লিজা আক্তার
টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌতুকের টাকার দাবিতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার টঙ্গী পূর্ব থানায় কর্মরত এএসআই লিজা আক্তার (৩২) তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে খুলনায় কর্মরত অভিযুক্ত এএসআই এদেল হককে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
লিজা টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানার লুহুরিয়া গ্রামের গফুর মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এদেল হকের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ছাটমাধাই গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকে অভিযুক্ত এদেল হক লিজার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
পড়ুন: হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এদেল হক লিজার বর্তমান কর্মস্থল টঙ্গী পূর্ব থানায় তার বাসায় এসে পুনরায় তার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় এবং পরে এদেল হক তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। গত ১ মার্চ ছুটি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যান এবং গত শনিবার স্বামীসহ টঙ্গীতে আসেন লিজা।
পরদিন রবিবার সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ কোয়াটারের বাসায় যৌতুকের দাবিকৃত টাকা নিয়ে লিজার সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করার একপর্যায়ে রুমে থাকা ধারালো বটি দিয়ে কোপ দিলে মাথা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে জখম হন লিজা। খবর পেয়ে অন্য পুলিশ সদস্যরা লিজাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভার্প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ জানান, এএসআই লিজার মামলার প্রেক্ষিতে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
২ বছর আগে