অনির্দিষ্টকাল
গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
গাজীপুরে ৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলোতে প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক ওই ৬টি কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বন্ধ হওয়া ৬টি কারখানা হলো- তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।
কারখানাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
কারখানার ফটকে লাগিয়ে দেওয়া নোটিশে জানানো হয়, শনিবার কারখানার শ্রমিক ও অজ্ঞাত বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে। সকালে হাজিরা দিয়ে শ্রমিকরা বের হয়ে কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান। শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের বৈধ নির্দেশ অমান্য করে কাজে যোগদান না করে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারধর ও অরাজকতা করেন। শ্রমিকদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। শ্রমিকদের এ কর্মকাণ্ডে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সম্পত্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় তুসুকা গ্রুপ বাধ্য হয়ে ৩ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে কারখানাগুলোর কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারখানা খোলার পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষ নোটিশের মাধ্যমে তারিখ জানিয়ে দেবে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং পুনরায় কাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হলে কারখানাগুলোর খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে খবর ছিল কিছু কারখানায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ কারণে শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ (কোনাবাড়ী জোনের) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, শ্রমিকদের কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। তবে শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেননি।
এ কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে বলে জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব।
উল্লেখ্য, রপ্তানিমুখী ওই পোশাক কারখানায় শনিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক বেতন, নাইট বিল, টিফিন বিল বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
২ সপ্তাহ আগে
জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, কিন্তু মূল সমস্যা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনি যা কিছু করেন তার জন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলব, তবে এর একটি সময়সীমা থাকা উচিত এবং ধৈর্যের একটি সময়সীমা থাকা উচিত। নির্বাচনের দ্রুত রূপরেখা তৈরি করুন, তারপর বাকিটা করুন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধই যথেষ্ট নয়, অস্ত্রধারীদের বিচার হতে হবে: বিএনপি
সরকার যদি সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে কোনো কিছুই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা উচিত নয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, যা সরকার পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের দিয়েই সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শুরু হওয়া বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত এখনো চলছে। 'রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে'
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন শুধু ছাত্ররাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল করছেন, আপনারা হোঁচট খাবেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বহু বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে, বাংলাদেশের একার হাতে নয়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন কারণ এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা, সেখানেও স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়ার সরকার এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরেন- গত ৭ বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে এবং এর সংঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতি বছর গড়ে জন্ম নেওয়া ৩২ হাজার নতুন শিশু।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, জন্মহার নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়, তাদের জীবনে কী ঘটছে সেটাই আসল ব্যাপার। তিনি বলেন, 'তরুণদের একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটা ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো এটি একটি টিকিং টাইম-বোম্ব যা যেকোনো উপায়ে বিস্ফোরিত হতে পারে।
তিনি বলেন, অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের সঙ্গে প্রতিদিন নতুন প্রবেশও ঘটছে। ‘এই উদ্বেগ আমি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। তিনি পুরোপুরি সমর্থন করেন এবং আমাদের অবস্থান বোঝেন।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়া এই সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধানের জন্য আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ে বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে। ইউএনএইচসিআর-এর মতে, এই আবেদনটির প্রেক্ষিতে অর্থায়ন অপর্যাপ্তই রয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
১ মাস আগে
আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
গত ১৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এই পদে বসতে পারেননি।
ড. আমিনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। তাই অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোবেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে যাই। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেতে পারিনি।’
তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কি না—এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোলাসা না করে বলেন, ‘আমি আমার জবটাই করি। আমার সঙ্গে সরাসরি কারো সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে নাজমূল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ড. আমিন বরেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছি। ওনাকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি সেদিনই ছুটির দরখাস্ত দিই। এখনো আমাকে কোনো পদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।'
বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওইদিন (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
২ মাস আগে
নরসিংদীর জনতা জুটমিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
নরসিংদী পলাশ উপজেলার জনতা জুটমিলের শ্রমিকদের ভাঙচুর ও লুটপাটের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ও প্রধান ফটকে নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের জানানো হয়।
জনতা জুটমিলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মবহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধের নির্দেশ
এদিকে জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজার হাজার শ্রমিক।
জনতা জুট মিলস লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুটমিলস লিমিটেডে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বন্ধকালীন দীর্ঘসূত্রিতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত শ্রমিকরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের জনতা জুটমিলস লিমিটেডের কর্মক্ষেত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেডের ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র হামলা চালায়।
হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে মিলের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
সিলেটের শাহপরানের মাজারে গান-বাজনা বন্ধের ঘোষণা
২ মাস আগে
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার।
ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চলছে সহিংসতা, ঢামেকে ভর্তি ২০
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গণঅবস্থান, মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৪, থানা-দুই সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা
৩ মাস আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিশ্বিবদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শুধুমাত্র জিএসটি গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকাল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো পর্যালোচনা করার জন্য নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করাসহ সিন্ডিকেটে ৪টি সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
৬ মাস আগে
গ্যাস সংকট: সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
গ্যাস সংকট নিরসনসহ ৫ দফা দাবিতে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলাজুড়ে এ ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ধর্মঘটের ফলে পরিবহন সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। সিলেট নগরীসহ সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় যানবাহন শূন্য রয়েছে। এতে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না যানবাহন। বিশেষ করে সকালে যানবাহন না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রত্যেক মাসের ১৮ থেকে ২০ দিন পর থেকেই পাম্পগুলোতে অনুমোদিত লোড শেষ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা।
এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলায় সিএনজিচালিত সব যানবাহনের সিএনজি লোডিংয়ে সব সংকট ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করে পরিবহন শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটবাসী গ্যাস সংকটের কারণে দুর্ভোগে রয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস পাচ্ছেন না পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
বিগত কয়েক বছর থেকে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের অবহিত করার পরও সমাধান হচ্ছে না।
এ সময় মঙ্গলবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে গ্যাসের লোড বৃদ্ধি ও সংকট সমাধান না হলে বুধবার থেকে সিলেটের সব সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান পরিবহন নেতারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ বলেন, বুধবারের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহস্পতিবার থেকে বিভাগজুরে ধর্মঘট পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মত দিয়েছেন তারাও তাদের দাবি নিয়ে ধর্মঘট পালন করবেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
৮ মাস আগে
খুলনা থেকে ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
জানা গেছে, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি এটিকে ফরমূলা গেজেট উল্লেখ করে বলেন, গেজেটটি ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
১ বছর আগে
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
১ বছর আগে