সুপ্রিমকোর্ট
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার(২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।
আগামী বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
৭ মাস আগে
সুপ্রিমকোর্টে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসংক্রান্ত কমিটি পুনর্গঠন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’
পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফওজিয়া করিম ও আইনজীবী ফারজানা রহমানকে।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে রিট করেন।
শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন।
এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি কমিটি গঠনের আদেশ দেন। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছিল।
কিন্তু তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান করতে হবে একজন নারীকে। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েনটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়, সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিক নির্দেশনাটি প্রকাশ করতে হবে বই আকারে। এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তা আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
১ বছর আগে
তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার দুই-তিন মিনিটের মাথায় আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা স্লোগান নিয়ে দক্ষিণ হলে প্রবেশ করে। এ সময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করে। এসময় আ. লীগ সমর্থক আইনজীবীরা হলরুম থেকে বের হয়ে যান।
এরপর শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিয়ে হল ত্যাগ করেন। তারা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে দিয়ে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং তা অন্তত ১০ মিনিট চলে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
পরে সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয়েছে। তারা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’
এদিকে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা যখন আমাদের এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা চালায়, তখন আমরা শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা আরও আগ্রাসী আচরণ করে।’
সচিবের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তারা নিজেরাই কক্ষ ভাঙচুর করে এখন আমাদেরকে দোষারোপ করছে।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি
তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির।
অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে, এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা।
তবে আজও সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর এই ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে খাসকামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল। তবে আজ রাতেই এই ভোট গণণা ও ফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো।’
এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’
পরে বেলা ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়।
এরপর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় না। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে অপরপক্ষ বাধা দেবে তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকালে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
পুলিশ দুঃখিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে।
১ বছর আগে
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছুই নেই। সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে সমিতির নির্বাচনের বিষয়টির সমাধান করতে বলেছেন।প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে এটা আমাদের বিষয় না। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিচারপতিদেরকে ডেইলি স্টারের একটি ছবি দেখিয়ে বলেছি বাঁশ হাতে ভাঙচুরে জড়িত আইনজীবী বিএনপিপন্থী। তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী না। উভয়পক্ষই যখন এমন করে তখন কি করণীয় জানতে চাইলে আমি বলেছি যে মমতাজ উদ্দিন ফকির ও আবদুন নূর দুলাল যখন নির্বাচন করতে গেল তখন বাধা দিচ্ছিল। সেই পর্যায়ে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে। আগের দিনই বারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। কারণ আগের দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক লোকজন ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে, অপর পক্ষ বাধা দেবে; তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।এর আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বুধবার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা।আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে আজ সকালে তালা লাগিয়ে দেওয়া ও বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো তারা আদালতে তুলে ধরেন। এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বেলা ১১টায় তার খাসকামরায় যাওয়ার জন্য বলেন। প্রয়োজনে এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও ডেকে নেয়া যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আদালতের কাজ করতে দিন। আপনারা দু’জন বেলা ১১টায় খাসকামরায় এসে সব বলেন। আমরা শুনব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’
পরে বেলা ১১টার পরে সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়। এরপরই প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বিএনপিপন্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদিন জানান, আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। আমাদের সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী তাদের সব বক্তব্য ও অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সব শুনে বলেছেন যে আমি এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব।
তিনি বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতি সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে ডাকেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান বিচারপতি বলেছেন তার নাকি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান এই অঙ্গনের অভিভাবকের কাছে এ ধরনের ঘটনার বিচার না পেলে আর কোথায় যাব।
এদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আজও নির্বাচনের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরাও স্লোগান দিচ্ছেন। পাশপাশি পুলিশের প্রহরায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে এক তরফাভাবে নির্বাচন চলছে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত আজও ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ আদালতের
১ বছর আগে
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বুধবার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে তুলে ধরেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা।
এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বেলা ১১টায় তার খাসকামরায় যাওয়ার জন্য বলেন।
প্রয়োজনে এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও ডেকে নেয়া যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আদালতের কাজ করতে দেন। আপনারা দু’জন বেলা ১১টায় খাসকামরায় এসে সব বলেন। আমরা শুনবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’
এর আগে সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমেই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপি ফোরামের নেতা এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে বুধবার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এটা এখনও চলামান রয়েছে। আজও রুমের তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। আজও কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কি না দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? এ ছাড়া তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাই।’
এরপর সমিতির সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি আমাদের যে কোনো দু:খ, কষ্ট, ব্যাথা অভিভাবক হিসেবে আপনাদেরকে জানানো উচিত। সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর পরিবেশে। কিন্তু এবার কি হলো! আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি।
তিনি বলেন, রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। বুধবার আমার ওপর আক্রমন করে গাউন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটা পুরাতন গাউন ধার করে গায়ে দিয়ে এসেছি। হাজার হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা আহত হয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমি প্রার্থী, আমি কেন ভোট কেন্দ্রে থাকতে পারবো না?
