সাবেক পুলিশ
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-সন্তান ও যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার একমাত্র আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌমেন রায় মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে।
তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন, আসমার ছেলে রবিন এবং আসমার প্রেমিক শাকিলকে সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগজিনসহ আটক করে। পরে সেদিন বিকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই দিন রাতে এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। পরদিন ১৪ জুন বিকালে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন। ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর থেকেই পলাতক সৌমেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে, তার ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সৌমেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ভারতে পালিয়েছে।
এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামিকে জামিন দেওয়ায় আমি হতাশ।
তিনি আরও বলেন, আদালত সৌমেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমি খুশি। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম শাহ আলম। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ হিসেবে পদায়িত ছিলেন। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকা আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আসামি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নহল গ্রামের মাস্টার বাড়ির মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আ/এ এলাকায় বসবাস করেন।
মো. শাহ আলম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআইও-১ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. শাহ আলম নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন। এ ছাড়া ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার মূল্যের সম্পদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। তদন্তকালে ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নিহত, আটক ৪
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২ বছর বয়সী এক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মইনুল হক ওই এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-আনিসুর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী লাকী আক্তার (৩৪), আনিসুরের চাচাতো ভাই মাসুদ রানা (৩৫) ও আকিবুল (৩৪)। তাদের সবার বাড়িও একই এলাকায়।
আরও পড়ুন: চবি শাটলে পাথর নিক্ষেপ, আটক ৩
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধামোর ইউনিয়নের দানাবীর গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমানের পাট খেত দিয়ে নিহত মইনুলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বাচ্চু গমের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ নিয়ে আনিসুরের সঙ্গে বাচ্চুর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ওই পুলিশ সদস্য উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আনিসুরের পরিবারের সদস্যরা লাঠিসোটা নিয়ে মইনুলকে ধাওয়া করে। এসময় মইনুল মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া সময় রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হন বলে দাবি করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মঈনুলকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরহতাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মায়ের লাশ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
২ বছর আগে