মুসল্লি
আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা
আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে এবারের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার এ পর্বের আখেরি মোনাজাত।
ইজতেমার শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা, গাজীপুরসহ সারা দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসছেন।
ইজতেমা মাঠের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম জানান, এ পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: বয়ানের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু, বিকালে যৌতুকবিহীন বিয়ে
এর আগে ইজতেমার ময়দানে সমবেত লাখ লাখ মুসল্লিদের উদ্দেশে ইমান, আমল ও দ্বীনের দাওয়াতসহ তাবলিগের ৬টি ওসুল বা মূলনীতির উপর হেদায়েতি বয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করা হবে।
ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুফতি মাকসুদ। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন: তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
শেষ পর্বের ইজতেমায় ৬২টি দেশের প্রায় ৮ হাজার বিদেশি মুসল্লি শরিক হয়েছেন।
গত রাতে ইজতেমা ময়দানে অসুস্থতার কারণে আরও এক মুসল্লি মারা গেছেন। এ নিয়ে এই পর্বে ইজতেমা ময়দানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতে।
আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইজতেমা এলাকার সড়ক মহাসড়ক গুলোতে রয়েছে বিধি-নিষেধ।
শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমা শেষ হবে বলে সবাই আশা করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু শুক্রবার
১০ মাস আগে
ইজতেমায় আরও ৪ মুসল্লির মৃত্যু
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে শনিবার রাতে আরও ৪ জন মুসল্লি মারা গেছেন। এ নিয়ে এই পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলা পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আলম, নরসিংদী জেলার নুরুল হকের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত ওসমান গনীর ছেলে আল মাহমুদ।
এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৭ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চারজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
১০ মাস আগে
আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
সকালে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের নেতা ও ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা হাফেজ জোবায়ের আহমেদ।
লাখ লাখ মুসল্লি মহান আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য রহমত কামনা করেন। তারা দেশের মঙ্গলও কামনা করে দোয়া করেন।
এর আগে ফজরের নামাজের পর পাকিস্তানি মাওলানা জিয়াউল হক আম বয়ান করেন, যা বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুল রহমান।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী-কামারপাড়া সড়ক, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া বাইপাস পর্যন্ত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে দুপুর ২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে পারে বা সময় বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
১০ মাস আগে
ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা ১০
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই ৩ জন মারা যান।
তাদের জানাজার নামাজ ফজরের নামাজের পর ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৭ জন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিয়ে মোট ১০ জন মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চারজন হলেন- নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
এছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
১০ মাস আগে
ইজতেমা ময়দানে চলছে দ্বিতীয় দিনের বয়ান
লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি, জিকির-আসকার ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
তাবলীগের লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্ধ শতাধিক দেশের ২ হাজারের বেশি মুসল্লি রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমার কর্মসূচিতে দ্বিতীয় দিনে চার ওয়াক্ত নামাজ শেষে বয়ান, তালিম যৌতুকবিহীন বিয়ে, তাসকিলে নতুন করে চিল্লায় নাম লেখানো- এসব কর্মসূচি রয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মুম্বাইয়ের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। যোহর নামাজের পর ভারতের গোধরার মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুহাইরুল হাছান ও বাদ মাগরিব মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা বয়ান করবেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
আছরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধ পূর্বক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে।
ইজতেমায় আরও একজন মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।
ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলস ভবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছেন। সিসিটিভি ও ওয়াচটাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
ইজতেমা প্রাঙ্গণে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু
১০ মাস আগে
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা
বুধবার (৫ এপ্রিল,২০২৩) ভোরে নামাজের সময় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নিরপরাধ নামাজী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা নাগরিকদের মৌলিক নিয়ম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ মনে করে যে ধর্মের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ধরে রাখতে হবে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে অধিকৃত ভূখণ্ডে বারবার এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে ‘টেকসই ব্যবস্থা’ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
১ বছর আগে
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হওয়ায় ইজতেমা মাঠে আগত বিদেশিসহ মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে বিবেচিত ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অতিথিরা আগের বছরের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, হাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম ও ইজতেমার আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হল ইজতেমা
১ বছর আগে
দুই বছর পর মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হবে শোলাকিয়া
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর আবারও মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য ইতোমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি। এবার চার স্তরে নিরাপত্তা বলয়ের বেষ্টনী থাকবে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ।
