জয় বাংলা
বন্দরনগরীতে আসছে জয় বাংলা কনসার্ট
প্রথমাবরের মতো ঢাকার বাইরে আয়োজন করা হয়েছে মিউজিক্যাল ফিয়েস্তা 'জয় বাংলা কনসার্ট'র।
দর্শকদের জন্য বেশ খানিকটা চমক রেখেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এ আয়োজন করেছে দেশের সবচেয়ে বড় ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ইয়াং বাংলা।
‘চিটাঙ্গত আইয়ের’-চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দুই শব্দের একটি ফেসবুক পোস্ট দেওয়া হয় ইয়াং বাংলার ফেসবুক পেইজে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ইয়াং বাংলা ও সিআরআইয়ের শেয়ার করা এই ঘোষণাটি তখন থেকে শত শত উৎসাহী ভক্তরা সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করছেন।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় একুশের বিশেষ আয়েজন
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম আলোকিত করবে আইকনিক ও উদীয়মান রক ব্যান্ডের সদস্যরা।
২০১৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে জয় বাংলা কনসার্ট দ্রুত জনপ্রিয়তার শিখরে আরোহণ করে, তরুণদের বিমোহিত করে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিরতির পর কনসার্টটি ২০২৩ সালে আবার শুরু করা হয়। এটি শুধু একটি কনসার্টই নয়, বরং ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কে উৎসর্গ করেই শুরু হয়েছে এই কনসার্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে সেই প্রত্যাশা ধরা পড়েছে: ‘শেষ কনসার্টে আমি আমার জীবনের সেরা সময় পেয়েছি এবং প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমি ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রাম ভ্রমণের পরিকল্পনা করছি। কারণ এবারের কনসার্ট মিস করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: এবার দর্শক আমাকে নতুনভাবে পাবে: সজল
৮ মাস আগে
‘জয় বাংলা’ কনসার্টে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জয় বাংলা কনসার্ট ২০২৩ যোগ দিয়েছেন।
এ বছর গুলিস্তান বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জয় বাংলা কনসার্ট।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে বুধবার বিকালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আয়োজিত পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে (এলডিসি-৫) যোগ দিতে কাতার সফর শেষ করে দোহা থেকে দেশে ফিরে আসেন।
বিগত বছরগুলোর মতো এবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় জয় বাংলা কনসার্ট।
২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কনসার্ট কোভিড-১৯ মহামারির জন্য গত দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার সপ্তমবারের মতো জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করেছে 'ইয়ং বাংলা'।
‘ইয়ং বাংলা’ একটি যুব প্ল্যাটফর্ম যা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) দ্বারা পরিচালিত।
মূলত নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতেই এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
এটি সাধারণত প্রতি বছর ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, তবে পবিত্র শব-ই-বরাতের কারণে এই বছরের অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চে আয়োজন করা হয়েছে।
বিখ্যাত স্থানীয় ব্যান্ড-আর্টসেল, এভয়েড রাফা, লালন, চিরকুট, ক্রিপ্টিক ফেট, কার্নিভাল, মেঘদোল, নেমেসিস এবং আরেক্টা রক ব্যান্ড কনসার্টে পারফর্ম করে।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
ঢাবিতে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
১ বছর আগে
‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আজ জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা পেয়েছে... এই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতীয় সংসদে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
সাধারণ আলোচনার পর সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠভোটে অভিনন্দন প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় জনগণের সমর্থনের জন্য তাদেরও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাই না। আমি একটাই চাই যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে আসুক।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর লাখো শহীদ যারা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন তাদের ইতিহাস মুছে যায়।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
তখন বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে মুক্তিযোদ্ধাদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ধ্বংস হয়েছিল। জাতির পিতার নাম নেয়া নিষিদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আজ তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।”
এর আগে ট্রেজারি বেঞ্চের সংসদ সদস্য শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় সংসদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করে সরকার।
২ বছর আগে