ব্যারিস্টার কাজল আদালতে বলেন, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। ১৩ মার্চ বিকালেও সে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছে। হঠাৎ তার কি হলো?
আরও পড়ুন: পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরে তিনি আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। তারা আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে এনে বলেছে যেভাবে বলবে, সেভাবে কাজ করতে হবে। সেজন্য সে পদত্যাগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন সে পদত্যাগ করলেও সর্বসম্মতিক্রমে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু না করেই তারা ভোটগ্রহণ শুরু করেছে। এরপর রাতে মনিরুজ্জামান সাহেব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আমাকে ও সভাপতি প্রার্থীসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় একটি মামলা করা হয়েছে সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দিয়ে। সেখানে সমিতির বর্তমান ছয়জন নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, মি. রুহুল কুদ্দুস কাজল আমি আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা দুইজন ১১টার সময় আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
এরপর সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে ৩০০-৪০০ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ বুট দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না। অনেক আইনজীবী আহত। সাংবাদিকদেরকেও আহত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় ব্যারিস্টার রুমের তালা খুলে দেয়ার ও পুলিশ সরানোর আবেদন জানান।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা এখন বললে আদেশ হয়ে যাবে। আপনারা আসেন, তখন দেখবো।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
১ বছর আগে
সেলিম খানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বকেয়া রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ
চাঁদপুরের মেঘনা তীরবর্তী ২১ মৌজা থেকে বালু উত্তোলন বাবদ আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের কাছে সরকারের বিপুল অঙ্কের বকেয়া রাজস্ব নির্ধারণ পূর্বক তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেন। রায়টি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে রিট আবেদনকারী (সেলিম খান) সরকারকে কোনো ধরনের রয়্যালটি (রাজস্ব)না দিয়েই স্বেচ্ছাচারীভাবে ওই মৌজাগুলো থেকে বালু উত্তোলন করেছেন, যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এতে সরকারের ইতিমধ্যে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
হাইকোর্ট বিভাগ যেদিন (২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল) রায় দিয়েছিলেন, সেদিন থেকে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগ যেদিন (চলতি বছরের ৪ এপ্রিল) আদেশ দিয়েছিলেন-এই সময় পর্যন্ত সেলিম খানের কাছ থেকে ওই রয়্যালটি আদায় করতে বলা হয়েছে আপিল বিভাগের রায়ে। অর্থাৎ বালু উত্তোলনের জন্য মো. সেলিম খানকে চার বছরের রয়্যালটি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে রুল
রায়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, হাইকোর্টে এ বিষয়ে জারি করা রুলের বিরোধীতা করে কোন এফিডেভিট দাখিল না করা এবং সে সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তার ভূমিকা বেশ সন্দেহজনক। এছাড়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে নিশ্চিুপ ছিলেন। আদালত রায়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দীর্ঘ সময় নিশ্চুপ থাকা এবং তখনকার আইন কর্মকর্তাদের ভূমিকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে গত ২৯ মে রায় দেন আপিল বিভাগ যে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন সেলিম খান। সেই রায় বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং আইনের লঙ্ঘন। এই বিবেচনায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আপিলের বিস্তারিত শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ। সে রায় আজ প্রকাশিত হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ডুবোচর থেকে আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে বালু তুলেছেন। ফলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, মেঘনা নদীর চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলায় অবস্থিত ২১টি মৌজায় নিজ খরচে সেলিম খান হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন। নৌপথ সচল করার কথা বলে রিটটি করা হয়েছিল। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৯ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। এরপর রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির চিঠি উল্লেখ করে বলা হয়, এতে প্রতীয়মান হয় যে, ওই মৌজাগুলোতে পর্যাপ্ত বালু-মাটি রয়েছে এবং তা তুলতে কোনো বাধা নেই। আপত্তি জানিয়ে বিবাদীদের (ভূমি সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালক) পক্ষ থেকে কোনো জবাব (হলফনামা) দায়ের করা হয়নি, যাতে বিষয়টি (বালু থাকা) বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। রায়ে ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে ৮৬ দশমিক ৩০ কিউবিক মিটার (৩০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুট) বালু সেলিম খানকে উত্তোলনে অনুমতি দিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
