অপচয়
বাল্যবিবাহ হলো আমাদের সম্পদের অপচয়: সিমিন হোসেন
বাল্যবিবাহ সম্পদের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
তিনি বলেন, একজন কিশোরীর বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া মানে সে সম্পদে পরিণত না হয়ে দায়ে পরিণত হয়।
বাল্যবিবাহ রোধে পিতা-মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন। আপনার এই বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইউএনএফপিএ ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত জিপিইসিএম তৃতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। ইউএনএফপিএ ও ইউনিসেফের সহায়তায় বাল্যবিবাহ নিরসনে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা অন্যান্য দেশের কার্যক্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তাদের কার্যকরী উদ্যোগ ও ইনোভেশন সম্পর্কে জানতে পারছি এবং একইসঙ্গে সেটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা করার সুযোগও পাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ নির্মুল করা শুধুমাত্র সরকার বা একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। গত ৫০ বছরে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বাল্যবিবাহের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি শুধুমাত্র একটি সাময়িক সমাধান। আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে কেউ বাল্যবিবাহের চিন্তা না করে।
তিনি বলেন, মানুষের চিন্তা চেতনার জায়গায় পরিবর্তন আনতে আমরা কাজ করছি। বাল্যবিবাহের যে প্রথা ও রীতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে ভাঙতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন: সিমিন হোসেন
ওরাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান সিমিন হোসেনের
৬ মাস আগে
এমপিদের ব্লক বরাদ্দ: জনগণের অর্থের ‘অপব্যবহার’ ও 'অপচয়' নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও অপচয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বাড়লেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ২০২০ সালের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিল টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগের বরাদ্দগুলোর নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
১০ মাস আগে
পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
দেশে পানির অপচয় রোধে গৃহস্থালি এবং সকল শিল্প-কলকারখানায় ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করে ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া, অব্যবহারযোগ্য পানি ব্যবহারযোগ্য করার জন্য বড় বড় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের কথাও জানান মন্ত্রী।মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু তে ‘বিশ্ব পানি দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেকেই রিসাইক্লিং কাজকে কঠিন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এটি অসম্ভব নয়। পৃথিবীর বহু দেশ রিসাইক্লিং করে পানির ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য দরকার সার্বিক একটি ব্যবস্থাপনা। যে সকল প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করার সক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই করতে হবে।’
মো.তাজুল ইসলাম জানান, ‘ঢাকা শহর যেভাবে গড়ে উঠেছে এতে করে প্রত্যেক বাসায় পাইপ লাইন দেয়া অথবা রাস্তা খুঁড়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দরকার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এজন্য প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে হবে। এরপর সেখান থেকে সংগ্রহ করে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নিয়ে পানি শোধন করে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের জন্য মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, আমি আশা করি দেশ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লক্ষ্য অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে অনেকগুলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’মন্ত্রী জানান, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য যত গভীরে যাওয়া হবে আর্সেনিক ছাড়াও অনেক হেভি মেটাল রয়েছে যেগুলো পানির সাথে উঠে আসবে এবং শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। তাই ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূউপরিস্থ পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম আরও জানান, যেসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে সেসব অঞ্চলে পানি সরবরাহ করার জন্য ন্যাশনাল গ্রীড লাইন স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সারা দেশে অনেক ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে। এসব জোনে প্রতিষ্ঠিত শিল্প-কলকারখানায় প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে সরকার। দেশের পানির প্রধানতম উৎসগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যেমন- মেঘনা থেকে মিরেরসরাই ইকোনমিক জোনে পানি নেয়ার বিষয়ে এখন স্টাডি চলছে।
আরও পড়ুন: পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
পানি উৎপাদনে সরকার এখনও ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম পানির অপচয় রোধে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পানির উৎপাদন খরচ এবং বিক্রয়ের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। এটির সমন্বয় দরকার।রাজধানীতে জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন যাত্রাবাড়ী অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। মানুষ গ্রামেই উন্নত সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাই উন্নত জীবন ব্যবস্থার জন্য সবার ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে