বয়সসীমা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি মেয়েদের ৩৭ বছর ও ছেলেদের ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন: সরকাসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়করি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
৪ সপ্তাহ আগে
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা ও পরিবর্তনের সুপারিশ করতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
সোমবার ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একজন সিনিয়র সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার খবর গুজব: জনপ্রশাসন সচিব
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান বয়সসীমা এবং সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর রমনা পার্কে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া কয়েকশ চাকরিপ্রার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে একদল তরুণ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যমুনার গেটের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের পথ রোধ করে। এসময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কর্মকর্তারা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।
সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কিত অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে অনেকে বলেছেন বিভিন্ন কারণে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষায় বিলম্বের কারণে সরকারি চাকরির ৩০ বছর বয়সসীমা খুব প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
১ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বুধবার (৩ জুলাই) সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বাড়বে। ফলে নিয়োগে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২২ থেকে ২৩ বছরে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় তারা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পান।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর বয়সসীমা ৩০ বছরের মধ্যে আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১ থেকে ২ বছর সময় লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি আসলে ওটার কাছাকাছি বিষয়।’
সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫ শতাংশ) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং তার থেকে বেশি বয়সিদের গ্রুপে (২৯ বছরের বেশি) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা সর্বনিম্ন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।
বয়সসীমা বাড়ানো হলে বর্তমানে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা এ সুযোগ পাবেন। এতে ৩০ বছরের কম বয়সি প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: পাটের ব্যাগ বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: পাটমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা তিন বছর তিন মাস বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএস পরীক্ষার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, যে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত, জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সে সকল দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে উক্ত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহামারির কারণে সরকারি অফিসগুলো কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি।
এই সময়ের মধ্যে প্রচলিত বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রার্থী সরকারি চাকরির অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
২ বছর আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল আলোচিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।
ফরহাদ বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সেশনজট থাকলেও এখন বলা যায় উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পায়। সাধারণ প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেও তাদের চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর থাকে।
আরও পড়ুন: বন্দর এলাকার দূষণ রোধে সংসদে আইন পাস
ফরহাদ হোসেন বলেন, এছাড়া ৩০ বছরের মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ১/২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯-এ উন্নীত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও প্রতিযোগিতার কারণ হতে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
মেয়াদ শেষ হলে পৌরসভায় প্রশাসক, সংসদে বিল পাস
২ বছর আগে