প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
রাজধানীতে ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হয়েছে।রবিবার ঢাকায় মিরপুরে গাবলতীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি’র আওতায় গণপরিবহনে সিসি টিভি স্থাপন উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সিসি টিভি স্থাপনের মাধ্যমে গণপরিবহন নারীবান্ধব ও নিরাপদ হবে। নারীরা সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত বাসে উঠতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। সিসি ক্যামেরা থাকায় এসব বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সকল বাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে নারীরা ৯৯৯ ও ১০৯ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। হয়রানী বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রামাণক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নারীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে আজ শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা বেড়েছে বহুগুণ। এর ফলে নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে ও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। নারীরা গণপরিবহনের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কর্মস্থল ও নিজ নিজ বাসস্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু নারীদের জন্য সরকারের এত উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণের পরেও গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির ঘটছে। গণপরিবহনে যাতায়াতকালে নারীরা অসম্মানজনক আচরণেরও শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সভ্যতার এযুগে নারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এসব ঘটনা তাদের স্বাধীন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। গণপরিবহনে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরা নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে কর্মজীবী নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বাস চালু করেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সকল গণপরিবহন নিরাপদ ও নারী বান্ধব করে তুলছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে নারীরা নিরাপদ থাকে। নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তিনি বাস মালিক সমিতির উদ্দেশে বলেন, চালকদের নিয়োগদানের পূর্বে তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যেন তারা অপরাধ করলে তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সাথে গাড়ির চালক ও স্টাফদের উত্তম আচরণ কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাসচালক, স্টাফ, হেলপার যাত্রীসহ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী দিনে ৫টি বাস কোম্পানি ও ভিন্ন রুটের মোট ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বাসগুলো হলো- চন্দ্রা টু ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রুটের রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পঁচিশটি, গাবতলী টু গাজীপুর রুটের বসুমতি ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের পঁচিশটি, মোহাম্মদপুর টু আবদুল্লাহপুর রুটের প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেডের পঁচিশটি। ঘাটারচর টু আব্দুল্লাহপুর রুটের পরিস্থান পরিবহনের রয়েছে পঁচিশটি এবং গাবতলী টু সায়েদাবাদ রুটের গাবতলী এক্সপ্রেসের আটটি বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
২ বছর আগে
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। এদেশের মানুষের ভোটেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ-বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। যে পাকিস্তান আমাদের ২৪ বছর শাসন ও শোষণ করেছে,আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। এটাই স্বাধীনতা অর্জনের স্বার্থকতা। দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান স্মরণ করে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আরও বেশি করে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এম ফজলুর রহমান, মায়ামীর কনসুলেট জেনারেল ইকবাল আহমেদ।
২ বছর আগে