দেশের উন্নয়ন
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে শপথ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এই ধারাকে থামানো চলবে না। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, যারা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা চায়নি; তারা আগের মতোই ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করি না কারণ আমার জীবন নিয়ে আমার কোন ভয় নেই।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং বারবার তার জীবন নেওয়ার চেষ্টাকে ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান তখনই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটে।
তিনি বলেন, এরপর আমাদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের সকল উন্নয়নের গতি ২৯ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৪) সম্পূর্ণভাবে থেমে গিয়েছিল।
তিনি সাধারণ জনগণ যাতে সর্বদা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পায়। কেননা এই বিষয়গুলো একটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল মেগা প্রকল্প জনগণের সর্বোচ্চ উপকারের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
সারাবিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকায় শেখ হাসিনা মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে এবং দেশের সম্পদের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে সরকার দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের তাদের সকল কাজে সততা বজায় রাখতে এবং দেশ ও জনগণকে ভালোবাসতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভুলে গেলে চলবে না যে তাদের বেতন-ভাতা আসে এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনগণের পকেট থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত বেতন-ভাতা আসে জনগণের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ থেকে। সুতরাং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
তিনি তাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের সেবা করাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
আরও পড়ুন: যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছুই কিনবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১২৭তম, ১২৮তম এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পুরস্কার দেন।
এর আগে তিনি ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স এবং গবেষণা কাজের প্রকাশনার স্যুভেনিরের ফলক উন্মোচন করেন।
১ বছর আগে
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। এদেশের মানুষের ভোটেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ-বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। যে পাকিস্তান আমাদের ২৪ বছর শাসন ও শোষণ করেছে,আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। এটাই স্বাধীনতা অর্জনের স্বার্থকতা। দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান স্মরণ করে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আরও বেশি করে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এম ফজলুর রহমান, মায়ামীর কনসুলেট জেনারেল ইকবাল আহমেদ।
২ বছর আগে