নিত্যপ্রয়োজনীয়
রবিবার থেকে দেশব্যাপী টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার থেকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এ কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ওএমএসের ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ১৬০ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে টিসিবি
শনিবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবে। এসব পণ্য টিসিবির নির্ধারিত ডিলার শপ অথবা সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় তাদের স্থায়ী আউটলেটে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কার্ডহোল্ডাররা মনোনীত ডিলারদের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়া পণ্য- চাল, ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ডিপিএমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে
জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু: প্রতিমন্ত্রী
২ মাস আগে
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ চায় ঢাকা
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। আগামী দিনগুলোতে আরও 'জনগণের সম্পৃক্ততার' ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তিনি ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি অত্যন্ত অতিরঞ্জিত মিডিয়া প্রচারণার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউনূসের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংগঠনগুলোর আহ্বান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা এ ধরনের বক্তব্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারত সরকারের দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যাক্ত করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সরকার সকল ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শন সহ্য করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কনস্যুলার সেবা বন্ধ: মার্কিন দূতাবাস
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে সাহসী ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অজর্ন করেছে।
বৈষম্য ও অন্যায় দূর করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তি স্বৈরাচার ও নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক নিয়োগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সাহসী ছাত্র আন্দোলন অচিরেই একটি নিয়মভিত্তিক, ন্যায়পরায়ণ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে বিপ্লবী সংগ্রামে রূপ নেয়।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থী ও জনগণের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে সম্মত হন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
জনগণের, বিশেষ করে যুবসমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার অর্থবহ সংস্কার ও দীর্ঘস্থায়ী রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে সম্পৃক্ততা আবারও অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
৩ মাস আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েক শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রায় ১২ লাখ টনের বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে। এটি দেশের রমজানের মোট ভোজ্যপণ্য চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ। এসব পণ্যের মধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, গম, ডাল ও ছোলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দেশের তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস আলম গ্রুপ। এ বছর এ পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এস. আলম গ্রুপ দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রমজানে বিপুল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন প্রায়। এরমধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টন চিনি। যা রমজানের চাহিদার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২২ লাখ টনের মধ্যে রমজানে সারাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৮৬ শতাংশ।
দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার টন গম। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ১ লাখ ৭৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৩৪ শতাংশ।
দেশে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন, যার মাসিক চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ টন। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার ডাল আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫০ শতাংশ।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর মধ্যে রমজানেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার টন ছোলা আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫৫ শতাংশ।
এসব উদ্যোগ রমজানে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের নাগালে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বরাবরের মতো এবারও আমরা রমজানের মোট চাহিদার সিংহভাগ পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পণ্যের কিছু বর্তমানে মজুদ এবং বেশ কিছু চালান খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় সক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকারের লক্ষ্যপূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চাহিদার বিপরীতে রমজানে ঘাটতি হলে আরো পণ্য আমদানির পদক্ষেপ নেব আমরা।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
৯ মাস আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শনিবার বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটকে দমনের চেষ্টা চলছে।
শনিবার খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রোটারি ক্লাবের ‘ডিস্ট্রিক্ট ইয়াং লঞ্চিং’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করতে না পারে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সক্রিয়, ফলে সময় লাগছে; কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সরবরাহ করছে এবং তারা মানুষকে সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রোটারি ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর মো. আশরাফুজ্জামান নান্নু, জোনাল ইভেন্ট চেয়ার এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
১ বছর আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সংসদে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের একজনকে মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দিলে পদত্যাগ করতে তার কোনো সমস্যা নেই।
সোমবার গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত কাট মোশন নিয়ে আলোচনা চলাকালে টিপু মুন্সীর বিরুদ্ধে প্রথম তোপ দাগেন।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনাও করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নও তোলেন তারা।
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল কী করে?
