পাহাড়ি ঢল
তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে।এর আগে, গত ৩ আগস্ট তিস্তার পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উজানের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও জানান, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পাউবোর ডালিয়া বিভাগের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, তবে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
এ কারণে সতর্কাবস্থায় থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা।
১১৪ দিন আগে
হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকবে সরকার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রণোদনা দেয়ার পরিকল্পনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূচি নিয়েছি আউশে প্রণোদনা দেয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে অবশ্যই চাষীদের পাশে থাকবে এই সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রতি বছর দুই কোটি টন বোরো উৎপাদন হয়। এরমধ্যে ১২ লাখ টন হয় হাওরে, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ১২ লাখ টনও বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।
এসময় সারে ভর্তুতি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
১৩৩২ দিন আগে