হাইকোর্টের এই রায়ের চার বছর পর গত মার্চে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে কোনো নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ প্রতিবেদনই যে একক ভিত্তি নয়, তা হাইকোর্ট উপলব্ধি করতে পারেননি। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে, পরিবেশ, পাহাড়ধস, ভূমিধস অথবা নদী বা খালের পানির স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন, সরকারি স্থাপনার (যথা ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ফেরিঘাট, হাটবাজার, চা বাগান, নদীর বাধ ইত্যাদি) এবং আবাসিক এলাকার কোনো ক্ষতি হবে কি না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত গ্রহণ করবেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া বালু বা মাটি উত্তোলন করার ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ নষ্ট বা সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই বালুমহাল বিলুপ্তির প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন জেলা প্রশাসক। লিভ টু আপিলে আরও বলা হয়, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ডুবোচরের বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোনো ধরনের মূল্যায়ন হয়নি। এমনকি রিটে উল্লিখিত মৌজাগুলো বিভাগীয় কমিশনার বালুমহাল হিসেবেও ঘোষণা করেননি। তাই হাইকোর্ট বিভাগ বিবাদীকে (সেলিম খান) বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা বাতিলযোগ্য। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে নদীর তলদেশে কোথায় কত দূরত্বে মাটি রয়েছে, তা আধুনিক পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা বা এর মানচিত্র তৈরি করা হয়। ডুবোচর কাটতে হলে প্রথমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের এই লিভ টু আপিল গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন।
২ বছর আগে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ
সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত হোয়াইট মার্বেল প্যালেসে ৩৪ জন মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সাদিক সানজরানি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ১১ এপ্রিল শাহবাজ শরিফ দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে শ্রীলঙ্কার সংবিধান পরিবর্তন
শরীফের সাবেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরাও তার জোট সরকারের অংশ হয়েছেন। মন্ত্রীদের বিস্তারিত তথ্য কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ দলের সদস্য খাজা মোহাম্মদ আসিফ রয়েছেন। এছাড়াও আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দলের খুরশীদ শাহ ও শেরি রেহমানসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ।
উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানকে রাজনৈতিক নাটকীয়তা ও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
কিন্তু ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে তাকে অপসারণের জন্য করা ষড়যন্ত্রে ওয়াশিংটন তার বিরোধী পক্ষকে সাহায্য করছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
২ বছর আগে
মহাসড়কে ইজিবাইক নয়: আপিল বিভাগ
মহাসড়কে থেকে ইজিবাইক অপসারণের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ সংশোধন করে সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও মনিরুজ্জামান আসাদ।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বাঘ ইকো মটর্সের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলামের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত ও সড়ক থেকে তা অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আটজন। গতকাল তাদের আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের সড়ক শব্দটি সংশোধন করে মহাসড়ক যুক্ত করেন। পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে একটি রিট করা হয়েছিল বাংলাদেশের সকল রাস্তা থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সরিয়ে নেয়ার জন্য। আজ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করেছে। আপিল বিভাগ বলেছেন, এটা শুধু মহাসড়কে চলবে না। অন্য রাস্তায় চলতে পারবে। আমরা মনে করি এটা একটা ভালো রায় হয়েছে।
ইজিবাইক নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ১৩ ডিসেম্বর রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত করে তা সড়ক থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের রুলে অবৈধ থ্রি হুইলার ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকার এবং এর নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিস্ত্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান। শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, বিআরটিএ, এনবিআর ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ইজিবাইকের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধা নিহত
২ বছর আগে