তিনি বলেন, এত বড় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীর গতিশীলতা না থাকলে দাম বাড়বে। একজন মানুষ কাজ করলে আর সবাই ঘুমালে দেশ চলবে না। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা করলে অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন ব্যবসাটা আমারই, তাহলে এটা দেশ ও জনগণের জন্য দুঃখজনক।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব পড়ছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশ, এখন মনে হয় ১০ শতাংশ এবং এটা ক্রমবর্ধমান। মূল্যস্ফীতি মানুষের আয় শুষে নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে সাবান, রুটি সবকিছুরই আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি বাজেট আর গৃহস্থালির বাজেট করা এক জিনিস নয়।
তিনি বলেন, সরকারের বাজেট কমছে এবং এ কারণে চাল, ডাল, তেল, মুরগির মাংসের পিছও ছোট হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতির দুষ্ট চক্রে আটকা পড়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট আছে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সিন্ডিকেট শক্তিশালীও। কিন্তু তারা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী?
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি না তারা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। সরকারের মধ্যে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রীর বিশাল ব্যবসা রয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। আমি বিশ্বাস করি যে যদি তাকে পদক্ষেপ নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তবে তিনি অবশ্যই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ মন্ত্রণালয় হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন বাজারে গেলে, আপনারা মানুষের মুখে শুনতে পাবেন যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এতটাই ব্যর্থ, মানুষ এটিকে সিন্ডিকেটবান্ধব মন্ত্রণালয় বলে অভিহিত করে।
পণ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকার অভিযোগ করে মোকাব্বির বলেন, অনেকেই বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী এতে জড়িত।
এসময় মোকাব্বির বাণিজ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন যে এত কিছুর পরেও আপনি পদত্যাগ করছেন না কেন?
মোকাব্বির বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী যখন বলেন কোনো পণ্যের দাম কমবে, পরের দিন সেই পণ্যের দাম বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, তিনি জানেন যে মন্ত্রীেএসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেবেন না।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, বাজারে গেলে মানুষ বিরক্ত হয়।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধা। কেন তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে বাজারে গেলে মানুষ কাঁদে, আর তার একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এটাও বোঝে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা উচিত নয়। ডিমের বাজারে হাজার হাজার টাকা লুট করেছে সিন্ডিকেট। মুরগির ডিম ইউক্রেন থেকে আসে না।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী দাম বাড়ায় সিন্ডিকেটের লোকজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না। কারণ তিনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানেন কোন ব্যবসায়ীরা এটা করছেন। তাহলে এই ব্যবসায়ীরা কি তার ঘনিষ্ঠ, যে কারণে সে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছে না?
তিনি কেন তা করতে পারছেন না বাণিজ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে বলার দাবি জানান তিনি।
পীর ফজলু বলেন, পেঁয়াজের বাজারে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু কোম্পানি চিনির বাজারে দৈনিক ১৭ কোটি টাকা লুটপাট করছে। দেড় মাসে ব্রয়লার মুরগির বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী কিছুই করতে পারবেন না।
এসব আলোচনা-সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “পণ্যমূল্য বাড়ছে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির’ প্রভাবে। আর দেশে যে ‘সিন্ডিকেটের’ কথা বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া সম্ভব। তবে তাতে জটিলতাও আছে।”
তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়। এটা ঠিক যে বড় বড় গ্রুপগুলো একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার- আমরা জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম। সেটা হয়ত করা সম্ভব। কিন্তু তাতে হঠাৎ করে ক্রাইসিসটা (সংকট) তৈরি হবে, সেটা সইতে তো আমাদের কষ্ট হবে। এজন্য আমরা আলোচনার মাধ্যমে নিয়মের মধ্যে থেকে চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, আমি জানি না তাদের কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে রাজনীতিতে। কিন্তু আমি ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমি এখন ৪০ থেকে ৪২ বছর ধরে ব্যবসা করছি।
পদত্যাগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একজন তো আমাকে পদত্যাগ করতে বললেন। খুব ভালো কথা বলছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, উনি (মোকাব্বির) দায়িত্ব নিলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ওনারে দায়িত্বটা দিতে পারেন। কোনো সমস্যা নেই আমার।’
দাম বেড়েছে উল্লেখ করে টিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অভ্যন্তরীণ কারণ নয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেশকে প্রভাবিত করেছে। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে।
পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দাম বেড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পেঁয়াজের কথা বলা হয়েছে। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কৃষকদের এমন একটি মূল্য দেওয়া উচিত যা তাদের বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। দাম ভালো হলে কৃষকরা উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। এই ধাপে আমাদের ঘাটতি অর্ধেক কমে যায়। কিন্তু এটা ঠিক ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি হওয়া উচিত নয়। সেজন্য আমরা আমদানির ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় না।
কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমদানি করেছি। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখন প্রতি কেজি ৪০/৪৫ টাকা। আজ আমাদের দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা। আমার মনে হয় আরও কমানো উচিত। আমরা চেষ্টা করছি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ টাকা কেজির মধ্যে চলে আসবে।
সব কিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করে না মন্তব্য করে টিপু মুনশি বলেন, ‘তারপরও দায় আমি নিয়ে বলছি, আমরা সর্বৈবভাবে চেষ্টা করছি কী করা যায়।’
চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দাম ১০০ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনতে শুল্ক কাঠামো কমানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো ৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়া হবে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট গৃহীত হলে, তামাকজাত দ্রব্য আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তুলনায় সস্তা হবে। বৃহস্পতিবার তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) বাজেট পেশ পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞা বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেট যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করবে, যা প্রকারান্তরে তামাকজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতার কারণ হবে এবং এর ফলে সরকারের জনস্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে, প্রজ্ঞা বলে যে এর কারণে সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব হারাবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের তামাকমুক্ত বাংলাদেশের বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ)। এই স্তরের করহার প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্যস্তর বাড়ানোর কারণে বর্ধিতমূল্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তামাক কোম্পানির পকেটে চলে যাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা (৩ দশমিক ০৮ শতাংশ), উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে ১১৩ টাকা (১ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা থেকে ১৫০ টাকা (৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ) নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে প্রতি দশ গ্রাম জর্দা ও গুলের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৫ টাকা ও ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিড়ির দাম ও করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে তামাক কোম্পানি!
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেশের ৮টি মহানগরীর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গড় খুচরা মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২২ সালের (৭ মার্চ) তুলনায় ২০২৩ সালে (৭ মার্চ) খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগির দাম ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির দাম ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ডিমের দাম ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, গুঁড়ো দুধের দাম ২১.২ শতাংশ, মসুর ডালের দাম ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকপণ্যের দাম নামমাত্র বাড়ানো অথবা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘নিত্যপণ্যের তুলনায় সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখলে থাকা কমদামি সিগারেটের মূল্যস্তর বা খুচরামূল্য সামান্য পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে এই স্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য আমদানির সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্ত করার মাধ্যমে ই-সিগারেট ও ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। চূড়ান্ত বাজেটে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ১৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে, দীর্ঘমেয়াদে ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সিগারেট খাত থেকে গতবছরের তুলনায় সরকারের ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। এই বাড়তি রাজস্ব আইএমএফ এর ঋণ শর্ত পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
১ বছর আগে
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকিসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
রবিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আমন ও রবি ফসলের উৎপাদন, সার মজুদসহ সাম্প্রতিক অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে শিল্পসচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার ও বাজারে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্য সচিবকে বিস্তারিত অবহিত করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সভায় সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে চিনির ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি, বিশেষ করে চিনির মজুদ ও আমদানি পরিস্থিতি, সরবরাহকারী বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি, অন্যান্য নিত্যপণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি এবং টিসিবির কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে, সভার শুরুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রাথমিক উপস্থাপনা করেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
২ বছর আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
রমজান মাসে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করি আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল এবং সহনীয় থাকবে।’
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে