উদ্বিগ্ন
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৯ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বক্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এতে খুবই খুশি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
মোমেন বলেন, দেশের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে এবং তাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
মোমেন এই অনুষ্ঠানটিকে কেবল একটি স্ট্যান্ডার্ড ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক। যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের মধ্যে দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
৯ মাস আগে
বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বিগ্ন ইইউ
বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল। একই সঙ্গে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার( ৫ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ৮,০০০ এরও বেশি বিরোধী দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সব ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার হওয়া উচিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ প্রতিনিধি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সংলাপে যোগ দিতে ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার অনুকূলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করা জরুরি।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয় দফায় দেশব্যাপী অবরোধ অব্যাহত রেখেছে,এতে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং আন্তঃজেলা রুটে তুলনামূলকভাবে কম যানবাহন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ৭২-এর সংবিধানের ওপর গবেষণা করার আহ্বান
১১ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মন্ত্রিসভা কমিটি, মনিটরিংয়ের নির্দেশ
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ব্যবস্থা নিতে সরকারি সংস্থাকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি; সেটা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের সরকারি যেসব সংস্থা আছে, তারা যাতে মনিটরিং করে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যারা উৎপাদন করে, প্রান্তিক চাষি তারা কিন্তু এ মূল্য পায় না, পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। যারা এটা তৈরি করে তারা কিন্তু যে দাম পায় বাজারে আমরা যখন কিনি বা ভোক্তারা যখন কেনে সেখানে অনেক তারতম্য থাকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মজুতদারিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আইনেই বলা আছে। আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করে তাদের যেন আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
১ বছর আগে
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ জনগণ সবসময় তাদের ভোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার ওপর বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করেন। আল্লাহ উপরে এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে বাঁচানোর জন্য মাঠে আছেন। আমার ওপর হামলা হলেই আমার দলের লোকজন আমাকে রক্ষা করে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়ে তাকে মানবঢাল তৈরি করে বাঁচিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কল্যাণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারলেও বারবার ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত, সামরিক অভ্যুন্থান’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মোমেন
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং সামরিক অভ্যুন্থান’ সহ এসডিজি, জলবায়ু পদক্ষেপ এবং মানবিক পদক্ষেপের সঙ্গে তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলো বৈশ্বিক এজেন্ডা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঢাকার ‘উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার এই উদ্বেগের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক পৃথিবী এবং এক মানবতার সুবিধার জন্য তার বিশ্বব্যাপী অবস্থান এবং প্রসার লাভ করে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্মিলিত পদক্ষেপের গতি বাড়াতে আমরা ভারতীয় জি-২০ নেতৃত্বের উপর নির্ভর করি।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ সামিট: ঢাকা টু নয়া দিল্লি’ শীর্ষক একটি ইভেন্টের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব তাদের অভিন্ন ভবিষ্যত গঠনে যুবকদের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের উপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও গভীর হবে: উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীও বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মাসুদ মোমেন বলেছিলেন, তারা আত্মবিশ্বাসী যে আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি সমালোচনামূলক সমস্যাগুলো তুলে ধরতে সহায়তা করবে কারণ জাতিসংঘ মহাসচিব তাদের আগামী বছর ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলনে নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অনিশ্চিত সময়ে জাতীয় প্রেক্ষাপটে সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশে তারা আসন্ন বহুপক্ষীয় ফোরামে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার অপেক্ষায় রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন,তারা বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডার কাঠামোর মধ্যে সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে থাকবে।
অনুষ্ঠানে তিনটি প্যানেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে নারী ও উন্নয়ন; সবুজ উন্নয়ন এবং ডিজিটাল উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই এবং অন্যান্য ফ্রন্টে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে। যাতে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এসডিজিতে পৌঁছাতে পারি না, বরং একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত জি-২০ প্রেসিডেন্সিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন এনেছে এবং বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী গ্লোবাল সাউথকে তার এজেন্ডার সামনে ও কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জোহানেসবার্গে সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনে একই ধরনের প্রবণতা প্রত্যক্ষ করেছি যেখানে আফ্রিকার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল।’
মাসুদ মোমেন বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৮তম অধিবেশনের প্রাক্কালে এই দুটি শীর্ষ সম্মেলন সম্ভবত বহুপক্ষীকতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে গ্লোবাল সাউথের একটি নতুন পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়, যা সত্যিকার অর্থে তাদের উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, চলতি বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ নিয়ে অগ্রগতির পর্যালোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়ে’ আরেকটি পালক যোগ করবে: মোমেন
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ, আমাদের নিজস্ব নীতিও থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ভিসা নীতিও থাকতে পারে। আমরাও তা বাস্তবায়নে সক্ষম। শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন ‘
শনিবার টঙ্গীতে বিআরটি প্রকল্পের সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িতদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করব এই ভিসা নীতি বাস্তবসম্মত নাকি অন্ধ ও বধির।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প বর্তমানে চলছে।
বিআরটি প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সময়সীমা বিবেচনায় এই প্রকল্পটি বেশ এগিয়েছে। তবে এর সমাপ্তি ঘিরে রয়েছে দ্বিধা ও সংশয়। গাজীপুরে প্রকল্পটি শুরুর আগে ভালোভাবে মূল্যায়ন করলে ভালো হতো।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো যানজট বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং পুরো রাজধানীতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিবহন খাতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয়েছে তা উল্লেখ করে মন্ত্রী নিয়ম ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি প্রতিবন্ধকতা স্বীকার করে বলেন যে সেগুলো অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে পুরো প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
কাদের আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্পও মতিঝিল পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
১ বছর আগে
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দেবে বলে সুস্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা (বিএনপি) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, কারণ তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাবে না। অন্যথায়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায় তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞায় থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানানসই নয়: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ নির্বিঘ্নে নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘তারা জানত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা খুন, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দ্রুত নির্বাচনী ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।
তিনি অবশ্য বলেন, কিছু লোক ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আছে এটা সত্য।
পড়ুন: জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
২ বছর আগে
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষ উদ্বিগ্ন
যশোর ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার মানুষ সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল) এর গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি, পাঁচটি জেলায় গৃহস্থালীর কাজে ভোক্তা পর্যায়ে দুই চুলার জন্য গ্যাসের দাম বর্তমান ৯৭৫ টাকা থেকে ১০৮০ টাকা এবং এক চুলার জন্য ৯২৫ টাকা থেকে ৯৯০ টাকা সুপারিশ করেছে।
যদিও এসজিসিএল দুই চুলার জন্য গ্যাসের দাম ২১০০ টাকা (১১৫ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং এক চুলার জন্য ২০০০ টাকা (১১৬ শতাংশ বৃদ্ধি) করতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার নগরীর বিয়াম মিলনায়তনে বিইআরসির গণশুনানির দ্বিতীয় দিনে এসজিসিএল কর্মকর্তারা এ প্রস্তাব দেন।
শুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সদস্য মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব: গণশুনানিতে তোপের মুখে পেট্রোবাংলা
সূচনা বক্তব্যে আবদুল জলিল গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব আমলে না নেয়ায় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সবার আগে জনগণের স্বার্থ। মূল্যবৃদ্ধির আগে এর সামাজিক প্রভাব বিবেচনা করা উচিত ছিল। কিন্তু গ্যাস কোম্পানিগুলো এগুলো উপেক্ষা করছে।
বিইআরসি কারিগরি কমিটি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বিদ্যুৎ খাতের জন্য বর্তমান ৪ দশমিক ৪৪ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩৪ টাকা, ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে ১৫ দশমিক ৫০ টাকা, সার কারখানার জন্য ৪ দশমিক ৪৪ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩৪ টাকা, চা শিল্পের জন্য ১০ দশমিক ৭০ থেকে ১২ দশমিক ৬৫ টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ২৩ টাকা থেকে ২৭ দশমিক ৬০ টাকা, ৪৩ টাকা থেকে ৪৯ দশমিক ৫০ টাকা এবং গৃহস্থালী গ্রাহকদের জন্য মিটারযুক্ত গ্যাস ওভেনের জন্য ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ৩ দিনের গণশুনানি শুরু সোমবার
গ্যাসের দাম আরও বাড়লে জনগণের জন্য বড় চাপ হবে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা
২ বছর আগে