ঝড়
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ঝড়ে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারী বৃষ্টিতে নদী উপচে পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজারেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছে। এছাড়াও শত শত মানুষ বন্যায় আটকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৩, নিখোঁজ ২
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, তার রাজ্যে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে রাস্তার পানিতে গাড়ি আটকে। তীব্র বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গেল এক দশকে এটিকে সবচেয়ে বৈরী আবহাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন এই মার্কিন রাজনীতিবিদ। এ সময়ে লোকজনকে রাস্তাঘাট থেকে দূরে থেকে ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, সবাই রাস্তাঘাট থেকে দূরে থাকুন। এখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময়।
ঝড় শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্যোগ ত্রাণ তৎপরতার জন্য তার অনুরোধ অনুমোদন করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ এলাকা নতুন করে ভয়াবহ শীতের কবলে পড়েছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ার কিছু অংশে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
কেন্টাকি ও টেনেসির বিভিন্ন অংশে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কিছু সময়ের জন্য এটা অব্যাহত থাকবে। প্রচুর স্রোত প্রবাহিত হবে এবং বন্যা হবে।
২৯ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। চলুন, ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণের কারণ ও পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় যে কারণে
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য আগাম প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করাটাই নামকরণের প্রধান উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনসাধারণের কথা ভেবে তাদের সতর্কতার সুবিধার্থে নামটি নির্বাচন করা হয়। তারা যেন খুব সহজেই নামটি বুঝতে ও মনে রাখতে পারে সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয়। এতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে সতর্কতা জারি করার সময় সহজে দুর্যোগের তীব্রতা বোঝানো সম্ভব হয়।
নামকরণের আরও একটি কারণ হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা। একই সময়ে একাধিক ঝড় সক্রিয় থাকলে বা আগে কোনো দুর্যোগের সঙ্গে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে আলাদা নাম সুবিধাজনক। এ সময় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হয়। এমনকি ট্র্যাকিং ও পদ্ধতিগত দিক থেকে উন্নয়নসাধনের জন্যও নামকরণের বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পদ্ধতি
Q, U, X, Y ও Z- এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালার ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে ছেলে ও মেয়েদের নাম দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল আলবার্টো, আর পরের ২টি ছিল ‘বেরিল’।
তবে কোনো বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। যেমন: হারিকেন আলফা বা বিটা।
এভাবে ৬ বছরের জন্য একত্রে অনেকগুলো নাম নির্ধারণ করে রাখা হয়। এগুলোর প্রতি ৬ বছর পর পর পুনরাবৃত্তি ঘটে। যেমন ২০০৮ সালের নামগুলো ২০১৪ সালের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়গুলো তালিকা থেকে বাদ যায়। যেমন: ২০০৫ সালের ‘ক্যাটরিনা’ ২০১১ সালে পুনরাবৃত্তির সময় বাদ দিয়ে নতুন নাম রাখা হয় ‘ক্যাটিয়া’।
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর এই নামকরণ উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়ের বিধি অনুযায়ী হয়ে আসছে। এই বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’: মধ্যরাতে জারি হতে পারে মহাবিপদ সংকেত
২০২০ সালে এই অঞ্চলের মোট ১৩টি দেশ থেকে ১৩টি নামসহ মোট ১৬৯টি নাম সামনের বছরগুলোর জন্য প্রকাশ করা হয়।
নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। ছেলে বা মেয়ের নামে হলেও এই নামগুলোর কোনোটিই নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নামকে উদ্দেশ্য করে করা হয় না। এখানে নাম নির্ধারণের সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হয়, সেগুলো হচ্ছে-
> দ্রুত যোগাযোগের সুবিধার্তে নামে অক্ষরের সংখ্যা কম হতে হবে> উচ্চারণে সহজ হওয়া আবশ্যক> নির্দিষ্ট অঞ্চলে সুপরিচিত হতে হবে> একই নাম একাধিক অঞ্চলে ব্যবহার করা যাবে না> ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেন যারা
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব স্ব অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে। এগুলো হলো-
> ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি> ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন> আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি> আরএ-৪ হারিকেন কমিটি> আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি
ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি (আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া দপ্তর), ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।
এই অঞ্চলটি ভারত মহাসাগরের উত্তরে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুপুর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
বাংলাদেশে আসন্ন কিছু ঘূর্ণিঝড়
বর্তমানে বাংলাদেশ ও এর নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নাম রিমাল। নামটির প্রস্তাব করে ওমান, আরবিতে যার অর্থ ‘বালি’। এটি ২০২০ সালে ওই ১৩ দেশের প্রস্তাবিত ১৬৯টি নামের একটি।
‘রিমাল’ ছাড়াও অদূর ভবিষ্যতে আসন্ন উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামগুলো হলো- আসনা (পাকিস্তান), ডানা (কাতার), ফেঙ্গাল (সৌদি আরব), শক্তি (শ্রীলঙ্কা), মন্থ (থাইল্যান্ড), সেনিয়ার (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ও দিত্ত্ব (ইয়েমেন)।
পরিশেষ
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পেছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির এই কার্যক্রম ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে আগাম সচেতনতারই নামান্তর। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় নিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
২৯৬ দিন আগে
এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্ৰো ফার্মে বেড়ে ওঠা ২৯ মণ ওজনের ‘টাইটানিক’।
দেখতে অন্য সব গরুর চেয়ে বিশালাকার দেহের অধিকারী হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে টাইটানিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকার এমইপি এগ্ৰো ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’টির মতো গরু লালন পালন চলছে এ ফার্মে। গরুগুলো দেখা শোনার জন্য রয়েছে ১৩ জন কর্মচারী। এর মধ্যে বিশালাকার দেহের অধিকারী টাইটানিক লালন পালনে রয়েছে নির্ধারিত একজন কর্মচারী।
টাইটানিক লালন পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে এক হাজার চারশ টাকা খরচ হয়।
তাছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। খাবারে প্রতিদিন ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেয়া হয়।
এছাড়া দিনে দুইবার গোসল করানো, দেখাশোনা, নিয়মিত পরিচর্যা করাসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ইসমাইল বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা শোনার পর থেকে খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
এমইপি এগ্ৰো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কুরবানির পরপরই এই গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। এখন গরুটির ওজন হয়েছে সাড়ে প্রায় ২৯ মণ। আগে গরুটির পেছনে ৮-৯শ’ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।
৬৩৭ দিন আগে
ঝড়ের আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
স্থল নিম্নচাপ দুর্বল হলেও ঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিস এক বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের ওপর স্থল নিম্নচাপ আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে একটি সুচিহ্নিত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
বুলেটিনে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি আরও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালন ঘটছে। ঝড়ো হাওয়া সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি আসতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
৯১৭ দিন আগে
ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মেগির প্রভাবে হওয়া ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও ১১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিপাইনের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, মধ্য ফিলিপাইনে ১৬৪ জন এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনে তিনজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত
গত ১০ এপ্রিল মেগি আঘাত হানার আগে এবং পরে মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপাইন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় লেইতে প্রদেশের বেবে সিটি এবং আবুযোগ শহরে বেশ কয়েকটি গ্রামে ভূমিধস হয়।
শুক্রবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রধানত প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দ্বীপদেশটিতে গড়ে প্রতি বছর ২০টি টাইফুন আঘাত হানে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রলয়ংকারী প্রভাব ফেলে। চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে প্রথম আঘাত হানা ঝড় মেগি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’ ডুবে গেছে, স্বীকার করল রাশিয়া
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৮, নিখোঁজ ১৩
১০৬৭ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ঝড়ে মাছ ধরার নৌকাডুবে নিহত ৩, নিখোঁজ ২
নিউজিল্যান্ড উপকূলে ঝড়ো আবহাওয়ায় ১০ যাত্রীবাহী একটি মাছ ধরার নৌকাডুবে তিন জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঁখোজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার রাতে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি উত্তর উপকূলের নর্থ কেপ-এ তাদের উদ্ধারের জন্য বিশেষ সঙ্কেত পাঠায়। এরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে হেলিকপ্টারে করে অনুসন্ধান চালিয়ে পানির মধ্যে থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং জাহাজের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালিয়ে তৃতীয় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য বিমান, নৌ ও স্থলবাহিনীর অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, কাইতাইয়া হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের গাড়ি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত
অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দেয়া নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর মুখপাত্র নিক বার্ট এনজেডএমই মিডিয়া কোম্পানিকে বলেছেন, রাত ৮টার দিকে একটি জরুরি সংকেত পাওয়া যায়। রাত ১১টা ৪০মিনিটে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।
বার্ট বলেছেন, মাছ ধরার নৌকার চালককে উদ্ধার করা হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই, তবে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে পুলিশ।
১০৯৩ দিন আগে