ফাউল
বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এখন আর কেউ ফাউল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে পারবে না... বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চার দিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি, আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি, আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি, আমরা শত শত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি, বিজ্ঞানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র নয় মাসের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান দিয়েছিলেন, বর্তমান সরকার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আমরা এই ব-দ্বীপের জনগণকে উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে এর কিছু অংশ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
এসময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের থিম সং এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে