প্রয়োগ
নদী রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা ও দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে হবে। এলক্ষ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করা হবে। এছাড়া এ কার্যক্রমে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস ও রিভার অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নদীকে দূষণমুক্ত করতে ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, নদী শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতের অংশ হিসেবে নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। নদী রক্ষা ও দূষণমুক্ত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
নদী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তিনজন ব্যক্তিকে মার্ক এঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ দেওয়া হয়।
তারা হলেন- প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, গবেষণা ক্যাটাগরিতে গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এবং সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সুইডেন অ্যাম্বাসির পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুর রব মোল্লা, হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সেক্রেটারি শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও বিআইডব্ল্উিটিএ-র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন-জ্বালানি রূপান্তর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
৩ মাস আগে
শিক্ষার্থী নয় শুধু সন্ত্রাসীদের ওপর আইনের প্রয়োগ হবে: সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
নিরাপরাধ শিক্ষার্থী নয়, শুধু সন্ত্রাসীদের ওপর আইনের প্রয়োগ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় আইনের প্রয়োগ ঘটবে শুধু সন্ত্রাসীদের ওপরে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণসাপেক্ষে ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের ওপরে আইনের প্রয়োগ ঘটবে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনে স্লোগান দিয়েছে, পানি বিতরণ করেছে তাদেরও যেন কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। তাদের পরিবারের কোনো সদস্য যাতে কোনোভাবে নাজেহাল না হয়। তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে প্রতিটি হতাহতের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আমরা বিদেশি কোনো এক্সপার্টেরও সহায়তা নেব। এখানে আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ ও জবাবদিহির মধ্যে থাকতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুগুলো, ঘটনাগুলোকে ঘিরে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বদনাম করার এক ধরনের অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। এসব ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা যেমন বিচার চান, সরকারও একইভাবে বিচার চায়। আমরা এটার গভীরে যেতে চাই এবং প্রতিটি দায়ী ব্যক্তিকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। এ মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনার জন্য সরকার দুঃখিত।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা আবেগ নিয়ে রাস্তায় যাচ্ছেন, তাদের খেয়াল করতে হবে, আবার সন্ত্রাসীরা যদি এটাকে সুযোগ হিসেবে নেয়, আবার তারা যদি হতাহতের, সংঘাতের অবস্থা তৈরি করে, তার দায় কে নেবে? এখানে শিক্ষার্থীদের একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। কারণ তৃতীয়পক্ষ বসে আছে দেশকে অরাজক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য যারা আছে, কাউকেই গুলি করার কোনো অনুমতি ছিল না। সংবিধান ও আইনের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়েছে। তাই বলে আমি এটাও অস্বীকার করছি না, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ কেউ, মাঠে আইন ভাঙেননি। আমরা এটা তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনব। পুরো পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সরকারের দায়িত্ব হলো যারা আইন ভেঙেছে, যারা অন্যায় করেছে, সে যেই হোক তাদের আমরা তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব।’
৪ মাস আগে
রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
রাজধানীতে তেলাপোকা মারার উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৪ জুন) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাদের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- শায়েন মোবারাত জাহিন (১৫) ও তার ছোট ভাই শাহিল মোবারাত জোহান (৯)। তারা মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান লিমা দম্পতির সন্তান।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার বসুন্ধরার ১ নম্বর ব্লকে তাদের নতুন বাড়িতে একটি পেস্টকন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা কীটনাশক স্প্রে করেন। কীটনাশক ব্যবহার করায় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে একদিন বাইরে অবস্থান করে।
রবিবার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসার পর কীটনাশকের বিষক্রিয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের দ্রুত ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে জোহান এবং রাতে জাহিন মারা যায়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা সমস্যার জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেন, কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। বৈষম্য নিরসনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারী খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।মন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গ ভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বন্টনের দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বলে তিনি মনে করেন।বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আইনমন্ত্রী যোগ করনে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে