কারিগরি
বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প সইয়ের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এটি জাইকার বৈশ্বিক উন্নয়নে জাইকার বিষয়ভিত্তিক কৌশলের 'জাইকা ক্লিন সিটি ইনিশিয়েটিভ' (জেসিসিআই) অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক এজেন্ডা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- টেকসই পদ্ধতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্জ্য ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে শহরাঞ্চলে 'পরিচ্ছন্ন নগরী' গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি
প্রকল্পগুলোতে সই করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি, বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিনুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল হামিদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন: ৯ প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১৩৪৪ কোটি টাকা, শুরু হচ্ছে আরও ৪ প্রকল্প: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৫ মাস আগে
এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
এই বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে গত বছরের তুলনায় বেশ উন্নতি হয়েছে। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটোই বেড়েছে।
এ বছর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বছর মাদ্রাসা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ২০৬ জন, যা গত বছর ছিল ৬ হাজার ২১৩ জন।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে দেখা গেছে বিপরীত চিত্র।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
এ বছর কারিগরির শিক্ষার্থীর পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
চলতি বছর এ বোর্ডে ৪ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছর ছিল ১৮ হাজার ১৪৫ জন।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৮৬১টি প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭৯৯টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
৭ মাস আগে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ কম।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০৪ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৬ জন।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সামনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন এবং ছাত্রী ৯৮ হাজার ৬১৪ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
তবে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ জন।
অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২১৩ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৪৫ জন শিক্ষার্থী।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
উল্লেখ্য, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেনি
চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
১ বছর আগে
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ মঙ্গলবার বঙ্গভবনের মন্ত্রিসভা হলে বঙ্গভবন তোশাখান জাদুঘরের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে কতটা এগিয়ে নিতে পারব তা নির্ভর করবে প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং এর সঠিক ব্যবহারের ওপর। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী।
তিনি আরও বলেন, যদি তাদের সঠিক সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তারা যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
আবদুল হামিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে; বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের, প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অংশীজনদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিতে বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিআর এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সঠিক বিকাশের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, মৌলিক গবেষণার সুযোগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে প্রযুক্তির যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভিআর প্রযুক্তি সত্যিকার অর্থে মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করবে। আমাদের এখন থেকে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হবে।
সংস্কারের পর রাষ্ট্রপতি হামিদ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং ম্যাজিক সফটওয়্যার লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, বঙ্গভবনের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
১ বছর আগে
ঢাকায় বিডিজবস কারিগরি চাকরি মেলা, নিয়োগ পাবেন ৫ হাজার কর্মী
দেশের শীর্ষস্থানীয় ৬০টি কোম্পানিতে ৫ হাজারের অধিক লোকবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে ঢাকায় কারিগরি চাকরি মেলার আয়োজন করেছে বিডিজবস ডটকম। আগামীকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে দেশের সবচেয়ে বড় এই কারিগরি চাকরি মেলা।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিডিজবস ডটকমের পরিচালক প্রকাশ রায় চৌধুরী।
জাতীয় ক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ প্রধান অতিথি হিসাবে মেলার উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান এবং এটুআই এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নাহিদ সুলতানা মল্লিক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর প্রোগ্রাম এসোসিয়েট হাবিবুর রহমান, বিডিজবস ডটকমের টেকনোলজি ডিরেক্টর কাজী লতিফুর রহমান এবং জিএম ফাইন্যান্স মোসাদ্দিক বিন কামাল।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৪% কমতে পারে: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যারা বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ের উপর কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং যারা নার্সিং, হেলথ টেকনোলজিস্ট, শেফ, ওয়েটার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, মেকানিক, টেকনিশিয়ান, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ড্রাইভার, কার্পেন্টারসহ বিভিন্ন কারিগরি পেশায় নিয়োজিত আছেন তাদের জন্য এই মেলা। এরইমধ্যে ৩০ হাজার বিভিন্ন কারিগরি পেশাজীবি এবং সার্টিফিকেট/ডিপ্লোমাধারি মেলায় বিভিন্ন কোম্পানীতে আবেদন করার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কারিগরি কর্মীর অনেক অভাব রয়েছে। প্রচলিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো এ ধরনের লোকবল নিয়োগ করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। যারা বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়েছেন তারে সাথে কোম্পানিগুলোর যোগাযোগ স্থাপন করা অনেক কঠিন কাজ। কোম্পানিগুলোর সাথে দক্ষ কারিগরি কর্মীর একটা সহজ যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বিডিজবস ডটকম এ মেলার আয়োজন করেছে।
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, কারিগরি কর্মীরা যেন খুব সহজে কোম্পানিগুলোর কাছে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে সেজন্য মেলায় বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দল: সহ-সভাপতি আহত
২ বছর আগে
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বেকারত্ব কমাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষায় বেশি মনোযোগ দিয়েছে, সেই দেশ তত সমৃদ্ধ ও উন্নত হয়েছে। জার্মানির মত উন্নত দেশে শতকরা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তারা (উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কারিকুলাম ঠিক করুক।’
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভাটের চর দেওয়ান এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কারিকুলাম পরিবর্তন সরকার করলেও, উচ্চশিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের মাধ্যমে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রয়োগিক শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কারিকুলাম নিয়ে ভাবুক। তারা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি করুক। কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কারিকুলাম ঠিক করুক। সেই কাজের জগতে ইন্টার্নি করার ব্যবস্থা করুক। আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্ম-উপযোগী হয়ে বের হোক।’
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মডিউলার এডুকেশন ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবার আস্ত একটা বড় ডিগ্রি করার দরকার নেই। শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট করে নতুন নতুন দক্ষতা শিখে নেবে। ছোট ছোট ডিপ্লোমা করবে, কিছু সার্টিফিকেট কোর্স করবে, বড় ডিপ্লোমা করবে যার যেমন সুবিধা। শেখার জন্য সবাই কাজের জায়গা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে কারণে অনলাইন-অফ লাইন মিলিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনে যুক্ত হবে। আমরা সেই ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছি।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বড় প্রবণতা আছে, সব শিক্ষার্থী চায় অনার্স-মাস্টার্স পড়তে। পৃথিবীর কোথাও এতো অনার্স মাস্টার্স পড়ে না। একটি পর্যায়ের পর অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক, কারিগরি শিক্ষায় চলে যাবে। জার্মানির মতো উন্নত দেশে শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ে। যে দেশ অনেক বেশি উন্নতি করেছে, সেই দেশের অনেক বেশি কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশ করেছে। আর তা দিয়েই, তারা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়েছে। আমাদের সেই পথে হাঁটতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করে। আমরা চাইছি-যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বি-কম পড়বে, বা ডিগ্রি কোর্স করবে তারা আইসিটি, ভাষা, উদ্যোক্ত হওয়ার মত কোর্স যেন পড়ে। তাছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট নানা বিষয়ে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে তেমন বিষয়ে ডিপ্লোমা তারা করতে পারে।
আরও পড়ুন: নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১৫ মার্চ থেকে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে