জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার নির্বাচন কমিশনের
দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে উৎসবমুখর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরই মধ্যে একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
হালনাগাদ ও শক্তিশালী ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে মার্চের পরিবর্তে জানুয়ারিতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনাও চলছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের তাৎক্ষণিক বৈঠকে এসব সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
সুবিন্যস্ত ক্রয়ের সময়সীমা
ইসি মনে করে, সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে সচিবালয় প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করতে পারবে।
কর্মকর্তারা সময়সীমা মেনে চলার জন্য সূক্ষ্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মজুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ইসির রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালির কলম, অফিসিয়াল এবং মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, চার্জার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে বিদ্যমান মজুদের পর্যালোচনা ক্রয় প্রক্রিয়াটির তাৎপর্যকে জোর দিয়েছে।
অমোচনীয় কালি, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা অবশ্যই আমদানি করতে হবে। এটি সরবরাহের জন্য সাধারণত ৭০ দিন পর্যন্ত সময় দরকার হয়। তবে ইসি উল্লেখ করেছে যে কিছু ঠিকাদার অতীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত করেছে, যা একটি দক্ষ পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে।
নির্বাচনের সময়সীমার সঙ্গে মেলানো
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে ১৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর জবাবে সিইসি এ এম এম নাছির উদ্দিন ইসি কর্মকর্তাদের এই নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে প্রস্তুতি সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে ইসি
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ওপর আস্থা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ
নির্বাচন কমিশণ ভোটার তালিকার বার্ষিক হালনাগাদ ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত।
ঐতিহ্যগতভাবে, ২ জানুয়ারি একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জনগণের প্রতিক্রিয়া আহ্বান করা হয়। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে যেকোনো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তাবিত আগাম শুরু সঠিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ইসির অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
২ সপ্তাহ আগে
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কমিশন পুরোপুরি প্রস্তুত: সিইসি
জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়ার আশ্বাস সিইসির
এ বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতির দরকার তার সবই আমাদের রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে করা প্রশ্ন তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন (ইঙ্গিত) দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল- তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি। এই মুহূর্তে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা আমাদের নেই।’
সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রশ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়ে থাকে, আমরা অবশ্যই সেটি দেখব। ২০০১ সালের সীমানায় হবে না, বর্তমানেরটার ভিত্তিতে হবে- বিষয়টি তা নয়, আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে এটি করব।’
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নির্বাচন হবে নাকি নতুন ভোটার তালিকা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে আমাদের হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। অনেকে মারা গেছেন, অনেকে বাদ পড়েছেন, অনেক বিদেশিরা ভোটার হয়েছেন, ভোটারের ডুপ্লিকেশন হয়েছে- এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা ওই তালিকা সংশোধন করব। সংশোধিত তালিকার আলোকেই ভোট হবে।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটি সময়সীমা তো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোব। আমরা পাবলিকলি কোনো রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা করছি না। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা তো থাকবেই।’
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
২ সপ্তাহ আগে
‘২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন’
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কাজ করছে সরকার। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কী হতে পারে? প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন; সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দেবে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
এর আগে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।’
২ সপ্তাহ আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
৩ সপ্তাহ আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের (জনগণকে) ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মহান বিজয়কে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ এবং অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি কী বার্তা নিয়ে এসেছেন-সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ দিনের সফর শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন ফখরুল। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ফখরুল বলেন, লন্ডনে অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তাদের আয়োজিত মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'ওখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার লন্ডন সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
৩ সপ্তাহ আগে
সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত ড. ইউনূসের
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ঘোষণায় এটি কীভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে এবং নতুন বাংলাদেশ রূপকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রত্যাশা পূরণ করবে তার রূপরেখা দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, পুরনো ধাঁচের সমস্যা এড়াতে নির্বাচনের আগেই কিছু সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় এসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ‘সরকার যদি এখন নির্বাচন করে তাহলে তা হবে সেকেলে এবং পুরোনো ধাঁচের সব সমস্যা ফিরে আসবে।’
অধ্যাপক ইউনূস নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। ‘আমরাও নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগ্রহী।’
ড. ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, সরকারের দু'টি দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন- নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করা।
তিনি বলেন, ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন কমিশন রয়েছে এবং সরকার এই মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এই কমিশনগুলোর কাছ থেকে প্রতিবেদন আশা করছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্বাচনি প্রক্রিয়া সংস্কার করা হলে তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবেন। ‘আমরা সেদিকেই যাচ্ছি ...যেদিকে দুটি প্রক্রিয়া আমাদের একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারতের এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত
শুরুতেই অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত, কারণ এটি বিজয়ের মাস। তিনি বলেন, 'আপনাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়ার জন্য এটি একটি বিশেষ উপলক্ষ।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রতি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থনের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু অপপ্রচার ও ভুল তথ্য প্রচার সত্ত্বেও বাংলাদেশে ঐক্যের একটি দৃঢ়তা
বিদ্যমান। এ সময় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রদূতরা হলেন-
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিডিএ এআই আন্দ্রে কার্সটেন্স।
নয়াদিল্লিতে ইইউ মিশনের প্রধান/প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট, বাংলাদেশে নিযুক্ত বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই ইয়ানকভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মারজে লুপ, বাংলাদেশে নিযুক্ত লুক্সেমবার্গের রাষ্ট্রদূত পেগি ফ্রান্টজেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রদূত রোবার্ট ম্যাক্সিয়ান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাইপ্রাসের মনোনীত হাইকমিশনার এভাগোরাস ভ্রিওনাইডস, নয়া দিল্লিতে হাঙ্গেরি দূতাবাসের ঢাকা অফিসের প্রথম সচিব গ্যাবর জুকস, নয়া দিল্লিতে পোল্যান্ড দূতাবাসের কাউন্সেলর জারোস্লাভ জেরজি গ্রোবেরেক, নয়া দিল্লিতে পর্তুগাল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোফিয়া বাতালহা, নয়া দিল্লিতে স্লোভেনিয়া দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইরমা সিনকোভেক, নয়া দিল্লিতে রোমানিয়া দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রুক্সান্দ্রা সিওকানেলিয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখতে চায় ইইউ
৩ সপ্তাহ আগে
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা খুব বেশি সময়ও দিতে চাইনা। আবার খুব কম সময়ও দিতে চাইনা। যৌক্তিক সময়ের দাবি আমাদের।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়: জামায়াতের আমীর
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে হাজী শরীয়ত উল্লাহ্ এতিম খানার আব্দুল ওয়াহিদ হলরুমে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলল জামায়াতে ইসলামী
কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন।
কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য এ কে এম আলী মহসীন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, কুমারখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন।
আরও পড়ুন: পোশাক খাতে অস্থিরতায় আ. লীগ নেতা ও তার লোকজনের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জামায়াতের
১ মাস আগে
যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'আমি তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) অনুরোধ করছি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনের অবস্থা তৈরি করুন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রতিশোধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সত্যিকারের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে যেসব ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
পরিবর্তনের জন্য ছাত্রজনতার আন্দোলনকে দুর্বল করতে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সফল হবেন অধ্যাপক ইউনূস: ফখরুল
৪ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: লুইস
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে জাতিসংঘ কি করে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পারে তা নিয়ে নতুন তদন্তের দিকে নজর দিতে, কিভাবে পুনর্মিলন করা যায়। এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং অবশ্যই আগামী মাসে নতুন ক্রান্তিকালীন সরকার নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সমর্থন করা।
তিনি বলেন, কী ঘটেছে সে বিষয়ে নতুন তদন্ত করতে জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলোতে অগ্রসর হওয়া যায় সেজন্য তারা সকল স্টেকহোল্ডার, জড়িত সকল পক্ষ এবং সুশীল সমাজের সকল সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন।
এছাড়া আগামী মাসগুলোতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে পারে সে বিষয়টিও এেই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত বলে জানান লুইস।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এমতাবস্থায় পরামর্শ ও সংলাপের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং আবারও আমরা সবসময় শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’আরও পড়ুন: সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের আহ্বান তারেকের
গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে অসাধারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
লুইস বলেন, 'দেশে শান্তি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করা, অবিশ্বাস্য বাংলাদেশ গড়ার ধারা অব্যাহত রাখা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার দায়িত্বও সকলের। 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে'
বৈঠকের বিষয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর খসরু বলেন, জাতি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা পেয়েছে এবং দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিবর্তনের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খসরু বাংলাদেশে মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে এই শঙ্কা এখন সবার মধ্যে দূর হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক-প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান খালেদার
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব অনিশ্চয়তা মোকাবিলা ও উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি বলেন,‘এই প্রচেষ্টায় আমাদের জাতিসংঘের সমর্থন দরকার এবং তারা সেই সমর্থন দিতে ইচ্ছুক।’
খসরু বলেন, 'বৈঠকে সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্মিলিত লক্ষ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সফল হবেন অধ্যাপক ইউনূস: ফখরুল
৪ মাস আগে
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি যদি গত মাসে(৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার দলের সদস্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে না দিতেন, তাহলে দেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রও ছিনতাই হয়ে যেত।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম, তা ভুলে গেলে চলবে না এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় আমরা নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করি।’
আরও পড়ুন: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পেরেছেন বা পারেননি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব জনগণ কাকে গ্রহণ করে।
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনের সংঘাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সংঘাত চাই না। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমও'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি: সংস্থাটির প্রধান
১০ মাস আগে