ভুয়া চিকিৎসক
নারায়ণগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, ২ বছরের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধে শুক্রবার বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় নাজ ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ৫ ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
ভুয়া চিকিৎসক আব্দুর রশিদ সরকারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার পীর কাশিমপুর এলাকায়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলোরা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এনএসআই-এর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলোরা ইয়াসমিন জানান, আব্দুর রশিদ সরকার ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলার আমদীঘি এলাকায় আল সাফা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে ভূয়া চিকিৎসক হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গ্রেপ্তার হন।
দুই বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সেখানে দুই মাস কারাভোগ করেন।
পরবর্তীতে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সেখানকার প্রতারণার ব্যবসা গুটিয়ে নারায়ণগঞ্জে এসে পুনরায় একই ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, আব্দুর রশিদ নিজেকে মেডিসিন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় পদ্মা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এবং পঞ্চবটি এলাকায় নাজ ডায়াগনোস্টিক জেনারেল হাসপাতালে ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে রোগীদের ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনি বৈধ সনদ ও আইডি দেখাতে ব্যর্থ হন এবং নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেন।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করে সাজা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৯ম
বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
১ বছর আগে
বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রাকিবুল ইসলামের বাড়ি ঝালকাঠি পৌর এলাকায়।
আরও পড়ুন: ‘অফিস সহায়ক’ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল থেকে হাসপাতালের শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে এ্যাপ্রন পরা অবস্থায় ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ঘুরছিল রাকিব। তখন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিচয় জানতে চায়। রাকিব নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেয়। তাকে ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে যে ভুয়া চিকিৎসক তা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার অন্য কোনো মতলব ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ঢাকায় আটক ৪
২ বছর আগে