জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তবর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। কিছু শক্তি এখনও নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা করলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মৌনির সাতুরির নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের (এমইপি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি। রমজানের ঠিক আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এটি অনুষ্ঠিত হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিন দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন শুরু হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উৎসাহ বাড়ছে।’
তরুণ ভোটাররা রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দেবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো তাদের মধ্যে অনেকে ভোট দেবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনা প্রত্যক্ষ করবে। এটি আমাদের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করবে– জাতির জন্য একটি নতুন যাত্রা।’
ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।
কোনো সরকার নাগরিকের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করতে পারে না: অধ্যাপক ইউনূস
সফররত আইনপ্রণেতারা আশা করেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে। একজন আইনপ্রণেতা গত ১৪ মাসে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
৭৮ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাবে বিএনপি
আগামী ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে সরাসরি জনসংযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে দলটি ব্যাপকভাবে ভোটারদের আস্থা পুনঃস্থাপন, প্রতিপক্ষের প্রচারণা মোকাবিলা ও নির্বাচনী মাঠে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিতের প্রচেষ্টায় ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “আমাদের ‘ডোর টু ডোর’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারী ও যুবসমাজকে সক্রিয় করা এবং গত কয়েক বছরে দলের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত আস্থা পুনঃস্থাপন করা।”
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সমর্থকদের নির্বাচনমুখী করার জন্য বিএনপি ১৫০টিরও বেশি আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের পরিচয় করানোর পরিকল্পনা করেছে বলে জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ—ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি এবং ইসলামি দলগুলোর সাম্প্রতিক কর্মসূচির কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দলের নীতিনির্ধারকদের দেশব্যাপী সরাসরি গণসংযোগ ও প্রচারণা জোরদার করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
তার মতে, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের কিছু ভুল বুঝতে পেরেছে, বিশেষ করে ডাকসু নির্বাচনের পর। আমাদের প্রচারণার উদ্দেশ্য হলো সেই ত্রুটিগুলো জনগণের কাছে স্বীকার করে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।’
‘ফলে নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীরা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে সরকারি ক্ষমতা না থাকলেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে নিজেদের গুরুত্ব ও সততা প্রমাণ করেছে বিএনপি।’
‘ডোর টু ডোর’ কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ, ভারত ও অন্যান্য সংবেদনশীল ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান নিয়ে ছড়ানো নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবিলা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, বৈঠকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোর ঘোষিত কর্মসূচিও পর্যালোচনা করা হয়েছে। এগুলোকে রাজনৈতিক দরকষাকষির অংশ হিসেবে দেখছি। তবে এর বাইরে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাব।
এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান তারেক রহমানের
ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রচারণায় শুধু পুরুষ নেতা-কর্মীরাই নন, নারী নেতা-কর্মীরাও সরাসরি অংশ নেবে। আমরা মানুষকে বোঝাব, কেন নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।’
দলটির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য জানিয়েছেন, বিএনপি অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যাতে প্রতিটি আসনে একজন প্রার্থী নিশ্চিত থাকে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই স্থানীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং এড়িয়ে দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই সনদ ও পিআর পদ্ধাতির নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে বিএনপি মুখোমুখি রাজনীতি এড়িয়ে জনসংযোগে মনোযোগ দিচ্ছে। দল জনগণের কাছে তাদের অবস্থান ও নির্বাচনের ভিশন ব্যাখ্যা করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাবে।’
জনগণের মধ্যে বিএনপিকে নিয়ে ভুল ধারণা দূর করতে এবং কেন কিছু সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করতে এই কর্মসূচি সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও বলেছেন, ‘আমরা জনগণের কাছে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাব। আমাদের লক্ষ্য জনগণের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান শেয়ার করা, সরাসরি অন্য দলের কর্মসূচি মোকাবিলা করা নয়।’
তবে এই প্রচারণা কখন শুরু হবে তা রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, জামায়াত ও অন্যান্য দল তাদের দাবিসহ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো সরকারের দায়িত্ব। কোনো দল যেকোনো কিছুর দাবি করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারকেই প্রতিক্রিয়া দিতে হবে।
নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার আহ্বান
তিনি আরও বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। ইতিহাসে দেখা গেছে, ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাসে সফল হলেও সংসদ নির্বাচনে তার প্রভাব দেখা যায়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের কাছে যাবে বা রাজপথে আন্দোলন করবে, এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা কোনো দলকে শত্রু মনে করি না। নির্বাচনকালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, তবে আমরা সব দলকে রাজনৈতিক বন্ধু ও সঙ্গী মনে করি। জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে রাজনীতি করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, জামায়াত ও কিছু ইসলামি দল তাদের দাবিসহ রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি তাদের বার্তা, বক্তব্য ও মতামত জনগণের কাছে পৌঁছে দেবে, এবং জনগণ তা বিচার করবে।এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘জনসংযোগের বিভিন্ন মাধ্যম, যেমন: মিছিল, র্যালি, জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করা হবে। বিএনপির অবস্থান কী, জনগণের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং জনসমর্থন অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
৭৯ দিন আগে
কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে না: শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই এটি প্রতিহত করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি সেটি সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মাগুরার পারন্দুয়ালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রেস সচিব বলেন, যারা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন, তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্ষা শুরু হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষা শেষ হলে দেখবেন পাড়া মহল্লায় নির্বাচনের আমেজ নেমে এসেছে। সম্ভাব্য প্রার্থী ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। পাড়ায় পাড়ায় ভোটের অফিস হবে। এই ভোটের আমেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। আমরা নিশ্চিত, তখন কারো মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহটুকু চলে যাবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই হবে।
পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম। একই এলাকার আল আমিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকাতে। উনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে। উনার কবর মাগুরা উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি ৮ জনের প্রত্যেকের কবরস্থানে যাবো।
শফিকুল আলম বলেন, এই শহীদরা নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা। তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। আমরা এখন পলিটিকাল সেটেলমেন্ট করছি। সামনে সুন্দর একটি নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, শহীদদের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশটা পেয়েছি। সেজন্য তাদের সম্মান জানাতে কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
১১১ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আগামী জাতীয় নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে ভোটের ব্যাপারে সংশয় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুনছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে, কিন্তু ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকবে।
তিনি বলেন, যত রক্ত ঝরুক, এখনো গণতন্ত্র হাতের নাগালের বাইরে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা সতর্ক করেছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এজন্য আমাদের সতর্ক, শান্ত ও ধৈর্যশীল হতে হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক হয়েছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, লড়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রের জন্য।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া নিজে কখনো জন্মদিন পালন করতেন না, আমরাই করতাম। মানুষ যখন তাকে সমালোচনা করত, খালেদা কখনো জন্মদিন উদযাপনের পক্ষে ছিলেন না। তিনি সবসময় তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য দোয়া কামনা করতেন।
পড়ুন: জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনপ্রিয়তার কারণে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের বিশ্বাস অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান। যদি আমরা সত্যিই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, এবং যদি আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তবে আমাদের জনগণের মন জয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বকশাল তুলে গণতন্ত্র ফিরিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সামরিক স্বৈরশাসনের কবর থেকে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছেন এবং তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে আবারো গণতন্ত্রের সূচনা হবে।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
১১১ দিন আগে
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কাজেই নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বিভাগওয়ারি প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটের সময় কোনো একটি কেন্দ্রে গণ্ডগোল হলেই ওই আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না। গত নির্বাচনে যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
নাসির উদ্দিন বলেন, এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে না। তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে তারিখ জানানো হবে। তবে স্বল্প সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
এর আগে সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চলসহ রংপুর অঞ্চলের সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব—এই বিষয়েই আমরা কাজ করছি। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
পড়ুন: নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হোক, যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। নির্বাচনের দিন অনেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না, বাসায় আরাম-আয়েস করে। অনেকেই মনে করে, ভোট দিতে গিয়ে কী হবে? কেউ না কেউ তো আমার ভোটটা দিয়ে দিবে। এই ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে।
‘এই মনোভাব দূর করাই নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই এবং পরামর্শ চাই।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, অস্ত্রের চেয়ে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই-এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না, সাংবাদিকরা আমাদের পক্ষ। যারা প্রফেশনাল সাংবাদিক, তারা আমাদের হয়ে কাজ করবেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন—এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।
এআইয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এটি মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় নাগরিকদের উদ্দেশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি ঈমানি দায়িত্বও বটে।
১১৭ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনই এখন প্রধান কাজ: প্রধান উপদেষ্টা
একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ করে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘সভার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে ৫ আগস্ট আমার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
আগামী নির্বাচন ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা আরও দুটি চলমান বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন—সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া এবং চলমান বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আলী রীয়াজ শিগগিরই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচির হালনাগাদ তথ্য জানাবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম চলমান বিচারসংক্রান্ত অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে থাকবেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, সরকার পুলিশ সদর দপ্তরকে স্বচ্ছভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং নিয়মিত পরিসংখ্যানসহ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করতে বলেছে।
‘পুলিশ সদর দপ্তরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে—এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না,’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রেস সচিব।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর পুরোপুরি স্বচ্ছভাবে কাজ করছে এবং তারা প্রতি মাসে অপরাধ পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব জুলাই মাসের পরিসংখ্যান দেখে নিতে।
‘প্রশাসন ভেঙে পড়েছে—এমন দাবিও ঠিক নয়, বরং প্রশাসন সচল না থাকলে বিগত মাসগুলোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্ভব হতো না।’
প্রধান উপদেষ্টা তার মঙ্গলবারের টেলিভিশন ভাষণে বলেন, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া দৃঢ় গতিতে এগোচ্ছে। বিচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুনানি পর্বও শুরু হয়েছে। ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যায় জড়িতদের এ দেশের মাটিতেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া ও এর ফলাফল ধাপে ধাপে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ন্যায়বিচারের পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং জনগণের চোখের সামনে দৃশ্যমান রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের আগেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছে।
এই চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত মানের ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর’ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।
এই পদক্ষেপটি এসেছে অধ্যাপক ইউনুসের ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবসে’ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের পরদিন। ওই ভাষণে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানাবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা অবিলম্বে শুরু করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা বিগত ১৫ বছরে ভোট দিতে না পারা নাগরিকদের জন্য একটি আনন্দময় ও উৎসবমুখর দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দেন, সরকার নির্বাচনের প্রত্যাশিত ‘সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর’ আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
১১৯ দিন আগে
বিএনপি বিজয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের নিয়ে জাতীয় সরকার হবে: নজরুল ইসলাম
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে নিয়ে একটি জাতীয় বা ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ওপর জোর দেন।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ও জুলাই চেতনা নিয়ে একটি ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৬ বছরের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলেই সংঘটিত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান। আমরা বারবার লড়াই করে বিজয়ী হলেও সেই বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বীর সেনানীদের সবাইকে আমাদের ধারণ করতে হবে। এরাই রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছেন।’
‘দুর্নীতি-অনাচার থেকে যদি আমরা জাতিকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে আমাদের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য প্রয়োজন—যে ঐক্য জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে,’ যোগ করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে, আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন—স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা ছিলেন—তাদের সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার বা ঐক্যমতের সরকার গঠন করা হবে। পতিত আওয়ামী লীগ এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন থাকতে হবে।
“বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব যতই থাকুক না কেন, এরা কেউই অগণতান্ত্রিক দল নয়। সবাই গণতান্ত্রিক দল। কাজেই নির্বাচনের ব্যাপারে কারো কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা সবই নির্বাচনের পক্ষে আছে। তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চাই,” বলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ নামের একটি বিতার্কিক সংগঠন এই ছায়া সংসদের আয়োজন করে। এতে তেজগাঁও কলেজকে পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
১২৪ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্ব ঘটাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে: অভিযোগ ডা. জাহিদের
জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘একটি সুস্পষ্ট চক্রান্ত চলছে, যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো যায়, তাহলে কয়েকটি পক্ষ এতে লাভবান হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রাঙ্গণে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাইয়ের পেশাজীবীদের আলোচনাসভার ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তবে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. জাহিদ। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরা আশাবাদী যে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে।’
রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো ধরনের অন্যায় বা অপরাধকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবারের (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অপরাধ মানেই অপরাধ—এতে কোনো দলীয় পক্ষপাত নেই, বিএনপি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না।’
আরও পড়ুন: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার
ডা. জাহিদ বলেন, অপরাধকে রাজনীতিকরণ করা বা কোনো পক্ষকে দোষারোপ করতে গিয়ে তা বাড়িয়ে বা কমিয়ে তুলে ধরা সঠিক নয়। অন্যায়কে সব সময়ই অন্যায় হিসেবে দেখতে হবে। কোনো সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি কখনো অন্যায়ের পক্ষে থাকতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমনটি বিশ্বাস করি।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে করা অশালীন মন্তব্যগুলোর সমালোচনা করেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শের অনুসারী। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। আমরা কোনো চক্রান্তের অংশ হতে চাই না।’
সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে ধৈর্য ধরার, সত্য বলার ও দ্বৈত আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। ‘বিএনপি কখনো অন্যায়কে সমর্থন করে না, বরং ন্যায়বিচার চায়। বিএনপি গণপিটুনি বা বিচারবহির্ভূত সহিংসতাকে সমর্থন করে না,’ বলেন ডা. জাহিদ।
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতার ‘বিএনপিকে জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে’ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি তার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। আমার মনে হয়, যারা এমন মন্তব্য করেন, তারা হয়তো রাজনৈতিক বোধ ও অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভোগেন। জনগণ ঠিক করে দেবে কে লাল কার্ড পাবে আর কে সবুজ।’
তিনি ঝালকাঠি থেকে নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ‘বিএনপি মুজিববাদের রক্ষক হয়ে উঠছে’ অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই খবর দেখেছি। কারা আসলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে এবং কারা করছে না, তা জনগণের চোখে স্পষ্ট।’
১৪২ দিন আগে
অধ্যাপক ইউনূসের নির্দেশে দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে ইসি, আশা ফখরুলের
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন দ্রুত তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠান থেকে অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন খুব দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, আমাদের দল চায় নির্বাচন কমিশন এমনভাবে কাজ করুক—যাতে এটি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে। ‘আমরা আশা করি তারা সেভাবেই কাজ করবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত তা নিয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল। তবে নির্বাচন নিয়ে কিছু মহল যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে—তা উড়িয়ে দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কেন নির্বাচন হবে না? এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। তারা নির্বাচনের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংসদ চায়।’
ফখরুল বলেন, নির্দিষ্ট একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারের বিরোধিতাকারী দল হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করচে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপিই বাংলাদেশে সকল বড় সংস্কার শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার আমাদের রক্ত ও ডিএনএতে আছে। আমরা সংস্কারের মাধ্যমেই জন্মগ্রহণ করেছি।’ তাই, এটা বলা অন্যায্য যে বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে। বিএনপি সংস্কারে বাধা দিচ্ছে দাবি করার চেয়ে সত্যের বিকৃতি আর কিছু হতে পারে না।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা কেন সবকিছু আশা করব?’
জুলাই সনদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি এর আগে সরকারের কাছ থেকে খসড়া পাওয়ার পর বুধবার রাতে তাদের মতামত জানিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। ‘তাহলে, সমস্যা কোথায়?’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকতে পারে, কিন্তু দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের বিরোধীদের কথা বলার সময় বা সমালোচনা করার সময় সতর্ক ও সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করার আহ্বান জানান—যাতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য সম্পর্কে মানুষ ভুল বার্তা না পায়।
জামায়াত নেতা সকল গণতন্ত্রপন্থী দলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে যেকোনো অনৈক্য ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানে সাহায্য করতে পারে।
সাংবাদিকদের সভ্যতার ব্যারোমিটার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি গণমাধ্যমকে ন্যায্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অনুশীলন করে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।
পরওয়ার অভিযোগ করেন, কিছু গণমাধ্যম গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ তৈরির জন্য জামায়াত, বিএনপি এবং অন্যান্য দল সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ জেড এম জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা উৎখাতে ভূমিকা পালনকারী তরুণ নেতাদের মানসিকতা ও মনোভাবের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় তিনি বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তরুণ নেতাদের আরও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, তাদের কাজে ও কথায় অহংকার এড়াতে হবে। ‘আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আপনাদের কথা ও কাজে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারীদের মানসিকতার প্রতিফলন না হয়।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংস্কার প্রস্তাবনা সম্পর্কে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি।
তবে, নির্বাচনকে সামনের রেখে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেন।
মান্না সতর্ক করে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। যেকোনো বিলম্ব দেশকে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ‘একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে গণঅভ্যুত্থান সফল হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা ফখরুলের
১৪৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোরভাবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘এআইয়ের অপব্যবহার আমাদের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছি। কারণ, গত বছর ওই দেশটি নির্বাচনে এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আমরা তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরামর্শ চেয়েছি এবং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ইসির অবস্থান
গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে অভিহিত করা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার আমন্ত্রণ জানাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি নাসির উদ্দিন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা গত তিনটি নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলেছে, আমরা কেন তাদের আবার আমন্ত্রণ জানাব? আমরা কেবল সেইসব পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব, যারা নির্ভরযোগ্য, অভিজ্ঞ এবং বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা রাখেন। অতএব, আমরা তাদের নেব এবং আগের তিন নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেওয়া পর্যবেক্ষকদের বাদ দেব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত
আগামী নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, কানাডার কূটনীতিকরা নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাব্যতা জানতে চেয়েছেন। এর জবাবে কমিশন তাদের যাবতীয় প্রস্তুতির কথা বিস্তারিত জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কমিশন সারা দেশে ভোটারদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে। ভোটকেন্দ্রের কর্মী, পর্যবেক্ষক এবং পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে।
সিইসি বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়ায় কানাডা আমাদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব— তা অব্যাহত থাকবে।’ তারা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।’’
তিনি জানান, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতিতে বিদেশি দেশগুলো আস্থা প্রকাশ করেছে। কানাডা আমাদের প্রতিশ্রুতি শুনে খুশি। তারা কমিশনের প্রতি খুবিই সন্তুষ্ট।
নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কানাডার কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে কিনা। আমি তাদের বলেছি, এখনো কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।’
১৪৯ দিন আগে