বেসরকারি শিক্ষক
১১ দফা দাবিতে বরিশালে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, মূল বেতনের ৪০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষার দরকার। যদি শিক্ষার মানোন্নয়ন না করা যায়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে হবে। যদি মানসম্মত শিক্ষক পেতে হয়, তাহলে শিক্ষকদের মানসম্মত সম্মানি দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিবার বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, যদি ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা এ সরকারকে বাধ্য করবো ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে।
জেলা বাকশিসের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজশিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করতে হবে। যাই হোক আমরা কী করতে পারি তা আমরা দেখব।’
শুক্রবার চাঁদপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি তখন আমাদের অবশ্যই শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে এটা সম্ভব হবে না।’
এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে