অপরিশোধিত
সৌদি-ইউএই থেকে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ
২০২৪ সালে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিকবিষয় সংক্রান্ত কমিটির (সিসিইএ) ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উত্থাপিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রস্তাব অনুযায়ী অপরিশোধিত তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানি করা হবে। এর অর্থ হলো সরবরাহকারী নিযুক্তের ক্ষেত্রে কোনো দরপত্র বা প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া থাকবে না।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরামকো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক অ্যাডনক সম্পূর্ণ অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবে পেট্রোলিয়ামের দাম বা মূল্য উল্লেখ করা হয়নি, কারণ এটি নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য এসেছিল।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৬৫ লাখ টন পেট্রোলিয়াম তেল আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত এবং অবশিষ্ট পরিমাণ পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের 'ভিশন ২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার' পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঢাকার কাওরানবাজারে একটি বেসরকারি কোম্পানি নিয়োগের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। নির্মাণকাজ শেষে 'ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকো-সিস্টেম' প্রকল্পের আওতায় ভবনটি পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের মাধ্যমে তেল আমদানির নতুন যুগে প্রবেশ করবে দেশ
১ বছর আগে
রিয়াদকে বাকিতে অপরিশোধিত বা পরিশোধিত তেল দেয়ার আহ্বান ঢাকার
অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদা পূরণে সম্ভাব্য সহযোগিতার জন্য সৌদি আরব কিংডম (কেএসএ) এর কাছে অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার ইউরোপের কিছু অংশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলানকে সৌদি আরব থেকে সম্ভাব্য সহযোগিতা দিতে এবং দেরিতে অর্থ পরিশোধের ভিত্তিতে অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি) আরামকো (সৌদি) থেকে অপরিশোধিত বা পরিশোধিত তেল সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবটি দেশটির যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সৌদি আরবে সার কারখানা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবকে সহজতর করতে কেএসএ-এর প্রস্তুতির কথাও জানান।
রাষ্ট্রদূত মোমেনের কাছে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এতে চলমান পারস্পরিক সহযোগিতা পর্যালোচনা এবং তা ত্বরান্বিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সৌদি আরবে সরকারি সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রশংসা করেন এবং রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কূটনৈতিকভাবে সফরের সময়সূচি ঠিক করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা সংক্রান্ত পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে গতিশীল ভূমিকার জন্য তার প্রশংসা করেন।
তারা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, জনশক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশমান সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নিওম শহরের উল্লেখ করে সৌদি আরবে আরও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসায় দক্ষ কর্মী ও প্রযুক্তিবিদ প্রদানে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানান। এছাড়া সৌদি আরবের ব্যবসা করার চাহিদা মেটাতে বিশেষায়িত পেশায় জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডেডিকেটেড বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নিয়োগের জন্য সরকারের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সৌদি বিনিয়োগের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২-এ সম্ভাব্য অর্থায়নের সম্ভাবনা খুঁজতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
বহুপক্ষীয় ফোরামে সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে মোমেন রিয়াদে এক্সপো-২০৩০ আয়োজনে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং বহুপক্ষীয় ফোরামে অব্যাহত সমর্থনের জন্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
কসমস আতেলিয়ার ৭১-এ চলছে প্রিন্ট মেকিং ওয়ার্কশপ ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স
১ বছর আগে
২৯ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রামে দুই জাহাজ
দেশে ভোজ্য তেলের বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও অস্থিরতার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৯ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে এসেছে দুটি জাহাজ।
এছাড়া আগামী ১৯ মার্চ শনিবার ৪৩ হাজার টন আমদানি করা সয়াবিন তেল নিয়ে আরেকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ ‘এমটি লুকাস’ নামে একটি মাদার ট্যাংকার এনেছে ১২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন। এর মধ্যে টিকে গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল এনেছে চার হাজার টন, আর সুপার অয়েল রিফাইনারি এনেছে আট হাজার টন। এছাড়া ১২ মার্চ বহির্নোঙরে আসা ‘এমটি প্যাসিফিক রুবি’তে এসেছে ১৭ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এর মধ্যে রয়েছে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির সাত হাজার টন, সিটি এডিবল অয়েলের ১০ হাজার টন। এছাড়া ৪২ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে আরেকটি জাহাজ আগামী শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের আউটারে আসার কথা রয়েছে।এ বিষয়ে বন্দর সচিব জানান, ১৯ মার্চ ‘এমটি স্ট্যাভেঞ্জার পাইওনিয়ার’ নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। এতে ৪২ হাজার ৮৫০ টন আমদানি করা সয়াবিন আসবে। এর আগে, গত ১০ মার্চ ‘এমটি লুকাস’ ও ‘এমটি প্যাসিফিক রুবি’ জাহাজে ৩২ হাজার টন ভোজ্যতেল এসেছে।আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, জাহাজ থেকে খালাস করে এসব তেল প্রথমে রাখা হবে পতেঙ্গার ট্যাংক টার্মিনালে। এরপর সেখান থেকে শুল্ক কর পরিশোধ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় পরিশোধন করবে। এরপর সব প্রক্রিয়া শেষ করে বাজারে ছাড়া হবে তেল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য দুটি নতুন টাগবোট কেনা হচ্ছে
চট্টগ্রামের জহুর হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ বছর আগে