সতর্ক সংকেত
সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এটি এখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি অঞ্চলে অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলোসহ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
৩ মাস আগে
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একটি পশ্চিমাঞ্চলীয় উপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে এখন একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
এদিকে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে অবস্থান এবং সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বুলেটিনে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরগুলোর সতর্ক সংকেত নামানোর নির্দেশ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর নিয়মিত বুলেটিনে বলেছে- রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রবিবার ঢাকার বাতাস 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
অধিদপ্তর সতর্কবার্তায় বলেছে- উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সেজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শনিবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
১ বছর আগে
সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
প্রবল মৌসুমি বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
১ বছর আগে
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা নবম
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
১ বছর আগে
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন ঘটছে বলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঝোড়ো হাওয়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে প্রভাবিত করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সামুদ্রিক বন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। বিষয়টি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, সিত্রাং খুব দ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ও বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে এবং বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশটি সোমবার সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করে এবং এর কেন্দ্র মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।
ওই সময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটারে পৌঁছেছিল।
সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ ও এর ডালপালার আঘাতে মানুষ মারা যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়।
১৯টি উপকূলীয় জেলায় কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশেপাশের প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জোর দিয়েছিল। সোমবার গভীর রাতের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিত্রাং আছড়ে পড়ার সময় পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি মানুষকে এইসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইতোমধ্যে দক্ষিণের তিনটি বিভাগের কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নদীবন্দর সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাবিবগঞ্জ, বরিশাল সিলেট, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর নদী বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সাত হাজারেরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে সমস্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নোঙর রাখতে বলা হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য পার্বত্য জেলার কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে ইউএনবি সংবাদদাতারা সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে দায়ী করেছে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ডেসকোর কর্মকর্তাদের মতে, সিমপুর, উলান ও মানিকনগর গ্রিড লাইনে ত্রুটির কারণে অনেক এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্ল্যাকআউটের সম্মুখীন হয়েছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকার ধানমন্ডি, শেরেবাংলানগর, কাকরাইল, কাজলা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ব্ল্যাকআউটও হয়েছে।
২ বছর আগে
সিত্রাং: মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন বলা হয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং তাদের উপকূলবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
সোমবার সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ তিনটি অদূরবর্তী দ্বীপসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া এসব জেলার নদীবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ তিনটি উপকূলীয় দ্বীপও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।আজ সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে ১০৫২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে
ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস এর আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে পরিণত ‘অশনি’, নামল সতর্ক সংকেত
ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তর দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন এটি পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তাদের গভীর সমুদ্রে না যেতেও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
নামল ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে