
‘পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন’-এমন শ্লোগানে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং চকোলেট দেয়া হয়। এ সময় শহরের ব্যস্ততম চার রাস্তার মোড় খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় মোটরবাইক চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ বাইক ব্যবহারকারীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়। এছাড়াও যেসব চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে চকোলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করা হয়।
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম উপস্থিত মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দুর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।
তিনি জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পুলিশের ফুল ও চকোলেট উপহার পেয়ে খুশী মোটর সাইকেল চালক রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, যখন পুলিশ থামতে বলে ভেবেছিলাম না জানি কোন বিষয়ে ধরা খাইছি। প্রথমে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ সুপার নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট দিলে আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
আরেক মোটরবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, যখন আমারে থামাইলো পুলিশ, বললো হেলমেট নেই কেনো। খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়, কী শাস্তি হয়। কিন্তু এসপি সাহেব মোটরবাইকের চাবি প্রথমে নিলেও ভালোভাবে আমাকে হেলমেট পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, আইন মানতে বলেছেন। একপর্যায়ে চকোলেট দিয়ে হাতে বাইকের চাবিটাও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছে, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিরণ মিয়া, টিআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
২ বছর আগে
হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী পরিচালিত হতো। তার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এর টেন্ডার বাণিজ্য, চাকরি দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করতো বাবর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল, ডিবির ওসি রাকিবুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই রুবেল- বরকতের অবৈধ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়ার পেছনে আসামিদের সহযোগিতা ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
পুলিশ আরও জানায়, ঢাকা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আসামি বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবর সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এএইচএম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।
এই ১০ আসামির মধ্যে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম এখনও পলাতক, বাকিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে বাবরের গ্রেপ্তারের খবরে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ আনন্দ মিছিল করে। আনন্দ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামিম হক, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে গিয়ে সমাবেশ ও মিষ্টি বিতরণ করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
২ বছর আগে
মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
নিরাপত্তা কোনো অভিজ্ঞতা বা যানবাহনের ধরনের উপর নির্ভর করে না। বিশেষ করে মোটর বাইক ক্রয়ের পর নিরাপত্তার জন্য অবধারিত বিষয় রাইডিং সেফটি গিয়ারে বিনিয়োগ করাটা অতিরঞ্জিত কোন ব্যাপার বা বিলাসিতা নয়। ব্যয়বহুল হওয়ার জন্য অনেকেই এতে বিনিয়োগ করতে গড়িমসি করেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, একজন মানুষের জীবনের চেয়ে সেফটি গিয়ারের মূল্য বেশি নয়। তাই মোটর বাইক রাইডারদের উদ্দেশ্য করে আজকের ফিচার সেফটি গিয়ার নিয়ে।
বাইক রাইডিং-এর সময় সেফটি গিয়ারের প্রয়োজনীয়তা
শরীরের বিভিন্ন অংশের সুরক্ষা
প্রতিটি সেফটি গিয়ার শরীরের নির্দিষ্ট অংশ রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একটি হেলমেট শরীরের হাড়ভাঙা বা অন্যান্য আঘাত থেকে নিস্তারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
হেলমেট ছাড়াও সেফটি গিয়ারের মধ্যে আছে হাঁটু এবং কনুই গার্ড, চেস্ট আর্মার, রিফ্লেক্টর, জ্যাকেট, বুট এবং গ্লাভ্স।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
দীর্ঘমেয়াদে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ বাঁচাতে
মোটর বাইকের দুর্ঘটনা অন্য যে কোন যানবাহনের দুর্ঘটনা থেকে অত্যধিক গুরুতর হয়ে থাকে। তাছাড়া কখনো ছোট্ট একটি আঘাতও বড় কোন বিপদের কারণ হয়ে দাড়ায়। আর সেই বিপদ সামাল দিতে পাহাড়সম খরচের সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালের খরচ চালাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সঠিক সেফটি গিয়ারে বিনিয়োগ এই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা ও খরচ থেকে বাঁচাতে পারে।
কিভাবে সেফটি গিয়ার মোটর বাইক রাইডারের দেহকে রক্ষা করে
মাথা বাঁচাতে হেলমেট
হেলমেট পরা কখনই একজন রাইডারের জন্য ঐচ্ছিক বিষয় নয়। হেলমেট ছাড়া মাথা সমূহ বিপদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে যায় বিধায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মানবদেহে মাথা সবচেয়ে সংবেদনশীল আর এ কারণেই বিচারব্যবস্থায় হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো বে-আইনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
দুই পায়ের নিরাপত্তায় বুট
যে কোন দুর্ঘটনায় পা সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে থাকে। মোটর বাইক ভালোভাবে চালানোর সময় ভারসাম্যের জন্য দুই পায়ের ভূমিকা অপরিসীম। পাশাপাশি আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষার নিমিত্তে পূর্ব সতর্কতায়ও পায়ের ব্যবহার করেন মোটর বাইক রাইডাররা। তাই পা থাকতে হবে যথাসম্ভব সুরক্ষিত বন্ধনীতে। আর এর জন্য আছে বিশেষভাবে ডিজাইন করা বুট। এগুলো পড়ে যাওয়া বা অন্য রাইডারের সাথে সংঘর্ষের সময় পা-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
হাড়ভাঙা ও ক্ষত-বিক্ষত হওয়া থেকে বাঁচাতে পোষাক
মোটরসাইকেল-এর দুর্ঘটনাগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে আরোহীর হাড় ভাঙ্গা ও শরীর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ার দিকে ধাবিত করে। মোটর বাইক রাইডারদের জন্য বিশেষ ভাবে বানানো জ্যাকেট, চেস্ট গার্ড, প্যান্ট এই দুর্ঘটনার গুরুতর প্রভাব থেকে রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: শীতের মৌসুমে বাইক রাইড করার প্রয়োজনীয় টিপস
৩ বছর আগে