জাতীয় নির্বাচন
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা খুব বেশি সময়ও দিতে চাইনা। আবার খুব কম সময়ও দিতে চাইনা। যৌক্তিক সময়ের দাবি আমাদের।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়: জামায়াতের আমীর
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে হাজী শরীয়ত উল্লাহ্ এতিম খানার আব্দুল ওয়াহিদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলল জামায়াতে ইসলামী
কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন।
কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য এ কে এম আলী মহসীন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, কুমারখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন।
আরও পড়ুন: পোশাক খাতে অস্থিরতায় আ. লীগ নেতা ও তার লোকজনের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জামায়াতের
২ সপ্তাহ আগে
যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'আমি তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) অনুরোধ করছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের অবস্থা তৈরি করুন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রতিশোধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সত্যিকারের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে যেসব ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
পরিবর্তনের জন্য ছাত্রজনতার আন্দোলনকে দুর্বল করতে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সফল হবেন অধ্যাপক ইউনূস: ফখরুল
৩ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: লুইস
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে জাতিসংঘ কি করে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে তা নিয়ে নতুন তদন্তের দিকে নজর দিতে, কিভাবে পুনর্মিলন করা যায়। এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং অবশ্যই আগামী মাসে নতুন ক্রান্তিকালীন সরকার নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সমর্থন করা।
তিনি বলেন, কী ঘটেছে সে বিষয়ে নতুন তদন্ত করতে জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোতে অগ্রসর হওয়া যায় সেজন্য তারা সকল স্টেকহোল্ডার, জড়িত সকল পক্ষ এবং সুশীল সমাজের সকল সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন।
এছাড়া আগামী মাসগুলোতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে পারে সে বিষয়টিও এেই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত বলে জানান লুইস।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এমতাবস্থায় পরামর্শ ও সংলাপের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আবারও আমরা সবসময় শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’আরও পড়ুন: সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের আহ্বান তারেকের
গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে অসাধারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
লুইস বলেন, 'দেশে শান্তি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করা, অবিশ্বাস্য বাংলাদেশ গড়ার ধারা অব্যাহত রাখা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার দায়িত্বও সকলের। 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে'
বৈঠকের বিষয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর খসরু বলেন, জাতি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা পেয়েছে এবং দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিবর্তনের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খসরু বাংলাদেশে মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে এই শঙ্কা এখন সবার মধ্যে দূর হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক-প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান খালেদার
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব অনিশ্চয়তা মোকাবিলা ও উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি বলেন,‘এই প্রচেষ্টায় আমাদের জাতিসংঘের সমর্থন দরকার এবং তারা সেই সমর্থন দিতে ইচ্ছুক।’
খসরু বলেন, 'বৈঠকে সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্মিলিত লক্ষ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সফল হবেন অধ্যাপক ইউনূস: ফখরুল
৩ মাস আগে
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি যদি গত মাসে(৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার দলের সদস্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে না দিতেন, তাহলে দেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রও ছিনতাই হয়ে যেত।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম, তা ভুলে গেলে চলবে না এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় আমরা নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করি।’
আরও পড়ুন: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পেরেছেন বা পারেননি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব জনগণ কাকে গ্রহণ করে।
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনের সংঘাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সংঘাত চাই না। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমও'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি: সংস্থাটির প্রধান
৯ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যকে 'জনমতের প্রতিফলন' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে তাদের দল।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্যের বিরোধিতা করে মন্ত্রীদের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কে না বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি? সবাই বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং টিআইবি যা বলেছে তা জনমতের প্রতিফলন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যা বলছে তাও জনমতের প্রতিফলন। ‘তাই বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী টিআইবি এটা (নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি) বলেনি। তারা যা বলেছে তা বাস্তবতা।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
এর আগে গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা বলে মন্তব্য করে টিআইবি বলেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দিতে সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশি-বিদেশি সংগঠনগুলোর মতামতের প্রশংসা করেন নজরুল। তিনি বলেন, 'নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যারা কথা বলবেন আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আমরা কী বলি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, মানুষ কী বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারকে পছন্দ করে না, যারা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। যারা অন্যায়, স্বৈরাচার, দমন-পীড়ন ও ভোট চুরির সমালোচনা করেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন তা আওয়ামী লীগ সরকার আবার ধ্বংস করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি আমরা আপনাদের জানাব।’
নজরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশালের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং খালেদা জিয়া এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা নতুন করে শপথ নিয়েছি, এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সহযোগিতায় যত দ্রুত সম্ভব আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন জিয়া।
১০ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
সফররত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' আখ্যায়িত করেছেন।
সোমবার(৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পর্যবেক্ষকরা।
তারা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখানে উপস্থিত সকল পর্যবেক্ষক একমত যে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেন, 'এটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অত্যন্ত নিরাপদ ছিল।’
মার্কিন পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলগুলোর দ্বারা ভোটারদের কোনও ভয় ভীতি দেখানো হয়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য শুভ লক্ষণ।
তিনি বলেন, 'আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। যেমন সরকারের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু আমরা যদি সামগ্রিক নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, তবে এসব ঘটনা খুবই নগণ্য।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক জিম বেটস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'আমি খুবই শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, 'আমি বলতে চাই, এটি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
জিম বেটস বলেন,‘তারা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে তা হলো কম ভোটদান: এটি একটি ভুল ধারণা। কিছু দেশে বিকাল ৫টা থেকে ৬টা বা এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।’আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম সময়ে ভোট গ্রহণ করা হয়।
