ফিলিস্তিনি
দুই জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, ইসরায়েল মুক্তি দিল ৬০২ বন্দিকে
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৬ জিম্মির দুজনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বাকিদেরও ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় সময় শনিবারে (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
এই বন্দি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। ওই ছয় জিম্মির মধ্যে রয়েছেন, এলিয়া কোহেন (২৭), তাল শোহাম (৪০), ওমরশেম তোভ (২২) ও ওমর ওয়েনকার্ট (২৩)।
ইসরায়েল থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়া মুক্তি পাওয়া আরও ৬০ বন্দি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলে কারাদণ্ড ভোগ করে আসছিলেন। আরও রয়েছেন আগে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছিলেন এমন ৪৭ জন। মুক্তি পেতে যাওয়া বাকি ৪৪৫ জন গাজায় যুদ্ধচলাকালীন আটক হয়েছিলেন।
দোহাভিত্তিক আল-জাজিরার খবর বলছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: হামাস একটি অজ্ঞাত লাশ ফেরত দিয়েছে, অভিযোগ ইসরায়েলের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার হামাসের সদস্যদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন তারা। তবে হিশাম আল-সায়েদ (৩৬) ও আভেরা মেঙ্গিস্তু (৩৯) প্রায় এক দশক আগে গাজায় প্রবেশ করার পর হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন।
এর আগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বেশ কয়েকবার ভাঙনের মুখে পড়লেও ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া চুক্তিটি শেষ হয়েছে। চুক্তির শর্তানুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কয়েকশ ফিলিস্তানিও ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় চলমান বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া চার ইসরায়েলির লাশ ফেরত দেয় হামাস। যাদের মধ্যে ছিল ইসরায়েলের কেফির বিবাস ও এরিয়েলের সঙ্গে তাঁদের মা জিম্মি শিরি বিবাসের মরদেহ।
আরও পড়ুন: হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
তবে কেফির ও এরিয়েলের মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও শিরির মরদেহের স্থলে অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ শনাক্ত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অজ্ঞাতনামা মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বোনয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
তবে হামাস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত শিরি ও তাঁর দুই ছেলের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর শিরির দেহ অন্য মরদেহের সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হামাস আরেকটি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ওই মরদেহটি শিরির বলে ইসরায়েলি ফরেনসিক কর্মকর্তারা পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
চলমান এই অস্থিরতা স্বত্তেও শনিবার ৬ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে হামাসের সমরিক শাখা কাশেম ব্রিগেড। আগামী সপ্তাহে আরও ৪ মরদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে হামাসের।
যুদ্ধ বিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে, বিনিময়ে মুক্তি পাবেন কয়েক শ ফিলিস্তিনি। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২৩ ঘণ্টা আগে
গাজায় ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
দুদিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হলে গাজাবাসীর জন্য ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎয। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এমন হুমকি দিয়েছেন।তার এই হুমকিকে পরোয়া করছে না বলেও পাল্টা জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও চুক্তিটি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আগামী শনিবারে (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে।
তবে স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানায় হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র।
হামাসের এই সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির পুরোপুরি লঙ্ঘন’ বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
হামাসকে হুমকি দিয়ে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “হামাস যদি জিম্মি মুক্তির সময়সীমা মেনে না চলে, ‘তীব্র লড়াই’ শুরু করবে ইসরায়েল।”
আরও পড়ুন: চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ: জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না হামাস
নেতানিয়াহু আরও বলেন, তিনি গাজার ভেতরে ও আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীকে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরই গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো ও রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
এ ছাড়াও হামাসের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শনিবারের মধ্যে বন্দিবিনিময় সম্পন্ন না করা হলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হওয়া উচিত।’
তবে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছে হামাস। গতকাল মঙ্গলবার হামাসের এক নেতা সব ধরনের হুমকি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘কেবল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চললেই গাজা থেকে জিম্মিদের ফেরত নিতে পারবে ইসরায়েল।’
এ পরিস্থিতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চুক্তি বজায় রাখতে তৎপরতা শুরু করেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসরে অবস্থান করছে।
এই আলোচনায় সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ও গাজা একটি সমঝোতায় আসতে চলেছে। গাজায় আরও বেশি তাঁবু, আশ্রয়কেন্দ্র ও ভারী সরঞ্জাম পাঠানোতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের কর্মকর্তা মাহমুদ মারদাওই বলেন, শনিবারে ৩ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ক্ষেত্রে ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ রয়েছে। তবে চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা তারা পাননি।
