রিপোর্ট
এলএনজি প্রকল্পে বাংলাদেশের খরচ হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার: রিপোর্ট
ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মার্কেট ফোর্সেস এক প্রতিবেদনে বলেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনাল উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরা’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ইন্সটিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের এনার্জি ফর বাংলাদেশের লিড অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম, মার্কেট ফোর্সেস’র এশিয়া এনার্জি ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার মেগু ফুকুজাওয়া এবং থ্রিফিফটি ডট ওআরজি (350.org) সাউথ এশিয়ার মোবিলাইজেশন কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটের এলএনজি সরবরাহকারীদের তালিকা করবে পেট্রোবাংলা
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলোর জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে, বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে। ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজি’র ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নতুন বিশ্লেষণে আরও প্রকাশ করা হয় যে, যখন দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্কটে রয়েছে, এলএনজির উপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এ বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ।
‘ব্যয়বহুল এলএনজি সম্প্রসারণ’ শিরোনামে এই নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের জিই ভার্নোভা ও জাপানের জেরার মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এলএনজি প্রকল্প সম্প্রসারণে আগ্রহী, যা দেশটির পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। জাপানের সরকারি সংস্থা জাইকা এবং এনার্জি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশে আমদানিনির্ভর ও এলএনজি-কেন্দ্রিক শক্তির মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি করবে এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পগুলো আমাদের জনগণের সম্পদ দখল করে গড়ে উঠেছে। যারা এসব স্থাপনা গড়ে আমাদের সম্পদ দখল করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প আমরা চাই না। অনুমান বাদ দিয়ে, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করে সরকারের নীতিমালায় এই দাবি অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেছেন, অন্যায্যভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশের জনগণ দূষিত জীবাশ্ম গ্যাস নয়, বরং পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শ্বাস নেওয়ার জন্য সুস্থ বায়ু প্রাপ্য। জাপানি কোম্পানি ও অর্থদাতাদের জন্য এটাই বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর এবং গ্রিড আধুনিকায়নে সহায়তা করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জাইকা এবং আইইইজে’র প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) অবশ্যই সংশোধন করা উচিত। কারণ এটি বাংলাদেশকে এলএনজির ওপর নির্ভরশীল করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এই প্রস্তাবিত এলএনজি প্রকল্পগুলো শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিকর নয় বরং আমাদের মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত জীববৈচিত্র্যের জন্যও বিধ্বংসী, যার উপর লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের দিশা। যদিও জাপানি সংস্থাগুলোর বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ রয়েছে, জাইকা দ্বারা এই খাতে নীতি প্রণয়ন গুরুতর স্বার্থের দ্বন্দ্বের উদাহরণ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালনি এবং এলএনজির আমদানি দেশের জন্য আর্থিক আর্থিক বোঝা এবং প্রাণ-প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে জড়িত। বিগত সরকারের সময়ে এনার্জি সেক্টরে পরিকল্পনা করা হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ট্রান্সন্যাশনাল পুঁজির পলিসি উন্নয়নে কাজ করে। বিগত সরকার যে এনার্জি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে তা অনিবার্য ছিল না। এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রযুক্তিগত বিকাশ দামে সস্তা। জীবাশ্মজ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জলবায়ু বিপর্যয় জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরকে দিয়ে বিগত সরকারের এই জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নীতিগত জায়গা থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। পিএসসিসহ অন্যান্য সকল নীতির পরিবর্তন না হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। এজন্য বাংলাদেশি পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করতে হবে আর বিদেশিদের প্রস্তুত সকল পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
মার্কেট ফোর্সেস-এর এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক মুনিরা চৌধুরী বলেন,‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি টার্মিনাল এবং ৪১টি নতুন এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ, যার সম্মিলিত ক্ষমতা দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন বহরের চেয়ে বেশি।’
এই প্রকল্পের বিপুল নির্মাণ ব্যয়ের বাইরে, বাংলাদেশকে গ্যাস আমদানি করতে প্রতি বছর ৭ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিতে ২৪০ গিগাওয়াট সৌর এবং ৩০ গিগাওয়াট উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলোর তহবিল নবায়নযোগ্য শক্তি ও গ্রিড উন্নয়নের দিকে পুনঃনির্দেশ করার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
১ মাস আগে
২৮ মিলিয়ন মানুষ বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার: রিপোর্ট
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ আধুনিক দিনের দাসত্বের মধ্যে বসবাস করছে। যার মধ্যে ২৮ মিলিয়ন বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার।
সোমবার আইওএম, ওয়াক ফ্রি এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল এস্টিমেটস অব মডার্ন স্লেভারি রিপোর্ট ২০২২' শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে মানুষকে কীভাবে নির্দিষ্ট কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে তার একটি বিশদ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
প্রতিবেদনটি একটি চমকপ্রদ সত্য উদ্ঘাটন করেছে। এতে বলা হয়েছে, সমস্ত বাধ্যতামূলক শ্রমের ৫২ শতাংশই উচ্চ-মধ্যম বা উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে সংঘটিত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক শ্রমের ৮৬ শতাংশ বেসরকারি খাতে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বাধ্যতামূলক শ্রম ১৪ শতাংশ।
বাধ্যতামূলক শ্রমের ক্ষেত্রে প্রতি আটজনের মধ্যে কমপক্ষে একজন শিশু (৩.৩ মিলিয়ন) এবং অর্ধেকেরও বেশি বাণিজ্যিক যৌন শোষণের শিকার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকরা অ-অভিবাসী প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের তুলনায় তিনগুণ বেশি বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিবাসীরা অনিয়মিত বা দুর্বলভাবে পরিচালিত অভিবাসন এবং অন্যায্য ও অনৈতিক নিয়োগ পদ্ধতির কারণে বেশি পরিমাণে জোরপূর্বক শ্রম এবং পাচারের ঝুঁকিতে থাকে।
প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশ কাতারের কথা বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-কে কেন্দ্র করে দেশটিতে কর্মরত অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের কথা জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে আধুনিক দাসপ্রথার অবসানের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে আইন ও শ্রম পরিদর্শনের উন্নতি ও প্রয়োগ, রাষ্ট্রীয় চাপিয়ে দেয়া বাধ্যতামূলক শ্রমের অবসান, ব্যবসায় ও সরবরাহ শৃঙ্খলে জোরপূর্বক শ্রম ও পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিশালী ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষা প্রসারিত করা এবং আইনি সুরক্ষা জোরদার করা।
প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত অন্যান্য কিছু পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- অভিবাসী কর্মীদের পাচার ও বাধ্যতামূলক শ্রমের বর্ধিত ঝুঁকি মোকাবিলা, ন্যায্য ও নৈতিক নিয়োগের প্রচার এবং নারী, মেয়ে ও নাজুক ব্যক্তিদের জন্য আরও বেশি সমর্থন বাড়ানো।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৩৭ লাখ ছাড়াল
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার একুশ বছরপূর্তি পালিত হচ্ছে
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে মসজিদ থেকে ইমামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মসজিদের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইমামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমাম মো. ফেরদৌস ইসলাম (৩০) বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার চর মাধপরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
গত দেড় মাস ধরে তিনি উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন এবং মসজিদের সঙ্গে একটি কক্ষে থাকতেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রেজাউল করিম জানান, রাতের নামাজ শেষ করে আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে হয়তো এ ঘটনা ঘটেছে। ইমামের রুমের জানালার একটা অংশ খোলা থাকায় বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে ঘটনাস্থল থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই সময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, রিপোর্ট হাতে পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে