বহিষ্কার
লালমনিরহাটে যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য লালমনিরহাটে যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সই করা এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। এ সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এ এইচ এম ইদ্রিস আলী ও সদস্য সচিব হাসানুল।
বহিষ্কৃতরা হলেন—উপজেলার ভাদাই ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া।
আদিতমারী উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার বলেন, ‘গোলজার হোসেন ও এরশাদ মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করতে যুবদলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
১ দিন আগে
জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জুলাইয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার(১৭ মার্চ) ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসুদ্দিন আহমেদ।
বহিষ্কৃতদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন প্রক্টর স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক স্বপন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রক্টর আরও উল্লেখ করেন, ৫০০ পৃষ্ঠার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলাদা একটি কমিটিও কাজ করছে।
২ দিন আগে
চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৭ মার্চ) শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সই করা পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা কার্যক্রম ও স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে ২ বছর ও বাকি ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।
এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।
আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।
২ দিন আগে
কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে তিনজনের সাজা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ড. এম এ রশিদ হলে ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে। কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ড. এম এ রশিদ হলের ১১৫ নম্বর রুম ও গেস্ট হাউসে পৃথকভাবে শিবির সন্দেহে জাহিদুর রহমানের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অমানবিক নির্যাতনের পর জাহিদুর রহমানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তৎকালীন হলের প্রোভোস্ট জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি গত ২৭ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাহিয়ান সেজান লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ তূর্য, আদনান রাফি ও রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজেদুল কবির, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদুজ্জামান ফাহিম, রশিদ হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান মিঠু ও মো. সাফাত মোরশেদ এবং রশিদ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিইসিএম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফখরুল ইসলাম ফারিসকে পাঁচ বছরের জন্য সনদ প্রদান না করা এবং চিরতরে প্রশংসা পত্র দেওয়া যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ তুষারকে তিন বছরের জন্য সনদ না দেওয়া এবং চিরতরে প্রশংসা পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুভেন্দ দাস এবং ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য সনদ না দেয়াসহ চিরতরে প্রশংসাপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়াও পরীক্ষার সময় অসৎ উপায় অবলম্বন করার জন্য একই সভায় ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ রায়হানকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
৪৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের নেতা ইকতার রহমানের বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের একদিন পরই অভিযুক্ত এই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জীবননগর পৌর এলাকায় নানারকম হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমন কর্মকাণ্ডে ইক্তার রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
৪৪ দিন আগে
চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের উপর হামলায় জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জাককানইবিতে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সর্বমোট ৭৩ জন শিক্ষার্থীকে আমরা বহিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে যাদের বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি। পরবর্তীতে প্রমাণ সাপেক্ষে আরও শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ৩
৫৫ দিন আগে
জাককানইবিতে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় চার শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুজনের সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত এবং ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওসিকে মারধরের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা বহিষ্কার
গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লাহর অনুসারীদের হামলায় আহত হন দুই সাংবাদিক।
শাস্তি পাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু নাঈমকে (ফোকলোর বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) স্থায়ী বহিষ্কার, সাবেক উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জয় মোড়লের (আইন ও বিচার বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকের সনদ বাতিল, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক লোবন মোখলেছের (ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ তুহিনের (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকের সনদ বাতিল এবং ছাত্রলীগকর্মী মোস্তফা ফাহিম সিরাজির (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক হিমেলকে (টিপিএস বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, সাবেক উপশিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মাছুম বিল্লাহকে (নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, ছাত্রলীগকর্মী রেজওয়ানুল কবীর রাব্বিকে (ইইই বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, আবু রায়হানকে (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, গালিব ফয়সাল নির্ঝরকে (ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) দুই বছর, সৌমিক জাহানকে (চারুকলা বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, নাঈমুল ইসলাম অনিককে (আইন ও বিচার বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, পবিত্র মণ্ডলকে (পপুলেশন সায়েন্স, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর এবং আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়ারকে (চারুকলা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, ছাত্রলীগকর্মী হাবিবুল্লাহর (আইন ও বিচার বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ ও নয়ন হাসানের (ইএসই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতক সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলে সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধলে সংবাদ সংগ্রহে গেলে এ হামলা হয়। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের সময় দফায় দফায় দুই সাংবাদিককে মেরে আহত করে নাঈমের অনুসারীরা।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও যায় যায় দিনের প্রতিনিধি আহসান হাবিব রিয়াদ।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তাদের আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে আহ্বায়ক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহকে সদস্য ও প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর সনদ বাতিল, স্থায়ী বহিষ্কার, সনদ স্থগিতসহ বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
৫৭ দিন আগে
বাকৃবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় ২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর রাত ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্যা। এ সময় তিনি বলেন, ‘২৮ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
‘অভিযুক্তরা গত ১১ জানুয়ারি রাতে গোপনে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের র্যাগিং করেছে। পরবর্তীতে তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি,’ বলেন বাকৃবির এই শিক্ষক।
‘অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলগুলোর প্রভোস্ট, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক হল থেকে তাদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন ও ননঅ্যাটাচ ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে সোহরাওয়ার্দী হলের অ্যাটাচ ২৮ জনের মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ননঅ্যাটাচদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা সর্বপ্রথম গত ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং করে। এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন শিক্ষাবর্ষের যাত্রা শুরু
৬৬ দিন আগে
মেহেরপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই যুবদল নেতা বহিষ্কার
মেহেরপুরে গাংনী পৌর যুবদলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবদল নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাংনী পৌর যুবদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম।
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, আলমগীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর যুবদলের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিউল ইসলাম বিপ্লবকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, ১ নম্বর ওয়ার্ড (বাঁশবাড়িয়া) যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩, মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল গ্রেপ্তার করে। গতকাল (শুক্রবার) আদালতে নিলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের একটি গাছের নিচে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে একই গ্রামের মো. মফিকুল ইসলামের ২ লাখ টাকা পাওনা ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর ঘাতক মফিকুলের কাছ থেকে এই টাকা ধার নেন। এরপর দেড় বছর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) চলে যান। প্রায় ২ মাস আগে আলমগীর দেশে ফেরত এলে পাওনা টাকার প্রতিশোধ নিতেই মফিকুল তার বন্ধু যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে সহড়বাড়িয়া-কামারখালী মাঠে নিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মইন উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
৭৪ দিন আগে
সার কেলেঙ্কারিতে দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে দুই ছাত্রদল নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বিজয়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- হাতীবান্ধার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রশিদুল আলম সবুজ এবং বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম সবুজ।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সকল পদ–পদবি থেকে বহিষ্কার করা হলো।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি–সম্পাদক এই বহিষ্কারাদেশে অনুমোদন দিয়েছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর দোয়ানী মোড়ে ব্যবসায়ীর পিকাআপ থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট হয়, যার মধ্যে ৪৭ বস্তা ওই দুই ছাত্রদল নেতার বাড়ি ও হেফাজত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অবশ্য পলাতক থাকায় তারা এখনও আটক বা গ্রেপ্তার হননি।
৯৮ দিন আগে