সুদে
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক কারখানার উন্নয়নে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তা সংস্কার, প্রতিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নে সহায়তা’- শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে আগের ৭ শতাংশের বিপরীতে বর্তমানে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। নতুন ও পুরাতন সব ঋণেই ৫ শতাংশ সুদের হার প্রযোজ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আড়াই শতাংশ সুদে তহবিল পাবে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনিয়োগ অনুদান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যার লক্ষ্যগুলো হলো- অগ্নিনির্বাপণ, কর্ম পরিবেশের উন্নতি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ বান্ধব বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬ দশমিক ৪২ কোটি ইউরো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে।
এ পর্যন্ত ১৭টি কারখানা এই তহবিল থেকে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে এবং দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুদান বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতকে চাঙ্গা করতে ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। যাতে আরও বেশি কারখানা এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কার্যক্রম বিকাশে এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
২ বছর আগে
বিনা সুদে পাওয়া যাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ লোন
বাংলাদেশ ও তথা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল বাল্যবিবাহ। একবিংশ শতাব্দীতে এসে কন্যা সন্তানকে এখনও আর্থিক ও সামাজিক বোঝা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। করোনা মহামারির কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ করোনায় মানুষের আয় কমে গেলেও খরচ কমেনি। এ খরচের অজুহাতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বেড়েই চলছে বাল্যবিবাহ।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েকে বড় করা ও তার পড়াশুনার আর্থিক খরচ কমাতে প্রাপ্তবয়ষ্কের অনেক আগেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
এ সমস্যা সমাধানে খ্যাতনামা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আমাল ফাউন্ডেশন এবং অন্যতম বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স এগিয়ে এসেছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে প্রতিষ্ঠান দুটি ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। গত মাসে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঋণ কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে
২ বছর আগে