স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ সংগঠন। এটাই বাস্তবতা। জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ।’
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে এলে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার আগে তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার ছিল না। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে তার জন্য বড় দায়িত্ব ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
দল অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই ষড়যন্ত্র হয় এবং আমরা তা অতিক্রম করি। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
ছয় বছরের বাধ্যতামূলক নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার দিনের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেদিন ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন দেশ পরিচালনা করছিল যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকারীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর তার আস্থা ছিল। সেকারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে জেনেও দেশে ফিরে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বরং জনগণের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাই সে আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।’
বঙ্গবন্ধু যে ইচ্ছা ও চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার সরকার এখন কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার সব শক্তি ও সাহস আমি পেয়েছি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে।’
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল এবং এর সহযোগী সংগঠন থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এ কাজে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকালে গণভবনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের নতুন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপিত হয়েছে।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাসের বেশি সময় বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়া দিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা।
পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং তার সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত দুইটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই দিনে মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দের পূর্ণতা লাভ করে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে 'সোনার বাংলা' এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান।
মিনিস্টার (কন্স্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি একই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা বর্ণনা করেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
১০ মাস আগে
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান নাহিদা রহমান সুমনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে অবিহিত করেন এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ নামে এই সুন্দর দেশটির অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্দীপিত হয়ে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার, ব্রুনাইয়ের আইন-কানুন মেনে চলার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার উপদেশ দেন।
এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১০ মাস আগে
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১০ টাকা মূল্যের ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যের ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড আজ ঢাকা জিপিও'র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘরেও এগুলো পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী খামের জন্য ৪টি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
১০ মাস আগে
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। উভয়ই ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে সাড়ে ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্দী থাকার পর স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এরপর থেকে দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১০ মাস আগে
শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (বুধবার)।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রায় ছয় বছর নির্বাসন কাটিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন।
১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি সশরীরে নতুন স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা হিসেবে যা যা করণীয় ছিল বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাষণকালে তা করে দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সাত কোটি বাঙালি মানুষ হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে, সোনার বাংলা অর্থাৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে। যেমন; (তারা দুজনেই) সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ইতোমধ্যে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি তবে এতে আত্মতৃপ্ত হলে চলবে না। আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে চাই, যখন কোনো বাঙালি তার পাসপোর্ট নিয়ে কোনো বিদেশি মিশনে যাবে-বিদেশিরা তখন তাকে ভিসা দিতে দ্বিধা করবেনা। এমনকি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে ভিসামুক্ত যাতায়াত করা যাবে-সে পর্যায়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারিতে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, কিন্তু বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং: মোমেন
১ বছর আগে
দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
দিবসটির প্রাক্কালে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
ঐতিহাসিক দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির অবিসংবাদিত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
এ উপলক্ষে বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সুরক্ষা নির্দেশিকা বজায় রেখে সীমিত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সকল জেলা, শহর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ইউনিট, সহযোগী সংগঠন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য অনুরূপ কর্মসূচি পালন করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য দলের সকল নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগারে সাড়ে ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্দী থাকার পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
১ বছর আগে
মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে বলে দলের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির অবিসংবাদিত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
এ উপলক্ষে বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা বজায় রেখে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এছাড়াও আ.লীগের সকল জেলা, শহর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ইউনিট, সহযোগী ও সমমনা সংগঠন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য দলের সকল নেতা-কর্মী এবং সহযোগী ও সমমনা সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতির অবিসংবাদিত নেতা এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ সেনাপতি বঙ্গবন্ধু ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় আ.লীগের নবনির্বাচিত কমিটির বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিকাবের নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি
১ বছর আগে
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। সোমবার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দুতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-এর কালরাতে দেশদ্রোহী ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া (মোনাজাত) করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত বলেন দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তাঁর প্রিয় সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাঁদের মহান নেতা জাতির স্থপতি’ বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙ্গালী জাতি অনুভব করে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ।
রাষ্ট্রদূত বলেন দেশ বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ রোধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন ধবংস করতে পারে নাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাপানে ওমিক্রন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক বাস্তবায়নে সহায়ক হবে: জাপান
আগামী বছর টোকিও সফর করবেন শেখ হাসিনা, প্রত্যাশা জাপানের
২ বছর আগে