বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র
২৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিবাহী জাহাজ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে
দুই হাজার ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট তরল রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাহী একটি কার্গো জাহাজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় জাহাজটি বন্দরে আসে।
এদিকে চারদিন বিঘ্নের পর শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ণ উৎপাদন শুরু করেছে। যার ফলে দেশের কিছু অংশের গ্যাস সংকটের অবসান ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
২ বছর আগে
রাজধানীতে গ্যাস সংকট বৃহস্পতিবার থেকে আরও কমতে পারে
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) সরবরাহ করতে পারে যা রাজধানীতে গ্যাস সংকট আরও কমাবে।
বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই সংকটের সময় গ্রাহকদের ধৈর্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র ১২০০ এমএমসিএফডি উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে ১১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন করছে।
সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ২৯৫০ এমএমসিএফডিসহ একটি এলএনজি কার্গো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন আরও সময় লাগছে।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রমজানের প্রথম দিন রবিবার দেশের গ্যাস উৎপাদন প্রায় ৪৫০ এমএমসিএফডি নেমে আসে।
সোমবার বিকাল থেকে গ্যাসক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস ফিল্ড প্রক্রিয়া সিস্টেম লক্ষ্য করেছে যে দুটি উৎপাদন কূপ থেকে বালি বের হচ্ছে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কূপ দুটি থেকে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানায় সম্পূর্ণ উৎপাদন শুরু না হওয়ায় গ্যাস সংকট অব্যাহত
এ ঘটনায় সামগ্রিক গ্যাস উৎপাদনের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। কেননা ত্রুটির ফলে গ্যাস সরবরাহের চাপ কমে যাওয়ায় অনেক অঞ্চলে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, রায়েরবাজার, ধানমন্ডি, শংকর, কাঁঠালবাগান, মধুবাজার, কলাবাগান, রামপুরা, ওয়ারী, মগবাজার, আরামবাগ, ফকিরাপুল, বনশ্রী, গোপীবাগ, মিরপুর, ইস্কাটনসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা খাবার রান্না করার জন্য গ্যাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর। কারণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) তাৎক্ষণিক বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় যার ফলে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিং দেখা দেয়।
২ বছর আগে