পশ্চিম তীর
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামাস কমান্ডার নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে হামাসের সদর দপ্তরের কাছে রামাল্লার একটি গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে কমান্ডার মোহাম্মদ জাবের আবদোসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আবোদা ২০ বছর ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চার জিম্মিকে মুক্ত করেছে ইসরায়েল, শনিবারের হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ২১০
অপরদিকে, ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইহুদি বসতির কাছে ইসরায়েলে হামলায় অভিযুক্ত এক সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করে গুপ্ত বাহিনী। লোকটি আরও তিন সন্দেভাজনের সঙ্গে একটি ভবনে লুকিয়ে ছিল। এরইমধ্যে একটি গাড়িতে করে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ছোড়ে। এরপর তাদের গাড়িতে অস্ত্র পাওয়া যায়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা ও জিম্মির ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।
শুধু এই বসতিতেই ৫৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিক্ষোভ চলাকালে কিংবা ইসরায়েলের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় এদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়।
১৯৬৭ সালের লড়াইয়ে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। কিন্তু ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠনে ওই তিনটি অঞ্চলই চায় ফিলিস্তিনিরা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাজনিত কারণে গাজার মার্কিন জেটিতে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা
গত আট মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের মধ্যে গাজার অন্তত ১০ লাখ মানুষ তীব্র খাবার সংকটের মুখোমুখি হবে।
৫ মাস আগে
গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৬৬৭ জন এবং আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০১ ও ৩ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলের অভিযানে ২১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক আহত এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
আল-কেদরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হাসপাতাল ধ্বংস করে তাদের সেবা ব্যাহত করার অভিযোগ করেছে।
তিনি বলেন, এ হামলার ফলে ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং হাজার হাজার আহত, গর্ভবতী নারী, শিশু এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
আল-কেদরা জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলো ‘বিপুল আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামর্থহীন এবং সীমিত ক্লিনিকাল, চিকিৎসা ও মানবিক পরিষেবা দিয়ে রোগীদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
১১ মাস আগে
ফিলিস্তিন: পশ্চিম তীরে কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনী এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেথলেহেম শহরের কাছে একটি গ্রামে ইসরাইলি বাহিনী এবং পাথর নিক্ষেপকারী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলি চালানো হয়।
মন্ত্রণালয় নিহত কিশোরটিকে মোস্তফা সাবাহ (১৬) হিসেবে শনাক্ত করেছে এবং তার বুকে গুলি করা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে জনতা গুলি চালানোর পর কিশোরটির লাশ বহন করছে এবং আরবীতে ‘আল্লাহু আকবার’ বা ‘আল্লাহ মহান’ বলে চিৎকার করছে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনি লড়াই বছরের পর বছর অদৃশ্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে,এর আগে শুক্রবার সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই যুবক আহত হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি তথ্য অনুসারে ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অন্তত অর্ধেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। সে সময় ইসরাইলিদের ওপর ফিলিস্তিনি হামলায় ১৯ জন নিহত হয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল গাজা উপত্যাকা এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে। ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ওই জমিগুলো চায়।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
১ বছর আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘অভিযান’ ও বন্দুকযুদ্ধে দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-১৭ বছর বয়সী সানাদ আবু আতিয়েহ এবং ২৩ বছর বয়সী ইয়াজিদ আল-সাদি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়। এ সময় শুরু হওয়া বন্দুক যুদ্ধে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় এক ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরে একটি বাসে ২৮ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’: জেলেনস্কি
উল্লেখ্য, জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের একটি গ্রামের এক ফিলিস্তিনি নাগরিক পাঁচ ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা এবং এর জেরে শুরু হওয়া সংঘাতে ১১ ইসরায়েলির মৃত্যুর দুদিন পরে এই অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে জেনিনে প্রবেশ করলে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় একজন সেনা আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় বাইডেন সাম্প্রতিক হামলায় ইসরায়েলের ১১ নাগরিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটের আগেই ইমরানের পক্ষ ছাড়ছে মিত্ররা
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫
২ বছর আগে