প্রয়োগ
রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
রাজধানীতে তেলাপোকা মারার উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৪ জুন) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাদের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- শায়েন মোবারাত জাহিন (১৫) ও তার ছোট ভাই শাহিল মোবারাত জোহান (৯)। তারা মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান লিমা দম্পতির সন্তান।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার বসুন্ধরার ১ নম্বর ব্লকে তাদের নতুন বাড়িতে একটি পেস্টকন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা কীটনাশক স্প্রে করেন। কীটনাশক ব্যবহার করায় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে একদিন বাইরে অবস্থান করে।
রবিবার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসার পর কীটনাশকের বিষক্রিয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে জোহান এবং রাতে জাহিন মারা যায়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা সমস্যার জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেন, কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। বৈষম্য নিরসনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারী খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।মন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গ ভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বন্টনের দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বলে তিনি মনে করেন।বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আইনমন্ত্রী যোগ করনে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী