লিঙ্গ সমতা
সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা জরুরি: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সবার জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা অপরিহার্য।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ‘বিজ্ঞানে নারী ও মেয়ে’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে, নারী ও মেয়েরা পদ্ধতিগত বাধা ও পক্ষপাতিত্বের মুখোমুখি হচ্ছে যা তাদের বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে বাধার সম্মুখীন করছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে নারী ও মেয়েদের সমানভাবে অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান যাতে সবার উপকারে আসে তা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায়।’
বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মাত্র এক তৃতীয়াংশ নারী এবং পুরুষদের তুলনায় তারা কম তহবিল পান, প্রকাশনাগুলোতে কম প্রতিনিধিত্ব করেন এবং প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিনিয়র পদে সংখ্যায় কম অধিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
কিছু কিছু জায়গায়, নারী ও মেয়েদের শিক্ষার সীমিত বা কোন সুযোগ নেই। গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে কেবল সংশ্লিষ্ট সমাজের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন,‘লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলার জন্য লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং রোল মডেলদের প্রচার করা দরকার যা মেয়েদের বৈজ্ঞানিক ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করে। বিজ্ঞানে নারীদের অগ্রগতিকে উৎসাহিত করে এমন প্রোগ্রামগুলো বিকাশ করা এবং নারীদের প্রতিভা লালন করে এমন কাজের পরিবেশ তৈরি করা- বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য।’
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন সময় এসেছে স্বীকৃতি দেওয়ার, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে। প্রতিটি নারী ও মেয়েকে তার সত্যিকারের সম্ভাবনা পূরণ করতে দিন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
১০ মাস আগে
লিঙ্গ সমতা শিক্ষায় তরুণীদের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে শিক্ষায় তরুণীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা লিঙ্গ সমতার কেন্দ্রবিন্দু। নারী ও মেয়েদের বিশ্ব অর্থনীতিতে শেখার, উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা এবং সফল হওয়ার অধিকার রয়েছে।
১ বছর আগে
লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, টানা অষ্টমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।
দেশটি ২০১৪ সাল থেকে তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ডব্লিওইএফ গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২-এ বাংলাদেশ ছয় ধাপ পিছিয়ে ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ৭১ তম স্থানে আছে।দেশগুলো লিঙ্গ সমতায় পৌঁছানোর কতটা কাছাকাছি রয়েছে তার ভিত্তিতে এ বেঞ্চমার্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
ডব্লিউইএফ এর চারটি মূল ভিত্তি হলো- অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষাগত অর্জন, স্বাস্থ্য ও অস্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। এই পরিমাপগুলোর ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬ তম সংস্করণ অনুসারে, দেশের নারীদের ক্ষেত্রে ২০২১ থেকে ২০২২ সালে সামগ্রিক লিঙ্গ সমতা হ্রাস পেয়েছে। এটি শিক্ষাগত অর্জনে দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটি অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের দিক থেকে খুব খারাপ স্কোর করেছে। ১৪১ অবস্থানে থেকে এটি শুধুমাত্র মিশর, ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
লিঙ্গ সমতা অর্জনে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা আইসল্যান্ড ১৩ তম বারের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক দেশ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে৷আফগানিস্তানে যা সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
২ বছর আগে
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিশ্রুতির আন্তরিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে কমিশন অন দ্যা স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৬৬তম অধিবেশনে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএসডব্লিউ-এর এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নীতি ও কর্মসূচিসমূহের প্রেক্ষাপটে লিঙ্গ-সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন’।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ কমাতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৪ দেশ
প্রতিমন্ত্রী সিএসডব্লিউতে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
প্রতিমন্ত্রী বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট বাংলাদেশের নাজুক পরিস্থিতি ও দুর্যোগ ঝুঁকির উপর আলোকপাত করেন এবং এক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম, যদিও বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে আমাদের অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশেরও কম।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-এর ৫৫ সদস্যের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বেঁচে থাকার জন্য অর্থায়ন নিশ্চিতের উপর জোর দেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো নারীরা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সচেতনতা জরুরি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
লিঙ্গ সংবেদনশীল জলবায়ু কর্মসূচি, অভিযোজন, প্রশমন, ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নিশ্চিত করার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন আইন, নীতি, ও কর্মসূচিসমূহের কথা উল্লেখ করেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া বাংলাদেশের জলবায়ু নাজুক অঞ্চলসমূহে নারীদের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনে গৃহীত জলবায়ু ও লিঙ্গ-সংবেদনশীল বাজেট, লিঙ্গ-সংবেদনশীল কোস্টাল অভিযোজন প্রকল্প, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি, জাতীয় রেজিলিয়েন্স কর্মসূচিসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সাইক্লোন প্রস্তুতি কর্মসূচি’তে ৩৮ হাজার নারী স্বেচ্ছাসেবী অন্তর্ভূক্তিকরণের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এরফলে এই কর্মসূচিটি জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২১ অর্জন করেছে যা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে লিঙ্গসমতার অনন্য উদাহরণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ জাতীয় প্রকল্পসমূহ নারী ও মেয়েদের দুর্যোগ পূর্ববর্তী হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে কাজ করার ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করবে, সম্পদ রক্ষা করবে, এবং জীবিকা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বৈচিত্র আনবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে নারী ও মেয়েরা যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা কাটিয়ে উঠতে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সম্পদের সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া তিনি ‘সমতার নীতি’ ও ‘লিঙ্গ-জলবায়ু ন্যায়বিচার’ চালু করার উপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জার্মানি
২ বছর আগে