প্ররোচনা মামলা
বরিশালে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
বরিশালের সংস্কৃতিকর্মী শামসুন্নাহার নিপার আত্মহত্যার ঘটনায় শুক্রবার আমিরুল ইসলাম (২৯) নামের এক যুবককে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আমিরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার পূর্বহাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি চাকরির সুবাদে নরসিংদীতে থাকতেন।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, আমিরুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও নরসিংদীতে একটি চাকরি করতেন। ১৩ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শামসুন্নাহার নিপাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন নিপার বোন ডালিয়া আক্তার। মামলায় অভিযুক্ত আমিরুলের সঙ্গে নিপার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়। নিপা বিয়ের জন্য চাপ দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে (নিপা) আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বরিশালে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ৪ লাশ উদ্ধার
শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে আমিরুলকে বরিশালে নিয়ে আসে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২ আগস্ট গভীর রাতে বরিশাল নগরীর মল্লিক রোডের এক ভাড়া বাড়ির নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেন আবৃত্তিতে স্বর্ণপদকজয়ী শামসুন্নাহার নিপা। তিনি বরিশাল উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন:বরিশালে ২০ হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হবে
বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
২ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুন (১৮) আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম ওরফে দা কালাম (২৪) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাসুমা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, কালামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে হত্যাচেষ্টাসহ অর্ধডজন মামলা রয়েছে।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
২ বছর আগে