বেটস বলেন, ‘সুতরাং যখন তারা বলে 'কম ভোটদান', তখন এটি সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার মতো কিছু।
জিম বেটস একজন আমেরিকান প্রাক্তন রাজনীতিবিদ যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো থেকে ডেমোক্র্যাটিক নির্বাচিত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে চার বার দায়িত্ব পালন করেছেন।
কানাডার সংসদ সদস্য চন্দ্রা আর্য এবং কানাডার সিনেটর ভিক্টর ওহ পৃথকভাবে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
কানাডার স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেন, 'আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের মৌলিক ও মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। আজ গণতন্ত্রের সত্যিকারের চেতনায় বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করে দিয়েছে আগামী ৫ বছরের জন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কারা তাদের রায় পাবে।’
চন্দ্র আর্য বলেন, তারা সবাই এখন জনগণের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন, যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং নির্বাচনী প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী ও একজন ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা ভোটারদের কাছে এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন।
চন্দ্রা আর্য বলেন, 'আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ভোটার, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীদের যে কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানাতে চাই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একজন কানাডার পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য হওয়ায় এবং পরপর তিনবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ায় আমরা ব্যক্তিগতভাবে একটি নির্বাচন পরিচালনার জটিলতা সম্পর্কে অবগত।’
কানাডার পর্যবেক্ষকরা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে এবং একটি 'অবাধ, সুষ্ঠু ও সফল' নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চমৎকার কাজের প্রশংসা করেন।’
পৃথক এক ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান আন্দ্রে ওয়াই শুভত বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'এই নির্বাচন বৈধ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
স্কটিশ এমপি মার্টিন ডে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন মোটামুটিভাবে হলেও ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
ফিলিস্তিনের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা হিশাম কুহালি বলেছেন, বাংলাদেশিদের নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত এবং নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা শান্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন লক্ষ্য করেছি। ঢাকার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সহিংসতার কোনো চিহ্ন লক্ষ্য করিনি।’
কুহালী বলেন, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি খুব সহজ এবং সরল ছিল।’
ভোট দিতে সময় লাগে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি খুবই ভালো।’
আন্তর্জাতিক এই পর্যবেক্ষক বলেন, জনগণ ভালোভাবে অবগত এবং প্রশিক্ষিত, যারা ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করছে।
ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখানে ভোটদান পদ্ধতি বিচার করতে এসেছি। আপনার প্রক্রিয়া নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত।’
আরব পার্লামেন্টের সদস্য আব্দিহাকিম মোয়ালিয়াম নির্বাচনকে 'সুন্দর' এবং অত্যন্ত কার্যকরভাবে পরিচালিত বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রশংসা করে বলেন, এটি শান্তি ও ঐক্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বর্তমানে ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ঢাকায় অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
১০ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে জনসমাগম ততই বেড়ে চলেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবার আগেই নেওয়া হয়েছে। ফলে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছেন, করছেন। শুধুমাত্র তারাই আছেন যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা খণ্ডকালীন চাকরি করছেন।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোকছেদুর রহমান পলাশ নির্জন ক্যাম্পাস দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এরকমটা শুধু ঈদের ছুটিতেই দেখা যায়। ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে এরকম খালি ক্যাম্পাস এর আগে দেখিনি।
তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করে বলেন, ক্যাম্পাস তখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
ক্যাম্পাস এভাবে খালি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যেসব ব্যবসা গড়ে উঠেছে সেগুলোতে বেশ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি হলের ক্যান্টিন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একটি দোকানের মালিক আরিফ উদ্দিন জানুয়ারির শুরুতেই দোকান বন্ধ করে চাঁদপুরে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার ডালিম সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমেছে। আমরা সাধারণত ৭০০ থেকে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার প্রস্তুত করি। এখন, তা ৩০০-এর আশেপাশে নেমেছে।’
তিনিও ভোট দিতে চাঁদপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী রাজু শেখ ভালো মানের খাবারের জন্য নির্ভর করা নতুন ক্যান্টিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুরনো ক্যান্টিনে নির্ভর করর চ্যালেঞ্জের কথা জানান। তিনি বলেন, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি চায়ের স্টল পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
১০ মাস আগে
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দিনব্যাপী সফরকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি দুপুরে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা এবং মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে অবস্থিত তার বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং তার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন।
পীরগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যান এবং এরপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
২০ ডিসেম্বর সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রা.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এছাড়া, ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার জেলা স্টেডিয়াম ও রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেব। তবে কি কারণে তা এখনই বলছি না। ওইদিনই জানাব।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন হিরো আলম।
তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করে পাওয়া যায়নি।
গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
সেদিন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও প্রার্থীতা আবেদন পত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার সই দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরমও জমা দেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।’
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলম গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানিতে ইতোমধ্যে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ওই আসনে বর্তমান এমপি জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ছাড়াও বৈধ প্রার্থী রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তফা কামাল ফারুকসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী।
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিল রিটার্নিং অফিসার।
পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থীতা ফিরে পান হিরো আলম।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে বগুড়া সদরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
১১ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধদের করা ৯৮টি আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার আরও ৬১ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (আরও) মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে আজ ৬১ জনসহ প্রথম তিন দিনে মোট ১৬৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে ৩৫টি আবেদন নাকচ করে দেয়।
ইসি প্রথম তিন দিনে এ পর্যন্ত ২৯১টি আপিল শুনানি করেছে এবং ২৭৬টি পিটিশনের ওপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ১৫টি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। ৯ জন আবেদনকারী শুনানিতে হাজির হননি।
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনে ইসিতে ৫৬০ প্রার্থীর আপিল
কমিশন ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে। কারণ মোট ৫৬১ জন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অপরদিকে আরেকটি প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫ সালের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
১১ মাস আগে