ইজতেমা
ইজতেমায় সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪, আহত ৪০
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ফরিদপুরের বিল্লাল হোসেন (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০) এবং আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান জানান, রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
সহিংসতায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, আলোচনা চলছে। বিরোধ নিষ্পত্তি ও আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করা হবে: মুফতি আমানুল
জুবায়ের অনুসারীদের জন্য ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং সাদপন্থিদের জন্য ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় ইজতেমা প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
জুবায়েরপন্থিদের অন্যতম নেতা মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে সাদের অনুসারীদের ইজতেমার সমাবেশ আয়োজনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন। সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মামলা করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
জুবায়েরপন্থিদের মুখপাত্র মুফতি আমানুল হক বলেন, সাদের অনুসারীরা না চলে গেলে ইজতেমা মাঠ দখল করা হবে।
এর জন্য লংমার্চের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
কাকরাইল মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি আমানুল বলেন, ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদে কোনো সাদ অনুসারীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি বজায় রাখা এবং নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইজতেমা মাঠ সাময়িকভাবে খালি করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় খুনিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৯ ঘণ্টা আগে
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করা হবে: মুফতি আমানুল
মুফতি আমানুল হক বলেছেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে সাদপন্থিরা মাঠ না ছাড়লে বৃহস্পতিবার লংমার্চ করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করা হবে। হত্যা মামলা করা হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায়, তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের মূল কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'সরকারের কাছে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচারের দাবি জানাই। অন্তবর্তী সরকার নিয়ে চক্রান্ত করছে সাদপন্থিরা। কেয়ামত পর্যন্ত সাদপন্থিদের আর কাকরাইল মসজিদে আসতে দেওয়া হবে না। এখন বাংলাদেশে একটাই ইজতেমা হবে।
আমানুল বলেন, 'সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ পরিস্থিতি এড়াতে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও সংঘর্ষ রোধে সরকারের অনুরোধকে সম্মান জানিয়ে মাঠ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
শুরায়ে পন্থিদের একজন আহত আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের ওপর আঘাত করে সাদপন্থিরা। আমরা ইজতেমার কাজ করছিলাম। আমাদের সাথিরাও পরিচ্ছন্নতার কাজ করে বেশিরভাগ ঘুমিয়ে ছিল। তারা এসে এলোপাথাড়ি আঘাত করে আমাদের ওপর।'
আরও পড়ুন: ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি’
মো. নজরুল ইসলাম নামে আরেকজন আহত বলেন, 'আমাদের ৫০-৬০ জন পাহারায় ছিল। তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে সাদপন্থিরা। ভেতরে ঢুকে সব কিছু ভেঙে তারা আমাদের ঘুমন্ত সাথীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমার গাল কেটে গেছে। হাত পায়ে মেরেছে। ফুলে গেছে। আমার পায়ে মেরেছে। পরে আমি অন্য গেট দিয়ে পালিয়ে গেছি।'
নূর আলম বলেন 'এভাবে ভয়াবহ মাইর আমার জীবনে খাইনি। আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। মাথায় মেরেছে আমার। এখনো রক্ত পড়ছে। আমরা এদের বিচার চাই। সরকারের কাছে আবেদন আমরা এদের ফাঁসি চাই।'
১০ ঘণ্টা আগে
ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
টঙ্গী ইজতেমায় ভারতীয় মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলোভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের জন্য অগ্রসর হন সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের একাংশের মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার সকালে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে আটকে দেওয়া হয়।
পরে চার-পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি পেশ করে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের সামনে তারা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তার ভক্তরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাদপন্থি হাজার হাজার মুসল্লি সকাল ১০টার আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রধান বিচারপতি বাস ভবনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কারণে আর এগোতে পারেনি তারা। পরে তাদের চার-পাঁচ জন প্রতিনিধি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি পেশ করে কর্মসূচি শেষ করেন।
এদিকে সাদপন্থিদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির কারণে কাকরাইল মসজিদ, কাকরাইল মোড়সহ উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৩ দিনের জেলা ইজতেমা শুরু
৪ সপ্তাহ আগে
তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
শুক্রবার ফজর নামাজের পরে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদের বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজের ইমামতি করবেন- মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। সকাল ১০টা থেকে তালিম বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইলিয়াস। জুমার আগে ফাজায়েল বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন আরবের মাওলানা শেখ মোফলে। যা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর।
এদিকে, আসরের পরে বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ। মাগরিবের পরে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু শুক্রবার
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ নিজামুদ্দিনের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম এসব তথ্য জানান।
এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা মুসল্লিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। সকাল পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া, তুরস্ক, আফগানিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অর্ধ শতাধিক দেশের দুই হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত অংশে উঠেছেন।
ময়দানে বয়ান, কারগুজারি, তাশকিল, তালিম, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুসল্লিগণ।
এদিকে, ইজতেমা এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম পর্বের মতো এই পর্বেও জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
আরও পড়ুন: ইজতেমা থেকে ফেরার পথে ট্রাক উল্টে নিহত বেড়ে ৩
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা পর্যন্ত ইজতেমায় আগত মোট ৬ জন মারা গেছেন। মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থতার কারণে তারা মারা যান।
তাদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন - জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে নবীর উদ্দিন (৬৫), শেরপুর সদরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল হেলিম মিয়া (৬৫) ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর গ্রামের ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন (৭০)।
বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু
১০ মাস আগে
ইজতেমা থেকে ফেরার পথে ট্রাক উল্টে নিহত বেড়ে ৩
টঙ্গিতে ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের ভালুকায় ট্রাক উল্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।
নিহতরা সবাই ভালুকা উপজেলার জামিয়া ইসলামীয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ঢালীবাড়ি মোড়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সবজিবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ২
নিহতদে মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে একজন ময়মনসিংহ মেডিকেলে ও একজন ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। এই ঘটনায় আহত ১৫ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল ও ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতরা হলেন- জেলার গফরগাঁও উপজেলার আবুল কালাম আকন্দের ছেলে নাইম (১৩), ভালুকার পাইলাবর এলাকার ফারুক খানের ছেলে সানাউল্লাহ সজল (১৯) ও ফজলুল হক (১৮)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক উল্টে নিহত ১, আহত ২০
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভালুকা জামিয়া ইসলামীয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদরাসার ৩০ জন ছাত্র-শিক্ষক টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যান। মোনাজাত থেকে সবাই একটি ট্রাকে করে মাদরাসা ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকা উপজেলার ঢালিবাড়ী মোড় ইউটার্নের কাছাকাছি আসতেই ট্রাকের সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে ইউটার্ন নিতে দেখে তাৎক্ষণিক ব্রেক করেন ট্রাকচালক। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ট্রাকে থাকা সবাই আহত হয় ও নাইম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ মারা যান। নিহত অপর শিক্ষার্থী ফজলুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
১০ মাস আগে
ইজতেমায় আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে শনিবার রাতে আরও ৪ জন মুসল্লি মারা গেছেন। এ নিয়ে এই পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলা পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আলম, নরসিংদী জেলার নুরুল হকের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত ওসমান গনীর ছেলে আল মাহমুদ।
এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৭ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চারজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
১০ মাস আগে
ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই ৩ জন মারা যান।
তাদের জানাজার নামাজ ফজরের নামাজের পর ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৭ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চারজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
১০ মাস আগে
ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি, জিকির-আসকার ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
তাবলীগের লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্ধ শতাধিক দেশের ২ হাজারের বেশি মুসল্লি রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমার কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনে চার ওয়াক্ত নামাজ শেষে বয়ান, তালিম যৌতুকবিহীন বিয়ে, তাসকিলে নতুন করে চিল্লায় নাম লেখানো- এসব কর্মসূচি রয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মুম্বাইয়ের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। যোহর নামাজের পর ভারতের গোধরার মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুহাইরুল হাছান ও বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা বয়ান করবেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
আছরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধ পূর্বক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে।
ইজতেমায় আরও একজন মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলস ভবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছেন। সিসিটিভি ও ওয়াচটাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
১০ মাস আগে
ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় ডিউটি করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অপর এক উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, ২ ভাই নিহত
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী মিলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান মানিকগঞ্জ জেলার কোর্টে কর্মরত ছিলেন।
আহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হামজা মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কর্মরত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এএসআই হাসান একটি মোটরসাইকেলে ইজতেমায় ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী পূর্ব থানার মিলগেট এলাকায় এলে পেছন থেকে বলাকা পরিবহনের একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
পরে টঙ্গী থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্তমানে ওই হাসপাতালে এসআই আমির হামজার চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাসচাপায় সহকারী উপপরিদর্শক হাসান নিহত ও উপপরিদর্শক আমির হামজা আহত হয়েছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে আহত আমির হামজার চিকিৎসা চলছে। বাসটি শনাক্তের কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১০ মাস আগে
ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
গাজীপুরের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আগত আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার থেকে প্রথম পর্বে আগতদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ কারী ৩ জন হলেন- জামালপুরের পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মতিউর রহমান (৫৫), নেত্রকোণার বুরিজুরি স্বল্ফ দুগিয়া এলাকার বাসিন্দা এখলাস মিয়া (৭০) ও ভোলার গোলি গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে মো. সাহালম (৬০)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান এ তথ্য জানান।
ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, মৃত্যুবরণ কারীদের মধ্যে মতিউর রহমান শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে, এখলাস ও সাহালম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মৃত অন্য ৩ জন হলেন- ইউনুছ মিয়া (৬০), জামান (৪০) ও আব্দুস সাত্তার (৭০)। এদের মধ্যে ইউনুছ মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায়, জামানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবং আব্দুস সাত্তারের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার ও বাকি দুজন বুধবার মারা যান।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের নির্দেশনা
১০ মাস আগে