সরিষার ফলন
ফরিদপুরে ১৫১.৩৮ কোটি টাকার সরিষার ফলনের প্রত্যাশা চাষিদের
বতর্মানে সরিষার তেলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া আর স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষিকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া বেড়েছে আবাদ। এ কারণে গত বছরের তুলনায় কয়েক হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে ফরিদপুরের কৃষকেরা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় বাজারের ভোজ্য তেলের দর বৃদ্ধিতে এবার ফরিদপুরে বেড়েছে ফরিদপুরে সরিষার চাষ। রবি মৌসুমের ফসল হিসেবে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠেই এবার আবাদ বেড়েছে সরিষার।
সার, ওষুধ, পানি ও অল্প পরিচর্যায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় দিন দিন সরিষা আবাদে ঝুকছে চাষিরা। জেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, গোলডাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাঠে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে সরিষা ফুল।
সরেজমিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে উঠেছে। হলুদ ফুলে ফুলে ভড়ে উঠেছে মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুলে ভরা সরিষার গাছ।
আরও পড়ুন: খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
৯ মাস আগে
সরিষার ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ ভাল দামে সরিষা বিক্রিও হচ্ছে। তাই উৎপাদিত সরিষার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, খেত থেকে ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত চাষিরা। কোথাও চলছে সরিষার গাছকাটা আবার কোথাও চলছে মাড়াইয়ের কাজ।
চাষিরা জানান, এবার অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ বালাইয়ের তেমন উপদ্রব না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি গড়ে সাত মণ করে ফলন পাওয়া গেছে। আর এবার শুরু থেকেই সরিষার বাজার দর ভালো রয়েছে। ফলে সরিষা আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার চাষি মোশাররফ হোসেন জানান, এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো পেয়েছেন। প্রথম দিকেই দুই হাজার আটশ টাকা মণ দরে তিনি সরিষা বিক্রি করেছে। পরে দর আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে ভাগ্য ফিরছে যশোরের কৃষকের
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার চাষি আলমগীর জানান, বৃষ্টিতে কিছু নষ্ট করেছিল যার কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬ মণ ফলেছে। দর তিন হাজার পাঁচশ টাকা মণ পেয়েছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার ছয় হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার ঘিয়ন এলাকার চাষি আবদুস সামাদ জানান, দুই বছর আগে সরিষার দর তেমন ছিল না। ১২শ থেকে ১৩শ টাকা মণ দর ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে সরিষার দর বেড়েছে। গতবার তিনি আড়াই বিঘায় সরিষার আবাদ করেছিলেন। দর ভালো পাওয়ায় এবার তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা করেছেন।
২ বছর আগে