চুক্তি বজায় রাখার এই চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
৯ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা ফিলিস্তিনি নারীর
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী নিহত হয়েছেন।
অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নূর-শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযান চলাকালে প্রাণ হারান ওই নারী।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আলজাজিরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সুন্দুস জামাল শালাবি (২৩) নামের নিহত ওই নারীর গর্ভের সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও সফল হতে পারেনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়ায় সন্তানটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে মেডিকেল টিম। হামলায় ওই নারীর স্বামীও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনে কর্মরত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও ইসরায়েলি সেনারা তাদের মেডিকেল টিমকে (শরণার্থী) শিবিরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তানের ওয়াফা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ (রবিবার) সকালে ইসরায়েলি সেনারা পশ্চিম তীরের তুলকারেম অঞ্চলে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও বুলডোজার মোতায়ন করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
ফিলিস্তিনে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বন্ধে পরিচালিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অভিযান চলাকালে ভারী গুলিবর্ষণ ও ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা আলজাজিরাকে জানায় স্থানীয় সূত্রগুলো।
গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
অভিযানে পশ্চিম তীরের জেনিন ও তুলকারেমে গত কয়েক সপ্তাহে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই এলাকাদুটিতে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।
১৩ দিন আগে
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান সৌদির
ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সৌদি আরবের ভূখণ্ডে ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।
এরআগে সৌদি ভূখণ্ডে একটি ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছিলেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।
নেতানিয়াহু-সমর্থক টেলিভিশন চ্যানেল ফোরটিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনেকটা রসিকতা করে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন নেতানিয়াহু। সেখানে ভুলবশত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বদলে ‘সৌদি রাষ্ট্রের’ কথা বলেছিলেন তিনি। পরে তিনি নিজেই সেটা সংশোধন করেন।
ইসরায়েলের এই পরামর্শের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী মিসর ও জর্ডান। নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ‘সৌদির সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে দেশ দুটি।
সৌদি আরব বলছে, ‘নেতানিয়াহুর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশ যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটিকে আমরা মনে রাখবো।’
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি আরও জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ; সেটা উপলব্ধি করার সক্ষমতা নেই এসব দখলদার উগ্র মানসিকতার লোকজনের। এই ভূখণ্ডের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, আত্মার ও আইনগত—যেটা থেকে তাদের কখনোই বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব না।
গত মঙ্গলবারে( ৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুর্নগঠনের নামে উপত্যকাটি দখল করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরিয়া’ বানাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যেরও সমালোচনা করে আরব দেশগুলো। ইতালীয় রিভেরিয়া বলতে বোঝায় সুদৃশ্য সমুদ্র উপকূলকে। আর ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে গাজা উপত্যকাটি অবস্থিত।
আরও পড়ুন: গাজা থেকে মিসর-জর্ডানে শরণার্থী বাড়াতে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
১৩ দিন আগে
এবার চিকিৎসা নিতে মিসরে যাওয়ার সুযোগ পেলেন ৫০ ফিলিস্তিনি
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে গাজা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মিসর গিয়েছেন ৫০ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিসরের একটি টেলিভিশনের খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মিসরে চিকিৎসার নিতে প্রথমধাপে ৫০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী রাফাহ সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ফুটেজে দেখা গেছে, সীমান্ত দিয়ে রোগীরা একে একে মিসরে প্রবেশ করার পর অ্যাম্বুলেন্সে উঠছেন।
মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের একটি সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে শেখ জুয়েইদ, আরিশ ও সুয়েজ শহরের হাসপাতালে রোগীদের পরিবহনের জন্য ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে রাখা হয়েছিল। পরে রোগীদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সীমান্ত ত্যাগ করে।
ওইসব ফিলিস্তিনিদের নির্ধারিত হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স, বার্ন, জেনারেল সার্জারি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাফাহ ক্রসিং মিসরসহ অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের একটি মূল প্রবেশদ্বার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি মিসরের দিক থেকে রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার আগপর্যন্ত তা অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল।
২০ দিন আগে
ফিরে আসার আনন্দে মেতেছেন ফিলিস্তিনিরা
তাদের কাছে যা কিছু ছিল—পোশাক, খাদ্য কিংবা কম্বল—যতটুকু তারা বহন করতে পারেন, তা নিয়েই টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে হেঁটে এসেছেন। মুখে হাসি নিয়ে আলিঙ্গন করছেন প্রিয়জনদের, কত মাস পর তাদের দেখা!