জানা যায়, ১৭৫০ সাল থেকে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সেই হিসাব অনুযায়ী শোলাকিয়া ঈদগাহের বয়স ২শ’ ৭১ বছর। প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সোয়ালাখ থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা উচ্চারণ বিবর্তনে হয়েছে শোলাকিয়া। কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যের প্রতীক শোলাকিয়া ঈদগাহ স্থান করে আছে মানুষের হৃদয়ে। স্থানীয় হয়বতনগর সাহেব বাড়ির ঊর্ধ্বতন পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ (র.) ওই জামাতে ইমামতি করেন।
সর্বশেষ ১৯২তম জামাতে ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মো. ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
শোলাকিয়ার এ ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহটি প্রতিষ্ঠা করেন কিশোরগঞ্জ শহরের হয়বতনগর জমিদার বাড়ির লোকজন। বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশাখাঁ’র ৬ষ্ঠ বংশধর হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাদ খান তার মায়ের অসিয়াত মোতাবেক ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি ওয়াক্ফ করেন। সেই ওয়াক্ফ দলিলে উল্লেখ রয়েছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
কিশোরগঞ্জ মৌজার এ মাঠের মূল আয়তন বর্তমানে ৬.৬১ একর। চারপাশে অনুচ্চ প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২৬৫টি কাতার রয়েছে যেখানে একসঙ্গে দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে সমসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহত্তম ঈদজামাতে শরিক হন।
পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ হোটেল আগাম বুকিং
প্রতি বছরই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিণত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মহামিলন কেন্দ্রে। এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে। সবার উদ্দেশ্য একটাই, যেন কোন অবস্থাতেই হাত ছাড়া হয়ে না যায় জামাতে অংশগ্রহণ, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ। সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে এক নতুন সমাজ গড়ার শিক্ষা নিয়েই জামাত শেষে বাড়ির পথে শোলাকিয়া ছাড়েন তাঁরা।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এবারের জামাতে জায়নামায ও মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল নিয়েও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থধাকবে। শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। ড্রোন ক্যামেরাসহ ৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও মাঠে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে। এ কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডের দুটি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
পড়ুন: ঈদে পরিবহন খাতে ‘নৈরাজ্যের’ আশঙ্কা আরএসএফের
২ বছর আগে
নামাজে সেজদারত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগজ্ঞে এক মসজিদে নামাজে সেজদারত অবস্থায় একজন মুসল্লি হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের কাজী বাড়ি জামে মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তের সময় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপির মালিগাঁও গ্রামের মুকছুদ আলীর ছেলে ও পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, মাগরিবের নামাজের আযান শুনে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তার অটোরিকশাটি সড়কের একপাশে রেখে মসজিদে ঢুকেন। অটোরিকশার যাত্রীরাও তার সাথে নামাজ পড়তে জামায়াতে শরীক হন। কিন্তু নামাজের শেষ রাকাতে সেজদায় গিয়ে এরপর তিনি আর উঠে বসেননি। ইমাম ও মুসল্লিরা সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করলেও জাহাঙ্গীর সেজদাতেই ছিলেন।
মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, সালাম ফেরানোর পরও ওই মুসল্লি সেজদারত অবস্থায়ই ছিলেন। ওই অবস্থায় উদ্বিগ্ন মুসল্লিরা তাকে একটু নাড়া দিলে তিনি এক পাশে ঢলে পড়েন। সবাই তখন তার চোখ- মুখ দেখে বুঝতে পারেন তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে সেজদারত অবস্থায়ই তিনি মারা গেছেন। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসক এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন বলেন, মাগরিবের ফরজ তিন রাকাত নামাজ পড়াকালীন সময়ে সেজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মুসল্লি। পরে এই খবর জেনে পরিবারের লোকজন এসে লাশ নিয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্শকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ বছর আগে
ফতুল্লায় বিস্ফোরণে বন্ধ হওয়া মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নামাজের জন্য খুলে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনরা। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর মসজিদের সামনে স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসীদের আয়োজিত প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে মসজিদটি বন্ধ রাখায় ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে ও জরাজীর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে নামাজের জন্য অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। এছাড়া মুসুল্লিদেরও নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটছে।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
এসব বিষয় তুলে ধরে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তিতাসের তদন্ত কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলসহ শুক্রবারের মধ্যে মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য খুলে দিতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। অন্যথায় তিতাস অফিস ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসুচির ঘোষণা করা হবে বলেও এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মসজিদের নিহত ইমাম আব্দুল মালেক নেছারির দুই ছেলে নাইমুল ইসলাম ও ফাহিমুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
মানববন্ধন শেষে দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। মুসল্লিরাসহ স্থানীয় এক হাজারের বেশি মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশা'র নামাজ চলাকালে গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ ও বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অর্ধ শতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ৩৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তিতাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারি, মসজিদ কমিটির সভাপতি, ডিপিডিসির মিটার রিডার ও স্থানীয় এক বিদ্যুৎমিস্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে মিলল বোমা ও রিমোট কন্ট্রোল, গ্রেপ্তার ১
পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার সিআইডি পুলিশকে দেয়া হলে তদন্ত শেষে ২৯ জনকে আসামি করে গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে