ট্যাংকলরি
পার্বতীপুরে ট্যাংকলরি বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি পরিবহনের একটি ট্যাংকলরি বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
শনিবার(১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষ্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাবর্তীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, একটি ট্যাংকলরির ট্যাংকিতে ছিদ্র ধরা পড়ে।
এটিতে পানি ভর্তি করে পার্বতীপুরের বাস টার্মিনালের কাছে রতন মোটর গ্যারেজে ওয়েল্ডিং ও ঝালাইয়ের ছিদ্র বন্ধ করা হচ্ছিল। এসময় আগুনের তাপে ট্যাংকির মধ্যে সৃষ্ট গ্যাসের চাপে বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে ট্যাংকলরির সামনে ও পিছনের অংশ উড়ে গেছে।
আররও পড়ুন: দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ২ কিশোর নিহত
বিষ্ফোরণে আহত ঝালাই মিস্ত্রী রতন (৩৫) পরে মারা গেছেন।
নিহত রতন জেলা শহরের শেখপুরা রেলগেট এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
দুর্ঘটনায় তার সহকারী নাহিদ (১৬) ও দুরন্ত পরিবহনের হেলপার বাদশা (২০) আহত হয়েছেন। উভয়কে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
১ বছর আগে
সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্যাংকলরি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাত মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম জানা যায়নি। তিনি দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের আদিতপুর গ্রামের তোতা মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ট্যাংকলরি সিলেট থেকে রশিদপুরের দিকে যাচ্ছিল। উপজেলার লালাবাজার রশিদপুর এলাকার মধ্যবর্তী সাত মাইল এলাকায় আসা মাত্র বিপরীতমুখী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লরিটির।
এসময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে খাদে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার নারী যাত্রী নিহত হন।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা।
তিনি জানান, ট্যাংকলরির চালককে আটক এবং লরিটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
১ বছর আগে
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২২ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৫ জেলায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ চারটি সংগঠন এই ধর্মঘট পালন করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এর ফলে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি চলছে।
তিনি জানান, খুলনা বিভাগের সাথে সাথে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
পড়ুন: মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদল, চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
দৈনিক ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার, মানতে নারাজ সাধারণ চা শ্রমিকেরা
২ বছর আগে
খুলনায় চলছে ২৪ ঘণ্টার ট্যাংকলরি ধর্মঘট, তেল উত্তোলন-বিপণন বন্ধ
কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি (ধর্মঘট) পালন করছেন জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। রবিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি, খুলনা বিভাগ কোন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন না করে ২৪ ঘণ্টার এ ঘর্মঘট পালন করছেন।
ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকলেও এ সময়ে ফিলিং স্টেশন (পাম্প) থেকে তেল (নিজ নিজ পাম্পে মজুদকৃত) সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ধর্মঘটের ফলে অতিরিক্ত ট্রাক-লরির চাপে ফিলিং স্টেশন ও ট্রাক-লরি স্ট্যান্ডে জায়গা না হওয়ায় ট্রাক-লরিগুলোকে সড়ক-মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২.৭১ টাকা কমিশন দেয়া হয়। অতীতে তারা (ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি) কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফলাফল পায়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক গুনে বৃদ্ধি পেলেও কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে ট্যাংকলরি মালিক সমিতি ও জ্বালানি তেলের পাম্প মালিক সমিতি তাদের কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭.৫ শতাংশ হারে প্রদানের দাবিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা খুলনা বিভাগের কোন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করছে না। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান জ্বালানি ব্যবসায়ীরা।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: গণপরিবহন বন্ধে দেশজুড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
২ বছর আগে
খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে খুলনায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকরা।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, রাতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও ট্যাংকলরি নেতাদের বৈঠকে শ্রমিক নেতা আল আমিনের ওপর হামলাকরীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাসে দিলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। তবে আমরা আগামী শনিবারের পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সময় দিয়েছি। অন্যথায় রবিবার থেকে আবারও কর্মসূচি পালন করা হবে।
এই শ্রমিক নেতা জানান, সোমবার দুপুরে কাশিপুর বাংলার মোড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আল আমিনকে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা যে যেখানে ছিল সেখানে গাড়ি রেখে প্রতিবাদ শুরু করেন। নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে দুপুর ১টা থেকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের আশ্বাসে বিকাল ৪টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় আল আমিনের ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পড়ুন: খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কর্ম বিরতি, ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ
২ বছর আগে
খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কর্ম বিরতি, ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ
ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে খুলনায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। ফলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।এছাড়া শ্রমিকেরা ইউনিয়ন অফিসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে খুলনা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় শ্রমিক নেতা আল আমিনের ভাই বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মঙ্গলবার থেকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি চলবে।
তিনি জানান, সোমবার দুপুরে কাশিপুর বাংলার মোড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আল আমিনকে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা যে যেখানে ছিল সেখানে গাড়ি রেখে প্রতিবাদ শুরু করেন। নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে ওই দিন দুপুর ১টা থেকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের আশ্বাসে বিকাল ৪টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদারকে মারধর, নার্সদের কর্মবিরতি
এবিষয়ে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আল আমিনের ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২ বছর আগে