গাজা উপত্যকার মূল উপকূলীয় সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। পনেরো মাসের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন তারা।
ফুরফুরে মেজাজ—যদিও তারা জানতেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলসহ গাজা শহরের বড় একটি অংশ মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে বড় কথা হলো—তারা ফিরে এসেছেন, নিজ ভূখণ্ডে, আবাসভূমিতে।
আর কোনোদিন নিজ ভূখণ্ডে ফিরতে পারবেন কিনা; সেই শঙ্কাও জেগেছিল অনেকের মনে। ধারণা করেছিলেন, দেশ থেকে স্থায়ীভাবে বিতারণ করা হয়েছে তাদের।
২৫ দিন আগে
ইসরাইলি অবরোধ, বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে চাইলেও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবরোধ করে রাখায় সড়কেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এদিকে জর্ডান ও মিসরসহ অন্য আরব দেশগুলো আরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে গ্রহণ করবে, সেটিই দেখতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তা সন্দেহের চোখে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা।
বসতবাড়িতে ফিরতে না পেরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় রাত যাপন করেছেন। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে অবরুদ্ধ সড়ক খুলে দিতে অস্বীকার করছে ইসরাইল।-খবর এপি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।
এই অচলাবস্থার কারণে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে একটা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মধ্য গাজায় উত্তর দিকের সড়ক বরাবর সারি সারি ফিলিস্তিনি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন—কখন বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন। তাদের মধ্যে কেউ গাড়িতে বসে, কেউ আছেন দাঁড়িয়ে।
তামের আল-বুরাই নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, গাজায় ফিরে যেতে এক বিশাল জনসমুদ্র অপেক্ষা করছেন। তাদের আর তর সইছে না।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী সড়ক অবরোধ তুলে নিচ্ছে না। সবাই বিরক্ত ও হতাশ।
গাজা যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন তামের। তিনি বলেন, ‘এখানের অনেকেই জানেন না তারা যে বসতবাড়ি রেখে এসেছেন, তা কী আগের মতো আদৌ দাঁড়িয়ে আছে, নাকি ইসরাইলের বোমায় মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তারা ফিরতে চাচ্ছেন।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সালাউদ্দিন সড়কে রাত কাটিয়েছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার মূলসড়ক এটি। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বরাবর নেৎজারিম করিডরে অবস্থান নিয়ে আছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই পথ দিয়েই বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
জাজিম, খাবার ও তাঁবুভর্তি গাড়ি, ট্রাক ও রিকশা নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধের সময় আশ্রয়ের জন্য তাদের এসব দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ও মার্কিন সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও আছে।
কিন্তু ইসরাইল বলছে, জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হামাস। এছাড়াও আরবেল ইহুদ নামের এক নারীকেও তারা ফেরত দিতে পারেননি। ফলে উত্তর গাজায় যাওয়ার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে তারা।
এদিকে শনিবার দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ইসরাইলের হাতে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় নিরপরাধ মানুষের ওপর এই বোমা দিয়ে হামলা হতে পারে ভেবে এটির হস্তান্তর স্থগিত করে দিয়েছিলেন জো বাইডেন প্রশাসন।
ডর্জান ও মিসরকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান
গাজা থেকে আরও বেশি ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের স্রেফ পুরো জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। আক্ষরিক অর্থে এটি একটি ধ্বংসস্তূপ, সেখানের প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন মারা যাচ্ছেন।
‘আমি চাই, মিসর লোকজন নিয়ে যাক। তারা সম্ভবত ১৫ লাখ লোক নিতে যাচ্ছেন এবং পুরো জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলুন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছেন হামাসের এক নেতা। এটিকে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার আভাস হিসেবেই বিবেচনা করছেন তিনি।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, পুনর্গঠনের আড়ালে ভালো উদ্দেশ্য থাকলেও এ ধরনের প্রস্তাব কিংবা সমাধান আমরা গ্রহণ করবো না।
আল-আওদা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি গুলিতে চার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তারা যাতে সড়ক ক্রসিংয়ের কাছে ঘেঁষতে না পারে, সে জন্যই এই গুলি করা হয়েছে।
২৭ দিন আগে
অবশেষে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক গাজা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে তিন নারী জিম্মির তালিকা দিতে ব্যর্থ হয় হামাস। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, গাজায় জিম্মি তিন ইসরায়েলি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।র তাদের মধ্যে একজন রোমানীয়, অন্য দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আল-জাজিরার খবর বলছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে যেটুকু সময়ক্ষেপণ হয়, ওই সময়ে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯ জন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল এ তথ্য দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, রাফায় একজন, খান ইউনিসে ৬ জন, গাজা সিটিতে ৯ জন ও উত্তর গাজায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা। সাত দিনের মধ্যে জীবিত আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল-জাজিরার খবর অনুসারে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময়ে মধ্য গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাবেন।
যুদ্ধবিরতির শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রতিদিন ৫০ ট্রাক জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তাবাহী মোট ৬০০ ট্রাক গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে ইসরায়েল।
উত্তর গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এসব ট্রাকের অর্ধেকই ওই অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে।
৩৪ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
নতুন বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বুধবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
উত্তর গাজার বিচ্ছিন্ন এলাকা জাবালিয়ার একটি বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছে। গেল প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে উপকূলীয় অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাবালিয়া। অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে সেখানে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর এপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক নারী ও চারটি শিশুসহ জাবালিয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
আল-আকসা মার্টায়ারস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় এক নারী ও একটি শিশু নিহত হয়েছে।
একটি শিশুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আপনারা কী নতুন বছর উদযাপন করছেন? উপভোগ করুন, যখন আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি। গেল দেড় বছর ধরে আমাদের ওপর দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রাতে বুরেইজ এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা করা হয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে সেই জবাব দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে খান ইউনিসে। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় নাসের হাসপাতাল ও ইউরোপীয় হাসপাতালে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২০০ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরাইলিকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃতদের মধ্যে প্রায় ১০০ ইসরাইলি এখনো গাজায় বন্দি আছেন ও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এরপর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৫ জন নিহত
৫২ দিন আগে
বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে আছে। তাদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে আসছে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এসময় ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠকে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ, ভিসা সহজীকরণ, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন সবসময় অব্যাহত থাকবে।
উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আসা-যাওয়া করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১২টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৭ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে আরও বেশি ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করুক। কিন্তু তা যেন হয় দূতাবাসের মাধ্যমে যথাযথ নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
এবিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
বৈঠকে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১১০ দিন আগে