হত্যাযজ্ঞ
ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার নিন্দা জবিরিইউর
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাসে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সোচ্চার ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (জবিরিইউ)।
শুক্রবার (৩ মে) দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় জবিরিইউ।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে শনিবার
বিবৃতিতে জবিরিইউর সভাপতি অমৃত রায় ও সাধারণ সম্পাদক শশী বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ এবং ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার নীতির বিরুদ্ধে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ এবং তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি আমরা। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ ও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদের সংবাদ যেসব গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের হস্তক্ষেপকে স্পষ্টভাবে আমরা বাকস্বাধীনতা হরণ বলে মনে করি। পুলিশের হস্তক্ষেপসহ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সব কার্যক্রমের তীব্র নিন্দাও জানান নেতারা।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, যেকোনো দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত জ্ঞান ও বুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তারা দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চা এবং প্রতিবাদ জানানোর ক্ষেত্রে বাধা প্রদান নিন্দনীয়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে মানবাধিকার রক্ষা ও বাকস্বাধীনতার বিষয়ে তারা সোচ্চার। আর সেই যুক্তরাষ্ট্রেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এমন দমন কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই অবস্থান করছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে খুলনা ও রাজশাহীতে শনিবার মাধ্যমিকের ক্লাস বন্ধ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে
৭ মাস আগে
একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা
জাতিসংঘে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পশ্চিম পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে এক আলোচনায় বাংলাদেশ জানায়, ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত, তবুও জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের মতো অতীতের ট্র্যাজেডিগুলো যদি অস্বীকৃত থেকে যায়, তাহলে গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ থাকবে।
২০২২ সালের জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের অংশ হিসেবে শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘গণহত্যা প্রতিরোধ: অতীতের ট্র্যাজেডির স্বীকৃতি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনার মূল বক্তা ছিলেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন হাবেল ওয়েইস এবং উপস্থিত ছিলেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভেন আলকালাজ, কম্বোডিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সোভানকে এবং ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বাউল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অব বাংলাদেশের প্রসিকিউটর প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন। প্রিভেনশন অব জেনোসাইড-এর মহাসচিবের বিশেষ উপদেষ্টা অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতুও অনুষ্ঠানে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষ নিহত হয় এবং দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয়; এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও এর আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে শেষ করে দেয়া। আমাদের জাতির পিতার ডাকের মধ্য দিয়ে এ সংগ্রাম ধীরে ধীরে নয় মাসের দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে।
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের বিচার না করা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জাজনক: মোমেন
২ বছর আগে