ন্যাড়া
খাবারে চুল: স্ত্রীকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিলেন স্বামী
ঠাকুরগাঁও সদরে খাবারে চুল পাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী স্ত্রী সবুরা খাতুন আতঙ্কে দিন পার করছেন।
গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত এহসান মামুন (৪২) ওই ইউনিয়নের মাধবপুর নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হোসেন আলী বলেন, এহসান মামুন মারধর করে তার স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে। এর আগেও অনেকবার এ ধরনের কাজ করেছে। এবার তার স্ত্রী আমার কাছে বিচার চাইতে আসলে আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেই।
আরও পড়ুন: আদিতমারীতে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে এহসান মামুনের সঙ্গে সবুরা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মামুন তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার মামুন ভাত খাওয়ার সময় একটি চুল পায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বাঁশ দিয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে এবং বেঁধে রেখে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ বিষয়ে সাবুরা এক প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলতে গেলে মামুন ফের তাকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী এহসান মামুন পলাতক রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার সবুরা খাতুন বলেন, যৌতুকের জন্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামী আমাকে প্রায় সময় অমানবিক নির্যাতন করে। এর আগেও আমার পরিবারের কাছ থেকে মামুন দফায় দফায় মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এখন আবারও টাকার জন্য চাপ দিলে আমি চাইতে পারব না জানালে মারধর করে এবং চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। এঘটনায় থানায় মামলা করেছি।
তিনি বলেন, আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে মামুন। মামলা তুলে না নিলে আমার দুই সন্তানকে হত্যা করে উল্টো আমাকেই হত্যা মামলার আসামি করবে বলে হুমকিও দিয়েছে।
আরও পড়ুন: অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিল স্বামী
এ বিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে গেলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ররঞ্জন রায় বলেন, সবুরা খাতুন একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্বামী এহসান মামুন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে মামুনকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২ বছর আগে