বিএইচআরসি
অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
বাংলাদেশে গত অক্টোবর মাসে ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির অক্টোবর মাসের প্রস্তুত করা প্রতিবেদনের আলোকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিএইচআরসি’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করেছে।
বিএইচআরসি’র জরিপ অনুযায়ী অক্টোবরে মোট ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে দেশে ২৬১ জন খুন হয়েছেন: বিএইচআরসি
এছাড়া সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬১ জনের। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইজনের মৃত্যু এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় ৭টি করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অধিক দায়িত্ববান হওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় প্রতিবেদনে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, গেল অক্টোবর মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৬১ জন মানুষ। এরমধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় ১৬ জন, সামাজিক সহিংসতায় পাঁচজন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন, চিকিৎসা অবহেলায় পাঁচজন, অপহরণের শিকার হয়ে মৃত্যু তিনজনের, গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আরও ছয়জনকে।
এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১৬ জন মানুষ।
আরও পড়ুন: মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন, আর করোনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে: বিএইচআরসি
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
২ বছর আগে
জুলাই মাসে দেশে ২৬১ জন খুন হয়েছেন: বিএইচআরসি
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রতিদিন গড়ে আটজনকে খুন করা হয়েছে। এসময়ে দেশে মোট ২৬১ জনকে খুন করা হয়েছে, যেখানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১৩৯ জন মারা গেছে।
সোমবার বিএইচআরসির রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে- নিহতদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী হয়েছে (১৫), তারপরে সামাজিক সহিংসতায় মৃত্যু (২), যৌতুকের জন্য হত্যা (২) ও অপহরণের পর হত্যার (২) কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ৩১ জনের মৃত্যু রহস্যজনক বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক পাঁচটি হত্যা এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক দুটি হত্যার কথা বলা হয়েছে এই রিপোর্টে।
এছাড়া চলতি মাসে ধর্ষণের পর খুন হয়েছেন দুজন ভুক্তভোগী। বিএইচআরসি এই সময়ের মধ্যে সাতটি ধর্ষণের ঘটনাও রেকর্ড করেছে।
এদিকে বিএইচআরসি জানিয়েছে, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন এবং চারজন আত্মহত্যা করেছেন।
সংগঠনটি তার জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা শাখার তথ্য এবং জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরনের ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ড হ্রাস করা সম্ভব।।’
আরও পড়ুন: মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন, আর করোনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে: বিএইচআরসি
জানুয়ারিতে দেশে খুন হয়েছেন ১৮৫ জন: বিএইচআরসি
২ বছর আগে
মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন, আর করোনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে: বিএইচআরসি
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিএইচআরসি শনিবার তার জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ইউনিট থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তুলনামূলক তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ২৪৮ জনের মধ্যে ১৬৬ জন বিভিন্ন পরিবহন দুর্ঘটনায়, ৩৫ জন অজ্ঞাত কারণে, ১৮ জন পারিবারিক সহিংসতায়, চারজন সামাজিক সহিংসতায়, চারজন আততায়ীর দ্বারা, দু’জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দ্বারা, দু’জন অপহরণকারীর দ্বারা এবং একজন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে এবং ১৩ জন আত্মহত্যা করে মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
২ বছর আগে