হিজলা
বরিশালে সয়াবিন খেত থেকে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
বরিশালের হিজলায় সয়াবিন খেত থেকে জামাল মাঝি নামে এক আওয়ামী লীগের এক নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
নিহত জামাল মাঝি বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ দেবনাথের অনুসারী।
তিনি উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে জানিয়েছেন পংকজ দেবনাথ।
নিহতের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, রাতে ২টার দিকে স্বামীকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান, ভালো আছেন ও নিরাপদে আছেন। পরে সকাল ৯টার দিকে জানতে পারি স্বামীর লাশ সয়াবিন খেতে পড়ে আছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় লাশ পেয়েছি। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না। তদন্ত করে বলতে পারব কারা জড়িত।
আরও পড়ুন: নাটোরে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
যশোরে ৫ কেজি স্বর্ণ ও পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সৎমায়ের ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাইদুল ইসলাম (১৪) উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাউশিয়া গ্রামের নুরু মীরার ছেলে। সে মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী ছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
ছাইদুলের ভাই ছিদ্দিক বলেন, ছাইদুল প্রতিবন্ধী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সৎ মা ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘর থেকে গরম পানি ছুঁড়ে মারেন। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর্যন্ত সৎমা তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেননি। পাঁচ দিন পর আমি নদী থেকে মাছ ধরে বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে নিই। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি ইউনুস সরদার বলেন, জন্ম থেকেই সাইদুল শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকে বিছানায় শুয়ে থাকতো। এক বছর আগে তার মা মারা গেছে। ছয় মাস আগে তার বাবা আবারও বিয়ে করেছে। তার বাবা ও ভাই মাছ শিকারে নদীতে থাকে।
ইউনুস সরদার আরও বলেন, সোমবার বিকালে সাইদুল বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য প্রতিবেশিরা দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা শুনেছে, সাইদুল খেতে চেয়েছিলো। তখন সৎ মা ফাহিমা গরম পানি ছুঁড়ে মেরেছে। এতে শরীর ঝলসে গিয়েছে। কয়েকশ’ মানুষ বাড়িতে উপস্থিত হলে সৎ মা পালিয়ে গেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জন্ম থেকে বিছানায় পড়ে ছিলো ছেলেটি। চামড়া উঠে গেছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা করে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙায় মোটরসাইলেক দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে
হত্যার পর মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়া হয় মিলনের লাশ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় গত ৬ মাস আগে পল্লী চিকিৎসক নিখোঁজের রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পল্লী চিকিৎসককে হত্যার পর লাশ মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে।
হত্যার শিকার পল্লী চিকিৎসক মিলন দপ্তরী (৩০) উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবদুল খালেক দপ্তরীর ছেলে।
হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলো- উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের পূর্ব খাগেরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রব ঘরামীর ছেলে আব্দুর রশিদ ঘরামী (৬৪) ও তার প্রবাসী ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী রাহেলা বেগম (২৭)।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ১২
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিঞা জানান, আব্দুর রশিদ ঘরামী ও তার ছেলের বউ রাহেলা হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, পল্লী চিকিৎসক মিলনের সঙ্গে রাহেলা বেগমের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক হয়। বিষয়টি রাহেলার শ্বশুর রশিদ জেনে ফেলে। পরে রাহেলার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে ফোন করে মিলনকে ঘরে আনে আব্দুর রশিদ। মিলন ঘরে আসার আগে থেকে আলমারীর পিছনে লুকিয়ে থাকা আব্দুর রশিদ এসে মিলনের চোখে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে। এসময় মিলন বিষয়টি ভালো করেননি বলে হুমকি দেয় আব্দুর রশিদকে। তখন রশিদ মুগুর (গাব গাছের লাঠি) দিয়ে সজোরে মিলনের বুকে আঘাত করে। এতে মিলন ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ ও তার পুত্রবধূ বুঝতে পারে মিলনের মৃত্যু হয়েছে। তখন তারা লাশ গুমের পরিকল্পনা করে। মিলনের পা রশি দিয়ে বেঁধে টেনে বাড়ির সামনের খালে ফেলে দেয়। সেখান থেকে টেনে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
ওসি বলেন, এই ঘটনায় মিলনের ভাই সবুজ দপ্তরী ১ ফেব্রুয়ারি হিজলা থানায় নিখোঁজের জিডি করেছিল। জিডির তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মিলনের সর্বশেষ অবস্থান জানতে পেরে আব্দুর রশিদ ও তার পুত্রবধূ রাহেলাকে সোমবার রাতে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তবে লাশের কোন সন্ধান পাননি জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে।
২ বছর আগে
বরিশালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লাখ টাকা লুটের অভিযোগ
বরিশালের হিজলায় শুক্রবার রাতে একটি জুতার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে দুই লাখ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তারেক হোসেন (৩৫) নামে এক জুতা ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৭
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাহাতুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রিপন ব্যাপারী নামে একজন ক্রেতা হিজলা বন্দরে তারেকের জুতার দোকানে জুতা কেনার জন্য আসেন। জুতা দেখার সময় ক্রেতা রিপন ব্যাপারী একটি স্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এনিয়ে দোকান মালিক তারেকের সঙ্গে ক্রেতা রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকানদার তারেক ক্রেতা রিপনকে দোকান থেকে বের হয়ে যেতে বললে রিপন ক্ষিপ্ত হয়। এরপর রাত ৭টার দিকে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানটি ব্যাপক ভাঙচুর এবং দোকানদার তারেককে ব্যাপক মারধর করে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঘটনার পর আহত ব্যবসায়ী তারেককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া বলেন, দু’পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেব। এখনও কোনো পক্ষের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়নি। ব্যবসায়ী তারেক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২ বছর আগে
হিজলায় ভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
বরিশালের হিজলায় ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাদরাসা ছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে প্রধান সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হচ্ছেন- মোটরসাইকেল চালক মহিষখোলা সিনিয়র দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাত্তার পলবানের ছেলে ইয়াসিন (১৫) এবং ভ্যানচালক মেমানিয়া ইউনিয়নের চরমেমানিয়া গ্রামের হাসেম হাওলাদারের ছেলে কুদ্দুস (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভ্যানগাড়িটি কাউরিয়া বাজার থেকে মুলাদীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কিছুটা পথ অতিক্রম করলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী মাদরাসাছাত্র ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুপুরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালকেরও মৃত্যু হয়।
হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, উভয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নছিমন চাপায় নিহত ১
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
২ বছর আগে