শিল্প কেন্দ্র
ইউক্রেনের শিল্প কেন্দ্রে রুশ যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারির হামলা
রাশিয়ার বিমান ও আর্টিলারি বাহিনী শুক্রবার ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ আরও বাড়িয়েছে। তারা একযোগে পশ্চিমে বিমানঘাঁটিতে এবং পূর্বে একটি প্রধান শিল্প কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে।
নতুন বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ছবিগুলোতে রুশ বাহিনীকে রাজধানীর মধ্যকার আবাসিক এলাকায় আর্টিলারির সাহায্যে ফায়ারিং করতে দেখা গেছে। ম্যাক্সার টেকনোলজিস-এর ছবিগুলোতে বড় বন্দুকের মুখে আগুনের ঝলকানি এবং ধোঁয়া দেখা যায়।
রাজধানীর পূর্ব দিকে একটি বিধ্বস্ত গ্রামের অধিবাসীরা রাশিয়ার বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পুল হল, রেস্তোরাঁ ও থিয়েটারের ভেঙে পড়া দেয়াল এবং ধাতুর স্ট্রিপের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ক্রেমলিনকে আরও বিচ্ছিন্ন এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য হারে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য হ্রাস করবে। রাশিয়ান সামুদ্রিক খাবার, অ্যালকোহল ও হীরা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সাতটি দেশের গ্রুপের সমন্বয়ে রাশিয়ার ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশ’ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম ইউক্রেনে বিমানবন্দরের কাছে রাশিয়ার হামলা
বাইডেন বলেন, ‘স্বাধীন পৃথিবী পুতিনের মুখোমুখি হওয়ার জন্য একজোট হচ্ছে।’
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রলণালয় বলেছে, গত দুই সপ্তাহে রুশ বাহিনী অপ্রত্যাশিত কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়ায়, নতুন করে সংগঠিত হওয়ার এবং গতি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়া কিয়েভের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য তার সেনাদের পুনরায় সাজানোর চেষ্টা করছে।
আক্রমণের ১৬ তম দিনে পুতিন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনায় ‘কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী ‘কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছেছে।’ যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
কিয়েভ থেকে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘এটা বলা অসম্ভব যে এখনও কত দিন লাগবে, আমাদের দেশ মুক্ত করতে। তবে এটা বলা সম্ভব যে, আমরা এটা করব।’
জেলেনস্কি বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ১২টি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে এবং সারা দেশের মানুষের কাছে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক জিনিসগুলো সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। হামলায় ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকসহ উভয় পক্ষের হাজার হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মেলিটোপোল শহরের মেয়রকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে এই অপহরণকে ‘সন্ত্রাসের একটি নতুন পর্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক
ইউক্রেনের হাসপাতালে বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৩
২ বছর আগে