বঞ্চিত
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান প্রশাসন ক্যাডারের বাইরের ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা।
এসময় ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন।
আরও পড়ুন: ২২ উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল আমিন বলেন, আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করব।
উপসচিব বলেন, এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সচিব চাইলেই আমি সময় দেব। এটা যখন আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, সময় চাইলেই সময় দেব। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
উপসচিব আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরামর্শ দিয়েছেন যে, তোমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আবার জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলব। তাকে বুঝিয়ে বলব। আমি রেডি সময় দেওয়ার জন্য, উনি সময় চাইলেই দেব।
আরও পড়ুন: ২০১ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
৩ মাস আগে
দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজেদের বঞ্চিত দাবি করা সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। কিন্তু ইচ্ছা করে ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেসব কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সবাইকে মিলেমিশে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বিসিবির অভিনন্দন
রাজপথ থেকেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়: আসিফ মাহমুদ
৪ মাস আগে
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
দলীয় কারণে গত ১৭ বছর প্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত আমলাদের শিগগিরই পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর এই তালিকায় রয়েছেন বঞ্চিত উপসচিব, যুগ্মসচিবরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুত্রে এ তথ্য জানা যায়, বিসিএসের বিভিন্ন ব্যাচের উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদের কর্মকর্তাদের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বঞ্চিত বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কর্মকর্তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ কমানোর জন্যই এই পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী শাসনামলের গত ১৬ বছরে প্রশাসনে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শত শত কর্মকর্তা। গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনে নামের সঙ্গে ‘নেগেটিভ’ উল্লেখ থাকায় বঞ্চিত করা হয় তাদের। অনেককে বছরের পর বছর ওএসডি থাকতে হয়েছে। কিংবা ফেলে রাখা হয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। এমনকি অনেককেবাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে গত ১৩ আগস্ট রাতে বঞ্চিত ১১৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আগের যারা বঞ্চিত উপসচিব আছেন তারা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাবেন। একইভাবে অতিরিক্তি সচিব পদেও পদোন্নতি হবে অনেকের।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সচিবালয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী কার্য সম্পাদনের জন্য উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সিনিয়র সার্ভিস পুল গঠন করা হয়। ‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা ২০০২’ অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ২৫টি ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে এ পুল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯৯ জন (৯ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪৬ হাজার ২৩ জন (৯০ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী পদোন্নতি, অর্থাৎ যুগ্ম সচিব ও এর ওপরের পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশ পাওয়া নিজ নিজ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকা, সরকারি চাকরি আইন, পদোন্নতি বিধিমালা, সুপ্রিম কোর্টের রায় কোনো কিছুই মানা হয় না। এক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের সব কর্মকর্তার নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পদোন্নতি নিশ্চিত থাকলেও অন্য ২৫টি ক্যাডারের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা আরোপ করে প্রশাসন ক্যাডারের অনেক জুনিয়র ব্যাচের সঙ্গে স্বেচ্ছামূলক নামমাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ থেকে ২২ ব্যাচের অত্যন্ত মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য দুই শতাধিক কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠতা হারিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে তাদের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তার অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন গোটা জনপ্রশাসন মেধাহীন ও দক্ষ জনবলশূন্য হয়ে পড়েছে, অপরদিকে জনপ্রশাসনে চেইন অব কমান্ডও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায় অতি দ্রুত ক্যাডার নির্বিশেষে বৈষম্যহীন মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়তে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া ২৫ ক্যাডারের বেআইনিভাবে পদোন্নতিবঞ্চিত ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের উপসচিবদের পিএসসির মেধাতালিকা অনুযায়ী স্ব-স্ব ব্যাচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা নিশ্চিত করে যুগ্ম সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সামনে আসেন প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার বঞ্চিত কর্মকর্তারা। পরদিন ৬ আগস্ট সচিবালয়ে বৈঠক করেন পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সভায় জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবি জানান তারা। এরপর তারা প্রশাসনে কর্মরত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যাচভিত্তিক তালিকা তৈরি করে পদোন্নতির জন্য সচিবের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসনে জমা দেওয়া তালিকা সূত্রে জানা যায়, ওই তালিকায় অন্তত ২৪৪ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে বিসিএস ১১তম ব্যাচের ৪ জন, ১৩তম ব্যাচের ৮ জন, ১৫তম ব্যাচের ২১ জন, ১৭তম ব্যাচের ৮ জন, ১৮তম ব্যাচের ২২ জন, ২০তম ব্যাচের ২১ জন, ২১তম ব্যাচের ১০ জন, ২২তম ব্যাচের ৮১ জন, ২৪তম ব্যাচের ১২ জন, ২৫তম ব্যাচের ১২ জন, ২৭তম ব্যাচের ১৩ জন, ২৮তম ব্যাচের ১০ জন ও ২৯তম ব্যাচের ২২ জন রয়েছেন। এই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সিনিয়র সহকারী সচিব এবং যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও দুদকের মামলা নেই, মঙ্গলবার রাতে প্রথম দফায় তাদের ১১৭ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন
৪ মাস আগে
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ায় জনগণের আশা-আকাঙ্খার জায়গা হলো বিচার বিভাগ। দুর্ভাগ্যবশত, তারা (সরকার) বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মামলার রায় জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে সুপ্রিম কোর্ট ট্রায়াল কোর্টের দুর্নীতির একটি 'মিথ্যা' মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পথ পরিষ্কার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা বৈধ নয়। আমরাও মনে করি বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে... তাই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।’
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যাতে ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পথ পরিষ্কার হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আ.লীগ সরকারের অপকর্ম, চরম দুঃশাসন তুলে ধরা হয়েছে: বিএনপি
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাই তারা একে একে সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগই সেই জায়গা, যাতে তারা প্রথমে হস্তক্ষেপ করেছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘অবৈধ’ ও ‘দখলকারী’ সরকার গণতন্ত্র ও সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বলে সারা দেশে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিন বছর আগে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি জনকে হত্যা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার বিকল্প নেই।
গুমের শিকার বিএনপি নেতাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
২ বছর আগে
মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ এপ্রিল) ১২১, ১২২ এবং ১২৩তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন কখনই সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই স্বাধীনতা।’
শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীনতার ফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে এবং এটাই সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যখনই কাজ করবেন আপনাকে সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কার্যকর সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো এলাকায় সরকারের কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয় করতে হবে।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদেরকে এখন থেকেই সেভাবে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি তাদের মেধা ও শক্তিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে ১২১তম ব্যাচের এম নাভিদ রেজওয়ানুল কবির, ১২২তম ব্যাচের এম রাহিবুল হাসান এবং ১২৩ তম ব্যাচের রেজওয়ানা হাশিম অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পদক, সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে