হাদিসুর রহমান
চিরনিদ্রায় শায়িত হাদিসুর
ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নামাজের জানাজা শেষে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে বরগুনা ১- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী পৌর মেয়র কবির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ভূমি কমিশনার, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ গতকাল (সোমবার) দুপুর ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে রাত ১০টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ বহনকারী ফ্রিজারভ্যানটি তার বাড়িতে রাত ১০টায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায়
উল্লেখ্য, গত রবিবার রোমানিয়া থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় আসার কথা থাকলেও ইস্তাম্বুলে প্রবল তুষার ঝড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট সময় মতো উড়তে পারেনি।
গত ৯ মার্চ যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জীবিত ২৮ নাবিক ঢাকায় পৌঁছেন। তারা ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে বুখারেস্টে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন।
রুশ আাগ্রাসনের কারণে বিএসসি জাহাজটি ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে।
৩ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর নিহত হন। এরপর থেকে জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেনের কাছে একটি বাঙ্কারে সংরক্ষিত ছিল। ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতির কারণে হাদিসুরের মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।
আরও পড়ুন: 'আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না', ছোট ভাইকে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর
২ বছর আগে
হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায়
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরের একজন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার্কিস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রবিবার রোমানিয়া থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় আসার কথা থাকলেও ইস্তাম্বুলে প্রবল তুষারঝড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট সময় মতো উড়তে পারেনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
গত ৯ মার্চ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জীবিত ২৮ নাবিক ঢাকায় পৌঁছেন। তারা ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে বুখারেস্টে পৌঁছায়, সেখান থেকে তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।
রুশ আাগ্রাসনের কারণে বিএসসি জাহাজটি ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে।
৩ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর নিহত হন। এরপর থেকে জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেনের কাছে একটি বাঙ্কারে সংরক্ষিত ছিল। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতির কারণে হাদিসুরের মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক
২ বছর আগে
‘তাকে রেখেই আমাদের দেশে ফিরতে হলো’: ইউক্রেন ফেরত মনসুরুল
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিক নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তবে দেশে ফিরতে পারলেও সহকর্মী হারানো ও যুদ্ধের মানসিক আঘাত তাদের দীর্ঘদিন ভুগাবে।
ইউক্রেন ফেরত ২৮ নাবিকের একজন হলেন মনসুরুল আমিন খান গিনি। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি বাড়ি ফেরেন। তার ফিরে আসায় সাতক্ষীরা শহরের ‘এখানেই নোঙর’ বাড়িটি যেন আলো ঝলমল হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে দূর হয়েছে পরিবারের সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও হতাশা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৯ জন নাবিকসহ ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে এবং ২ মার্চ জাহাজে বোমার আঘাতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি নাবিক হাদিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক
মনসুরুল আমিন বলেন, ‘২ মার্চ স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠি আমরা। উপরে গিয়ে দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। ধোঁয়া উড়ছে, আগুন জ্বলছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করলেও হারিয়েছি আমাদের সহকর্মীকে। তাকে রেখেই আমাদের দেশে ফিরতে হলো।’
ইউক্রেনে অলিভিয়া বন্দরে নোঙর করা ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র নাবিকরা এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে একটি নৌকা এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। নিরাপদ স্থানে রাখার পর অধিকতর নিরাপত্তার জন্য তাদের রাখা হয় বাংকারে।
‘আমরা আগুন দেখেছি, জাহাজ বিধ্বস্ত হতে দেখেছি, আমরা মৃত্যু দেখেছি’ এমন মন্তব্য করে মনসুরুল আমিন বলেন, ‘সে দৃশ্য ভয়াবহ। চারদিকে বিকট শব্দ। আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। বাড়িতে মাঝেমধ্যে ম্যাসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু আতঙ্ক আর হতাশা কিছুতেই পিছু ছাড়েনি। তবু ভরসা ছিল একদিন বাড়ি ফিরবোই।’
তিনি জানান, এ সময় তারা শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। সরকার, শিপিং কর্পোরেশন ও রোমানিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসের আন্তরিক চেষ্টায় তারা সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারায় তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই নাবিক।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
২ বছর আগে